পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] নারীদের অবস্থা যে-সব শিক্ষিতা নারী অন্য সকল নারীদের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করিতেছেন, র্তাহীদের কিছু দ্যায্য প্রশংসা আছে, কিন্তু গবন্মেটি যে বরাবর নারীশিক্ষার জন্য লঙ্কণকর কম ব্যয় করিয়া আসিতেছেন, তাহার উল্লেখ নাই। নারীশিক্ষার অল্পতার কারণ কতকগুলা সামাজিক প্রথা, ইহা বলিলেই যথেষ্ট সত্য বলা হয় না । মহিলাদের প্রভাব - মহিলাদের প্রভাবের কিছু উল্লেখ রিপোর্টে আছে । কিন্তু তাহারা অনেকে সত্যাগ্ৰহ অভিযানে যেরূপ নেতৃত্ব করিতেছেন এবং অন্য বহুসংখ্যক মহিলা যে ঐ অভিযানে যোগ দিয়াছেন, তাহার উল্লেখ উহাতে নাই । তাহার কারণ সম্ভবতঃ দুটি ; [১] লিখনপঠনের বিস্তার না হওয় সত্ত্বেও রাষ্ট্ৰীয় চিন্তা কি পরিমাণে অন্তঃপুরে পর্য্যস্ত ব্যাপ্ত হইয়াছে, তাহ কমিশনের লিপিবদ্ধ করিবার অনিচ্ছা, কিম্ব [২] রিপোর্ট এত আগে লিখিত ও মুদ্রিত হইয়াছিল যে, সত্যা গ্রহের বিস্তারিত বৃত্তাস্ত সভ্যদের কাছে তখন কেহ পোছাইয় দেয় নাই ; এথন ও বিলাতে পৌছিতেছে কিনা সন্দেহ । মুসলমানদের দাবী লেপ হইয়াছে, যে, লর্ড মিণ্টোর আমলেষ্ট প্রথমে আগ থানের নেতৃত্বে কয়েকজন মুসলমান “প্রতিনিধি” তাহাদের স্বতন্ত্র নানা অধিকারের দাবী গবন্মের্ণটকে জানান । কিন্তু রিপোটে একথা লেখা নাই, যে, আগা খানের ঐ দলটি গবন্মেণ্টেরই গুপ্ত অকুরোধে বড়লাটের নিকট “ গিয়াছিল । ইহার প্রমাণ, মৌলানা মহম্মদ আলী কংগ্রেসে র্তাহার সভাপতির sifs stāts Ēgirs “command performance” অর্থাৎ দরবারী আদেশে অভিনয় বলিয়াছিলেন । তার চেয়ে ভাল এবং অকাট্য প্রমাণ তৎকালীন ভারতসচিব zré Města “fs" ( Recollections ) পুস্তকের নিম্নোদ্ধৃত কথাগুলি — "December 6. I won't follow you again into our Mahometam dispute. Only I respectfully remind you once more that it was your early speech about their extra claims that first started the Mahometan liare. I am convinced my decision was best.” -Rollections by Johm Wiscount Morley, Vol. ii. p. 325. হিন্দুমুসলমান কনষ্টেবলদের ব্যবহার ২৭৭ পৃষ্ঠায় কতৃপক্ষ কতৃক হিন্দুমুসলমান কনষ্টেবলদের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও বিরোধের সময়ও স্ব স্ব কৰ্ত্তব্যপালনের প্রশংসা আছে । এই কনষ্টেবলরা جهانی حسیح - مه وری বিবিধ প্রসঙ্গ—সাইমন-রিপোর্ট-প্রকাশ (পরিহাস ? ) 8이S) ভারতবর্ষের জনসাধারণের মধ্য হইতেই নিযুক্ত হয় । উদি পরিলেই তাহারা অসাম্প্রদায়িক রকমের ব্যবহার করিতে পারে, অথচ ঠিক তাহদেরই মত শিক্ষা সংস্কার ও প্রকৃতিবিশিষ্ট তাহদের জা’তভাইয়ের কেন ধৰ্ম্মান্ধতায় হিংস্র হয়, কৰ্তৃপক্ষ কখনও তাহার কারণ অনুসন্ধান করিয়াছেন কি ? অনেক কাগজে এরূপ বিস্তর খবর বাহির হইয়াছে, যে, ঢাকার উপদ্রবে, শুধু কনষ্টেবল নয়, উচ্চতর পুলিস কৰ্ম্মচারীদের দ্বারা ও কর্তব্য পালিত হয় নাই । কতৃপক্ষ এ বিষয়ে কি বলেন ? সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ১৬২ পৃষ্ঠায় কমিশন বলিতেছেন, এ দেশে মুদ্রণযন্ত্র ও সংবাদপত্রকে কেবল সাধারণ পিন্যালকোড, মানিতে হয়, তাহাদের স্বাপীনতার আর কোন প্রতিবন্ধক নাই । ইছ লিপিত হইবার সময় প্রেস تبتعيين - পরবর্তী অডিন্যান্স দুটি জারী হয় নাই 最 পুলিস বাক্যবাণের লক্ষ্য কমিশনের বড় দুঃখ, যে, পুলিসকে লক্ষ্য করিয়া বহু দেব ও সংবাদপত্ৰলেখকদের বাক্যবাণ নিক্ষিপ্ত হয়—তাহারা পুলিসকে ‘টার্গেট” করেন । তাহার এরূপ আক্রমণের অসঙ্গতি প্রমাণ করিবার জন্য লিখিয়াছেন, যে, কোন জায়গ৷ হইতে পুলিসের থানা উঠাইয়া লইবার প্রস্তাব হইলে সেই অঞ্চলের লোকেরা তাহা না উঠাইয়া লইবার জন্য দরখাস্ত করে । ইহার মধ্যে অসঙ্গতিটা কোথায় ? লোকে চোরবদমায়েসদের উপদ্রব হইতে রক্ষা পাইবার আশায় ঐরুপ করে—রক্ষা করাই পুলিসের কাজ । এবং প্রত্যেক থানার প্রত্যেক পুলিস কৰ্ম্মচারী অত্যাচারী ও ঘুষখোর, ইহা কেহ বলে না । কিন্তু কমিশন বা অন্য যে-কেহ যাহাই বলুন, যাহাদের সত্যবাদিত সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র ও সন্দেহ নাই এরূপ প্রসিদ্ধ ও অপ্রসিদ্ধ অনেক লোক অনেকস্থানে পুলিসের অত্যাচার স্বচক্ষে দেখিয়া তাহা ভারতবর্ষের সব প্রদেশের বড় বড় খবরের কাগজে প্রকাশ করিয়াছেন । সুতরাং পুলিসের লোকেরা সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বদা দেবতার মত আচরণ করে, ইহা ভারতবর্ষের লোকেরা বিশ্বাস করিবে না । রাজনৈতিক উদ্বোধন রিপোটের শেষের দিকে ( পৃষ্ঠা ৪০৪ ) দেশের লোকদের মধ্যে রাজনৈতিক জাগৃতি বা উদ্বোধন কতটা হইয়াছে, তাহার একটা আন্দাজ দিবার চেষ্টা করা হইয়াছে। কমিশনের মতে অবশ্ব তাহা নিতান্ত সংকীর্ণ সীমায় আবদ্ধ । কিন্তু আজকাল যে-কোন প্রদেশের গ্রামসকলের মধ্যে গিয়া কেহ খবর লইলে তাহার ভ্রম