পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*. ৩য় সংখ্যা ] ঢাকায় খুন লুট গৃহদাহ 83్చసి করেছে। দুটি মেয়ে এক বাড়ীতে ছিল, তাদের পিত বিদেশে, বড় ভাই তার ছুদিন আগে অডিন্যান্সের কবলে জেলখানায় গেছে । সেই বাড়ী মুসলমানের আক্রমণ করে ; অপরাধ যে, তাদের ভাই ভবেশ নন্দী ছেলেদের বলচর্চার আখড়া করেছিল, মেয়েদেরও আত্মরক্ষায় শিক্ষিত করত।* মেয়ে দুটি অবিবাহিতা, অল্পবয়স্কা । তার দীর্ঘকাল দু তিন শ মুসলমানের আক্রমণ প্রতিরোধ ক’রে নিজেদের ঘরবাড়ী ও ইজ্জত রক্ষ ক’রেছে । ঢাকা ইউনিভার্সিটির তিনজন লেকচারার ভবানীচরণ গুহ, রুক্মিণীকান্ত পুরকায়স্থ ও হরিপ্রসন্ন মুখুজে মুসলমানদের কাপুরুষতার প্রতিবাদ করায় ও অবশেষে বাধা দিতে বাড়ীর বাহির হওয়ায় আততায়ীরা মেয়ে দুটিকে ছেড়ে তাদের দিকে ধাবিত হয়। তার বাড়ীতে ঢুকে দ্বার বন্ধ করেন। মুসলমানের বাড়ীতে ঢুকতে না পেরে বাড়ীর চতুদিকে অতিথিসংকারের গুরুভার নিয়েছে। মুসলমানের ঢাকা হলের নিকটের সব দোকান পাহারা দিচ্ছে আর দোকানদারদের শাসাচ্ছে ঢাকা-হলে এক পয়সার জিনিষ বেচেছ কি তোমাদের খুন করব। চাল ডাল কয়লা নেই ; চোখের সামনে কয়লার দোকান পুড়িয়ে দিলে, চালের দোকান লুট পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় । নন্দী-পরিবার। ইহঁাদের বাড়ীর ১০০ গজের ভিতরে পুলিসের ডেপুটী সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট মিঃ কাদিরী মহাশয়ের বাড়ী মুসলমান জনতার মধ্যে ৮.১০ বছরের ছেলে থেকে বুদ্ধ পর্য্যন্ত ছিল ; কিন্তু সারা পাড়ার মধ্যে তিনটি হিন্দু ছাড়া কেউ মেয়ে দুটিকে রক্ষা করবার চেষ্ট করেননি । এদের বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তারা অন্যান্য বাড়ীতে আগুন ধরাতে লাগল। সেই অবসরে এর জলন্ত বাড়ীর দোতলা থেকে লাফ দিয়ে প’ড়ে আহত হয়ে মেয়ে দুটিকে নিয়ে ঢাকা হলে পালিয়ে আসেন । এই আক্রমণের আড়াই ঘণ্টা পরে পুলিশ আসে। তখন সাহস পেয়ে হিন্দুরা তাদের আক্রান্ত পাড়া ছেড়ে প্রায় ৫০০শত নরনারী আবালবুদ্ধবনিতা এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা হলে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন ছুটি ৷ হলে মাত্র জন ৪০ পরীক্ষার্থী আছে । তারা এই ৫০০ লোকের

  • এই বাড়ী আক্রমণের ও রক্ষার বিস্তারিত সঠিক বৃত্তান্ত শেষ চিঠিতে আছে —প্রবাসীর সম্পাদক

করলে । ছেলেরা নিজের উপবাসী থেকে অতিথিদের সেবা করছে, আহতদের শুশ্য করছে ; সমস্ত রাত্রি জেগে ঘাটিতে ঘাটিতে হল পাহার দিচ্ছে । মুসলমানদের ভয়ানক আক্রোশ হয়েছে ঢাকা-হলের উপরে, কেন সে এত লোককে আশ্রয় দিলে। তার শাসাচ্ছে— দেখে নেবে ঢাকা-হলের জোর । ছেলেরা নিজের মাথায় ক’রে জীবন বিপন্ন ক'রে চাল কয়লা স্মাগল ক’রে আনছে। এত টাক। যে কোথা থেকে আসবে সে সম্বন্ধে তাদের একবার প্রশ্ন নেই ; নিজেদের তহবিল শূন্য ক’রে ভয়ার্ক্স নিরাশ্রয়দের সেবা করছে। মন্দের মধ্যে ও মঙ্গলের রূপ দেখে চোথ জুডিয়ে যাচ্ছে, প্রাণ আশায় আনন্দে ভরে উঠছে, ভগবান যে মঙ্গলময় ত৷