পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] মায়া বলিল, “ত না বল, নাই বললে । এখন আমার সঙ্গে যাচ্ছ কিনা তাই বল ।” ইন্দু বলিল, “মেজদা ত খুব জেদ করে লিখেছে, আমি কিন্তু বাপু এখন যেতে পারব না।” • মায়া বলিল, “কেন পারবে না শুনি ? এমন ত কিছু কাজ নেই ?” ইন্দু বলিল, “না যত কাজ কেবল তোমার । আমি এই মাসটা গেলে একটু তীর্থে বেরব, কবে থেকে ঠিক করে রেখেছি। রেজুন যাই তো সেই শীতকালে। নিয়ে যাবার লোক ঢের জুটবে। কলকাতা থেকে ত বারমাসই বৰ্ম্মায় লোক যাচ্ছে। আর কেউ না যাক বিজয়টাকে ধরে নিয়ে গেলেই হবে ।” মায় রাগ করিয়া বলিল, “যা খুসি করগে। শীতকালের আগে তো চারপলি। অমুখ বাধাবে ।” সে নিজের চিঠিপত্র লইয়া পাশের ঘরে চলিয়া গেল । জয়ন্তী ততক্ষণে চিঠি পড়া শেষ করিয়া, গালে হাত দিয়া বসিয়া ভাবিতেছিল । মায়া বলিল, “কি গো, তুমি যে একেবারে দশ হাত জলের তলায় পড়ে গিয়েছ মনে হচ্ছে ।” জয়ন্তী বলিল, “ত না পড়ে আর করি কি ? সংসারে ঢুকলে কত রকম ভাবন যে আছে, ত| তোমরা ধারণা ও করতে পার না । তোমাদের ভাবনা কেবল নিজেকে নিয়ে, আমাদের পরের ভাবনার চোটে নিজের কথা মনে করবারই অবসর হয় না।” মায়া বলিল, “কথা ত বুড়ী দিদিমার মত চিরকালই তুমি বল। সম্প্রতি কি ভাবন হল তোমার শুনি ?” . জয়ন্তী বলিল, “উনি যেতে লিখেছেন। শরীর বড় খারাপ হয়ে পড়েছে, দেখবার শুনবার কেউ তেমন নেই ত ।” মায়া বলিল, “সব বাজে কথা। তুমি যেও না ত । মা বাবা সবই লেখানে রয়েছেন, তবু তার দেখবার লোক নেই। বিয়ের আগে কে দেখত শুনি ?” জয়ন্তী হাসিয়া উঠিয়া পড়িল । বলিল, “আরে বাপু, যা বুঝিস না তা নিয়ে তর্ক করিস কেন ? বুদ্ধি দিয়ে কি আর সব জিনিষই বোঝা যায় ? আগে বিয়ে হোক মহামায়া SAA MA AMeA AeAAAMAeeMM MAAA AAAA AAAAMAAMMAAMMAMAMeMMMMMA AMeAAMMMMMMA AMMMAAA SAAAAS AAAAAA তারপর বুঝবি, কেন বাবা মা থাকলেও কেউ নেই তোমার দেশে . 8&○ S AAAAAS SSAAAAS S AAAAA AAAASAAAAM AMAAAASASASS মনে হয়।” মায়া বলিল, “তার মানে তুমি এখনই স্বামীর পায়ে তেল মালিশ করতে ছুটুছ ত? বাপরে বাপ, আমি কোনো জন্মে বিয়ে করব না । মেয়ের নিজেরাহ নিজেদের সব চেয়ে বড় শত্রু ? জয়ন্তী বলিল, “অমন বলে সবাই, শেষ অবধি ত কাউকে বাদ যেতে দেখি না। আমাদের স্কুলের সৌদামিনীদি বিয়ের নামে নাক যা সিটকতেন ! কেউ বিয়ে করছে শুনলে, লেক্চার দিয়ে আর তাকে আস্ত রাখতেন না । তিনিও ত বুড়ে বয়সে বিয়ে করে বস্লেন । কিন্তু এখন যে ভাবছি, যে, নিজের কথা ভুলে থাকতে বড় কষ্ট হয়, তখন দেখবি তা মোটেই নয়। নিজের থেকেই ওদের কথাটা বড় হয়ে উঠবে, তাদের. অসুখ, অসুবিধার ভাবনা সবার আগে মনে হবে।” মায়া বলিল, “আহা, সবাই তোমার মত কিনা ।” জয়ন্তী বলিল, “দেখাই যাবে। যারা মুখে আগে বেশী। বড়াই করে, পরে তারাই তত ঘাড়মোড় ভেঙে পড়ে ।” মায়া আর কথা না বলিয়া, হতবাক্স খুলিয়া চিঠিগুলি গুছাইয়। রাখিল । প্রভাসের চিঠিখান ছিড়িয়। ফেলার বদলে সযত্বে রাখিয় দিল । জয়ন্তী সত্যই তারপর দিন যাইবার জন্য জেদ ধরিল। ইন্দু বলিল, “যত সব অনাস্তষ্টি কাণ্ড । একি কলকাত! পেয়েছ, যে, হৰ্ছ করে যাব বললেই চলে যাওয়া যায় ? তা হলে জামাইকে বল এসে নিয়ে যেতে ।” জয়ন্তী নাছোড়বান্দা মেয়ে । অনেক বলিয়া কহিয়া, বায়স্কোপের লোভ দেখাইয়। সে নিস্তারিণী-ঠাকুরাণীর মেজছেলেকে রাজী করিল। পরের দিন আর গুছাইয়াগাছাইয়া যাইবার সময় নাই, কাজেই আর একটা দিন বাধ্য হইয়! দেরী করিতে হইল । বাক্স-প্যাটরা টানিয়। বাহির করিয়ু সে গুছাইতে আরম্ভ করিল। হঠাৎ মায়া বলিয়া বসিল, “আমিও এই সঙ্গে চলে • যাই না পিসীম ? আমাকেও ত যেতেই হবে, দু-দিন. পরে ?” ইন্দু গালে হাত দিয়া বলিল, “বাপরে বাপ, মেয়ে না,