পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ዓe ইত্যাদি অনেক হাজার বৎসর ব্যাপী নানা যুগের পর মানুষ লোহা ইস্পাতের অস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। কিন্তু এখন অসভ্য বা সভ্য জাতির কেহ একটা ছুরী বানাইতে চাহিলে তাহাকে হাজার হাজার বৎসর ধরিয়া পাথর, হাড়, প্রভৃতির অস্ত্র গড়িয় তাহার পর ইস্পাতের চুরী তৈরী করিতে কোন আহাম্মকও বলিবে না । ষ্টীম এঞ্জিনের গোড়াপত্তন হয় ১৩০ খৃঃ পূঃ অব্দে আলেকজান্দ্রিয়ার হীরোর কলে । তাহার আঠার শতাব্দী পরে সেভারী ( ১৬৯৮ খৃঃ অঃ ), আরও কয়েক বৎসর পরে নিউকোমেন ( ১৭০৫ খৃঃ অঃ ), আরও ৫০ বৎসর পরে ওয়াট ( ১৭৬৩ খৃঃ অঃ ),—এই প্রকারে নানা জনে উহার উন্নতি করিয়া উহাকে বর্তমান অবস্থায় পৌছাইয়াছে। কিন্তু এখন কেহ ষ্টীম এঞ্জিন তৈরী করিতে শিখিতে চাহিলে তাহাকে ২,০০০ বৎসর এপ্রেটিসী করিতে হয় না । ভারতের জাতীয় কতৃত্বের বিরোধীরা অবশ্ব রাষ্ট্রীয় ব্যাপারেই ক্রমিকতার নীতির সমর্থন করেন। তাহ। উপযুক্ত সীমার মধ্যে সত্যও বটে। কিন্তু তাহার যে-অর্থে সত্য মনে করেন, সে অর্থে সত্য নহে। ইংলণ্ডের জনপ্রতিনিধিসভার দ্বারা দেশশাসনপ্রণালী বর্তমান অবস্থায় পৌছিতে হাজার দেড় হাজার বৎসর লাগিয়া থাকিবে ; কিন্তু অন্যান্য দেশ উহা অল্পদিনেই গ্রহণ ও শিক্ষা করিয়া নিজেদের কাজে লাগাইয়াছে। গত শতাব্দীর মাঝামাঝি জাপানীরা এক আধ বৎসরের মধ্যেই উহা জাপানে প্রবর্তিত করে, অগমেরিকানরা ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ অধিকার করিবার কুড়ি বৎসরের মধ্যেই উহার অধিবাসীদিগকে আভ্যন্তরীণ সব ব্যাপারের কত্ত্বত্ববিশিষ্ট প্রতিনিধিসভা দেয়। ভারতবর্ষ প্রায় দুইশত বৎসর ইংরেজের অধীন থাকিয়াও তাহ পাইতে পারে না, ইহা অতি অদ্ভূত যুক্তি। আমেরিকার নিগ্রোরা ১৮৬৩ সাল পৰ্য্যস্ত দাস ছিল, এবং তাহারা আফ্রিকার অসভ্য জাতি হইতে উদ্ভূত। তাহারা দাসত্বমুক্ত হইয়াই আমেরিকার প্রতিনিধিতন্ত্র শাসনপ্রণালীতে ভোটদানের অধিকার পাইয়াছে। ভারতবর্ষের সভ্যতা অতি প্রাচীন, পুরাকালেও ভারতবর্ষে প্রতিনিধিনিৰ্ব্বাচন-প্রথা এবং প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৭ SSASAS SS SAAAAA SAAAA S SJSA A AMMAAA AAAA SAAAAAS AAASASAAA AAAAAS SSMSJMAAA AAAA AAAAAS S SAAAA AAAA AAAA ASASASA AAA AAAAMMJSASAS AMSMMMAMM Me AMMAAA SAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAASAAAA ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রতিনিধিতন্ত্র শাসনপ্রণালী ভিন্ন ভিন্ন যুগে ও স্থানে প্রচলিত ছিল । এই সমস্ত কথা বিবেচনা করিলে, ক্রমিকতার দোহাই । দিয়া আমাদের দাবী উড়াইয়া দিবার চেষ্টা অযৌক্তিক বলিয়া প্রতীত হইবে । দেশরক্ষাসম্বন্ধীয় আপত্তি ভারতবর্ষ নিজের সৈন্যবল দ্বারা নিজেকে রক্ষা করিতে যতদিন না পারিতেছে ততদিন তাহার স্ব-শাসন অধিকার পাওয়া উচিত নয়, এটা একটা পুরাতন বৃটিশ আপত্তি । তাহার উত্তরে বলা হইয়াছে, ষে, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি যখন স্বশাসন অধিকার পাইয়াছিল তখন তাহাদের আত্মরক্ষার ক্ষমতা ছিল না, এখনও পূরা ক্ষমতা নাই । সাইমন রিপোর্ট ইহা মোটামুটি মানিয়া লইলেও, এবং ভারতীয় সিপাহীরা যে খুব ভাল যোদ্ধা তাহ মৌনতা দ্বারা স্বীকার করিয়া লইলেও, বলিতেছেন, ভারতবষের উত্তরপশ্চিম সীমার বিপদ এবং তাহা হইতে আত্মরক্ষার সমস্তার মত সমস্যা অন্য কোন স্ব-শাসক ডোমীনিয়নের নাই। ইহা সত্য, কিন্তু ভারতবর্ষের জনবল এবং অন্তবিধ সামর্থ্যও ঐ সব স্ব-শাসক দেশের চেয়ে বেশী। তাহার পর সাইমনরা আর এক আপত্তি তুলিতেছেন। তাহার বলেন, ভারতের সৈন্যদল প্রধানতঃ পঞ্জাব, নেপাল ও মহারাষ্ট্র হইতে সংগৃহীত, দেশের অধিকাংশ অঞ্চল হইতে কোন সৈন্য পাওয়া যায় না ; এরূপ অবস্থা ইউরোপের কোন দেশে নাই, সেখানকার সব দেশের সব অঞ্চল হইতেই সৈন্য পাওয়া যায় ; ভারত-রক্ষার স্ববন্দোবস্ত তখনই হইবে, যখন সব প্রদেশ হইতেই ভাল সৈন্য পাওয়া যাইবে । ইহার উত্তরে ভারতীয় স্বাজাতিকের বলিয়া থাকেন, যে, ব্রিটিশ কুটনীতি শিক্ষায় অগ্রসর ও দেশাত্মবোধে কতকটা উদ্বুদ্ধ অঞ্চল সকল হইতে ইচ্ছা করিয়া সৈন্য লয় না। প্রত্যুত্তরে সাইমন রিপোর্ট বলিতেছেন, গত মহাযুদ্ধের সময় ত সব প্রদেশ হইতেই সৈন্ত চাওয়া ও লওয়া হইয়াছিল, কিন্তু তখনও পঞ্জাব সকলের চেয়ে