পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বীপময় ভুারত 8)సి AASAASAAMMAeAAASAASAASAASAASAA AAAA SAAAAAMAiAiAAA AAAASASASS ৩য় সংখ্যা ] হয়েছে। দ্বীপময় ভারতের মহাভারতের সঙ্গে শল্য পৰ্ব্ব পর্য্যস্ত মেলে, তার পরে আমাদের দেশের সংস্কৃত মহাভারতে পাই—সৌপ্তিক পৰ্ব্ব (১০), স্ত্রী ( ১১ , শাস্তি (১২), অস্থশাসন ( ১৩ ), অশ্বমেধ ( ১৪ ), আশ্রমবাসিক (১৫), মৌষল ( ১৬ ), মহাপ্রস্থানিক ( ১৭ ), আর স্বৰ্গারোহণ ( ১৮) । মহাভারতের প্রাচীন বিভাগ আর প্রাচীন পাঠ নির্ণয় করবার জন্য প্রাচীন যবদ্বীপের ভাষায় অনুদিত মহাভারত থেকে বিশেষ সহায়ত পাওয়া যাবে। এবিষয়ে ডচেরী কিছু কিছু কাজ ক’রেছেন, কিন্তু বিষয়টা নিয়ে অনেক আলোচনা করবার আছে । মহাভারতের পর্ব সম্বন্ধে পরে গিয়াএারের রাজার বাড়ীতে সেখানকার পদগুদের সঙ্গে আরও কিঞ্চিং আলোচন হ’য়েছিল। পদ গু যখন আমাকে শ্লোকটী শোনালেন, তখন প্রথমটা আমার বুঝতে একটু মুস্থিল লাগ ছিলে। কিন্তু এর পাঠের ধরণ থেকে বলিদ্বীপের সংস্কৃত উচ্চারণের রীতিটা বোঝবার সুবিধা হ’য়েছিল । এর পড়ায় বোঝা গেল, এ দেশে সংস্কৃত অ-কারের উচ্চারণ হ’চ্ছে আ-কারের মতন ; আ-কারের উচ্চারণ, শব্দের আদিতে বা মধ্যে থাকলে বাঙলা অ-র মত হয়, আর অস্তে থাকলে ফরাসীর eu বা জারমানের (i-র মত হয় . ঋ-কারের উচ্চারণ হয় রে’, ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে, মহাপ্রাণ বর্ণ গুলিকে অল্পপ্রাণ ক’রে দেয়,—‘খ ঘ ছ ঝ ঠ ঢ থ ধ ফ ভ’ যথাক্রমে ‘ক গ চ জ ট ছ ত দ প ব’ হ’য়ে যায় ; ‘শ ষ স তিনেরই উচ্চারণ দস্ত্য স ; অন্তঃস্থ ব-এর (v বা wর) উচ্চারণ করে কখনও বা ‘ব’ (b), কিন্তু সাধারণতঃ ‘উঅ’ বা ‘ওঅ’ w ; ত-বর্গ কতকটা ট-বর্গের মত শোনায়, আবার ট-বর্গকে ত-বর্গের মত শোনায় (অর্থাৎ মূৰ্দ্ধণ্য ট-বর্গ আর দন্ত্য ত-বর্গ, এই দুইয়ের বদলে একের উচ্চারণে উভয়ের মধ্যস্থিত | বাঙলায় অজ্ঞাত ] দস্ত্যমূলীয় বর্গের ধ্বনিই আসে ) । কাজেই আদি, সভা, বন, গদ। কানে শোনাল যেন তা-ডি, সা-ব্যে, উআনা, গা-ডো', অণর"অষ্টাদশ’ শব্দ শোনাল যেন ‘আস্তড়াসা’ । পদগুটীর নাম জেনে নিলুম—নমট হচ্ছে ‘পদণ্ড ওক'; এর সঙ্গে আলাপে বেশ খুশী হ’লুম । রাজা একে ডাকিয়ে পাঠিয়েছেন, ইনি যাচ্ছেন রাজার কাছে, সেখানে মহাগুরুর সঙ্গে দেখা হবে । আমরা একত্র দ্বিতীয় মহলে দালানে রাজার বৈঠকখানায় গেলুম। সেখানে দেখি, কবিকে রাজা কতকগুলি প্রাচীন তাল পাতার পুথি দেখাচ্ছেন। রাজার পিতা শাস্ত্রগ্রন্থের একটা ভালো সংগ্রহ রেখে গিয়েছেন শুনলুম। দালানের সাজসজ দিনের আলোয় এখন ভালো ক’রে দেখা গেল। কাঠের কাজে খোদাইয়ে লাল আর সোনালি রঙ লাগানো। দালানে প্রচুর আরসী দেওয়া আছে । দেয়ালে কতকগুলি ফোটোগ্রাফ—রাজার নিজের, পরিবারের লোকেদের, রানী আর অন্য মহিলাদের, আর ডচ রাজকৰ্ম্মচারীদের সঙ্গে তোলা গৃপ ছবি। একখানি ছবি সকলের দৃষ্টিপথে যাতে বেশ ক’রে পড়ে সেই ভাবে তিনি টাঙিয়ে রেখেছেন-এথানি হ’চ্ছে ফ্ৰেমে-বাধানেী রবীন্দ্রনাথের একখানি ফোটো । ডচেদের কাছে রবীন্দ্রনাথের কথা শুনে, আর তিনিই তার বাড়ীতে এসে অতিথি হচ্ছেন একথা জেনে, রাজ ছবিগনি সংগ্ৰহ ক’রে টাঙিয়ে রেখে থাকৃবেন । ভারতবর্যের প্রতি রাজার শ্রদ্ধা দেখাবার একটী পন্থ। ব’লে ব্যাপারটাকে নিতে পারা যায়। আমাদের সম্বন্ধে রাজার জানবার যে আগ্রহ কত, তা ক্রমে আমরা টের পাই । তিনজন পদণ্ড চেয়ারে ব’সে আছেন । রাজা কতকগুলি তালপাতায় লেখা পুথি কবিকে দেখাচ্ছেন । পুথিগুলি উড়িয়া বা দক্ষিণা পুথির মতন, তালপাতার উপর লেখন বা ছু চালো-মুখ লোহার শলা দিয়ে আঁচড়ে তাঁচড়ে লেখা । দ্রেউএস দোভাষীর কাজ করছেন । রাজা সংস্কৃত ভাষায় বলিদ্বীপের অক্ষরে লেখা একখানি পুথি নিয়ে ব’ললেন, এই পুথির অর্থ তিনি জানতে চান, মহাগুরু ব্যাখ্যা করে তাকে বুঝিয়ে দিন । তিনি পুথি পড়ে গেলেন, র্তার উচ্চারণ দুৰ্ব্বোধ্য । আমার পরামর্শ-মত তিনি রোমান অক্ষরে লিখে যেতে লাগলেন, তখন আমাদের পড়ার স্থবিধা হ’ল, পুথিখানির মানে বুঝতে মুস্কিল হ’ল না। সরল অষ্ট্রষ্টপ ছন্দে লেখা যোগশাস্ত্রের বই এখানি ; জিজ্ঞাস্ত্র রাজা ব্যাখ্যা ক’রে বল্বার জন্ত কবিকে নিৰ্ব্বন্ধ ক’রে অতুরোধ করলেন । মাঝে মাঝে রাজার