পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] AMMAMSMAMAMMMMMAAA AAAA AAAASASASS নিয়ে গায়ে গায়ে ফিরি করে বেড়ায়। ফল ফুলুরী মাছ তরীতরকারী ধান চালের একটা বাজারও আছে। এই বড়ে রাস্ত ধ’রে গিয়ে পুরীতে পৌছুতে হয়, রাস্তা সেখানেই শেষ হ’য়ে গিয়েছে। কোপ্যারব্যাগ সব চেনেন, তিনি আমাদের নিয়ে চ'ল্‌লেন। দ্রেউএস, বাকে দম্পতী, ধীরেনবাবু, আমি, চ'ললুম। রাস্তা শেষে ডানদিকে পুরী । এই রাজবাট হালের তৈরী। রাস্তার বঁ। দিকে সরু একটা গলিপথে পুরাতন পুরী ~রাজা সেখানে এখন আর বাস করেন না, এখন অনেকটা বেমেরামতী অবস্থায় এই পুরী প’ড়ে আছে। এ বাড়ীটা বলিদ্বীপের ভদ্রাসন বাস্থরীতির একটা সুন্দর নিদর্শন। পরে আমরা একদিন এই বাড়ীটা দেখে আসি। রাজবাড়ীর তোরণদ্বারে জনকতক বলিদ্বীপীয় লোক ব’সে আছে, প্রহরীর মত ; আমরা আসতে এর ভিতরে এত্তেল দিলে। তোরণ পেরিয়ে ঢুকেই একটা মাঠের মতন আঙিন । আঙিনার ডানপারে আটচাল ঘর একখানা, সেখানে বাড়ীর জন্য কাঠ-কাঠড়ার কাজ হয় । আর একটী তোরণ দিয়ে বা’র বাড়ীর দ্বিতীয় মহলে ঢুকতে হয়। এখানে খুব কাজ-কর কাঠের থাম আর দরজ জানালাওয়াল বড়ো একটী অলিন্দ বা দালান যুক্ত কতকগুলি ঘর । দালান আর ঘর দ্বিতীয় তোরণের প্রায় সাম্নাসামনি পড়ে । দালানটা হ’চ্ছে রাজার বৈঠকখানা, আর ঘরগুলিতে সম্লান্ত অতিথির থাকেন। ঘরগুলি ইউরোপীয় ধরণে সাজানো । দামী আসবাবপত্র খাট-বিছানা আছে । দরজাগুলিতে চমৎকার খোদাই কাজ । ঘরে দু চারখানি তৈজসপত্র আছে, চুরেটের ডিবা, দেয়াশলাইয়ের বাক্স, ছাইয়ের পাত্র,সব ভারী ভারী সোনার তৈরী, নকশা-কাটা । এষ্ট জানালায় পরদ আছে, আবার এদিকে মেঝেতে কাপেট নেই । ঘরগুলির পিছনে যথারীতি স্বানের ঘর ইত্যাদি আছে । দালান আর ঘর উচু পোতার উপর। তার সামনে একটুখানি উঠান, কাকর-ঢাকা,—দু চারটা গাছ আছে তাতে । উঠানের পরে একটী পুষ্করিণীযুক্ত ছোটে বাগিচা । পুষ্করিণীর মাঝে একটা বলিদ্বীপীয় pavilion বা ছতরী। দালানে দাড়িয়ে পুকুরটর দিকে তাকালে ডান ধারে পড়ে বাইরে যাবার তোরণ, আর বঁ। দ্বীপময় ভারত 8 აv9 MSAAAAASA SAASAA AA ASASASA AAAMM AMASAMMSMSMSMSMMS اسمیت - بمبهم مبرم ۰۰بست-مرمه مید হাতে পড়ে ভিতর বাড়ী, রাজার শুদ্ধান্তঃপুর । রাজবাড়ীর মেয়েরা অসূর্যাম্পশ্য নয়, কিন্তু তা ব’লে সাধারণতঃ T.: . . કૈન્ટ' *5 *. , % 8= ء - 8 جہ* .,.. "స్టో বলিদ্বীপীয় ছতরী লোকচক্ষের সামনে এরা আসেন না। দালান আর পুকুরের মাঝে একট। উচু চবুতরা বা ছতরী আছে । সেটাকে নানা রঙের কাপড়, জরী, আর তাল আর নারকেল পাতার বালির দিয়ে বেশ ক’রে সাজানে৷ হ’য়েছে । রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দালানে দেখা হ’ল । রাজার আপ্যায়নের আতিশয্যে প্রথমটা একটু অস্বস্তিতে ছিলেন । কবি যাতে আরামে আনন্দে থাকতে পারেন, রাজা সে বিষয়ে খুবই অবহিত। কিন্তু কি ভাবে তা করা যায় ত| তার অজ্ঞাত। একই গাড়িতে ঘণ্টাদেড়েক পথ রাজার সঙ্গে এসেছেন,-কেউ কারু ভাষা জানেন না । ভাষা সাম্য নেই, মূক হ’য়ে পাশাপাশি ব’সে আছেন,—পথে হঠাৎ সমুদ্র দেপে রাজা কবিকে সমুদ্র-বাচী কতকগুলি সংস্কৃত শব্দ শুনিয়ে দিলেন, তার পর ভারতবর্ষের পৌরাণিক ভৌগোলিক নাম কতকগুলি শুনিয়ে দিলেন । এই ভাবে কবির সঙ্গে তার সংস্কৃতি-গত যোগের কথাটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে কবির মনে আস্ত্রীয়ভাব আনবার জন্য র্তার আগ্রহ ।