পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

898 প্রবাসা—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড পূৰ্ব্বোক্ত লেক্চারারটি ম্যাজিষ্ট্রেটকে আরো বলেন, “আমি ৫৬জন কনষ্টেবলের মুখে নিজে শুনেছি যে, তার হটিয়ে দিয়েছেন ; লুণ্ঠনকারীরা [*]ক হুকুম, [*]কা জয়, ব’লে বাড়ী লুট করেছিল। দারোগ। এ সব কিন্তু উপস্থিত ছিল এবং তার প্রতিরোধ করতেও পারত, কিন্তু লিখে নেন নি। ১২ দিন পরে এই তদন্ত । একজন তারা কোনো হুকুম পায় নি।” এই কথা শুনে ম্যাজিষ্ট্রেট বললেন, “৪৫জন কনষ্টেবল o o o 18 о о লোকের বিরুদ্ধে কি করতে পাবৃত ? সব লোকে বলছে - পুলিস কোনো সাহায্য করে নি—এ কি ঠিক ?” রাধিকাবাবু বললেন, “যখন ডি-আইজি আমার বাড়ীতে এলেন, তখনও বহু মুসলমান আমার বাড়ীর মধ্যে ছিল ; . তিনি তাদের শান্তভাবে বললেন, ‘যাও যাও, চল যাও। তখন তার চলে গেল, কিন্তু কাউকে গেরেপ্তার করা হ’লে না।” এই কথার পর ম্যাজিষ্ট্রেট আর রইলেন না। নন্দী-পরিবারের সঙ্গে মোকাবেল কবাবার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আর বিলম্ব করতে সম্মত হলেন ম৷ ৷ দাঙ্গার ১২ দিন পরে এই হলো তদন্ত । মেম সাহেব চুপিচুপি সাহেবকে বলছিলেন যে, লোকে বলে ২০০ লোক আছে, কিন্তু ১৫২০ জনের বেশী নেই । তা শুনতে পেয়ে পূৰ্ব্বোক্ত লেকচারারটি বললেন—“এখন পুরুষের কতক বাজারে গেছে, কতক অফিসে গেছে, আর মেয়েরা এখন দিনের বেলা নিজের নিজের বাড়ী দেখতে যায় ও কেউ কেউ বাড়ীতেই খাওয়া-দাওয়া করে ; সুন্ধ্যার সময় রাত্রের খাওয়াও সেরে বা রাত্রের খাওয়া সঙ্গে নিয়ে সকলে হলে ফিরে আসে।” ( . ) কাল বিকালবেল একজন দারোগ তদন্ত করতে ও জবানবন্দী নিতে ঢাকা-হলে গিয়েছিলেন । ক্ষতিগ্রস্ত বিপন্ন লোকেরা বললেন যে, তারা পুলিসের [—]কে উপস্থিত দেখেছেন, স্বয়ং পুলিসের [—] এসেও কোনো লুণ্ঠনকারীকে গেরেপ্তার করেন নি, কেবল m-S)ー> eSo ইন্দুপ্রভা ক্যাবিনেট ওয়ার্কস, দেওয়ান বাজার, ঢাকা । ঢাকা ইউনিভাসিটার মুসলমান রেজিষ্ট্রার, ইসলামিয়া ইন্টারমাডিয়েট কলেজের মুসলমান প্রিন্সিপাল, দুজন মুসলমান ডেপুটা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং একজন মুসলমান সবজজ বাস করেন পেন্স্যনপ্রাপ্ত ভদ্রলোক এক থানায় গিয়ে, অন্য থানায় এই বাড়ীর ২০০ গজের ভিতরে ফোন করে, তার পর বড় পুলিস আফিসে ফোন করে, পুলিস সাহেবের মোটর যাচ্ছে দেখে সেটা থামিয়ে প্রার্থনা জানাবার জন্যে হাত তুলে, কিছুতেই কোনে সাহায্য পান নি। র্তার বাড়ী তৈরীর সময় যে মিস্ত্রী দর্জ রং করেছিল, সে-ই বাড়ীতে ঢুকে ছোরা দেখিয়ে টাকা চায় ; র্তার বাড়ীর কাছের মসজিদের মোল্লাও র্তাকে শাসিয়েছিল । এর অল্পক্ষণ পরে দুজন সাধারণ কাপড় পরা কনষ্টেবল দোকানে জিনিষ কিনতে যায় ; মুসলমান গুণ্ডারা তাদের ধরে ঘরে বন্ধ ক’রে ছোরা লাঠি দেখিয়ে টাকা আদায় করবার চেষ্টা করে । একজন কনষ্টেবল পালিয়ে বাবুপুরা থানায় খবর দেয় এবং তখন অল্পক্ষণ পরেই একজন পুলিস অফিসার পুলিস নিয়ে এসে কনষ্টেবলকে উদ্ধার করেন ও

  • একজন প্রভাবশালী মুসলমান ।