পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃ8 حه-محیعیجمعیخ عیسیحییعیعچ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভাঙিবে। সরকারী মতে জাগরণটা খারাপ রকমের হইয়া থাকিতে পারে, কিন্তু রাজনীতি সম্বন্ধে জনসাধারণ একেবারে অসাড় থাকিলে গ্রামে পর্য্যন্ত রাজনৈতিক কারণে ধরপাকড় ও পিটুন চলিতেছে কেন ? সাম্যের দাবী রিপোর্টের শেষের দিকে সভ্যের। লিখিয়াছেন, ভারতীয়েরা ইউরোপীয়দের সহিত সমান পদবীর, সাম্যের, দাবী করে । ৭২ বৎসর পূৰ্ব্বে সাম্যের প্রতিশ্রুতি মহারাণী ভিক্টোরিয়া দিয়াছিলেন বলিয়াই যে ভারতীয়েরা এই দাবী করে, তাহা নহে । ইহা মানুষের একটা জন্মগত অধিকার । এই অধিকার ভারতীয়ের কিরূপে কথন পাইবে, কমিশন প্রথম ভাগে তাহ বলেন নাই । ←* * t ] ঢাকার উপদ্রব ঢাকার বহুদিনব্যাপী সাম্প্রত উপদ্রব এবং তাহার আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যাপার এমন অশ্রুতপূৰ্ব্ব, যে, সে বিষয়ে অনেক কথাই লিখিতে হইতেছে । গুজব শুনা যাইতেছে, ঢাকার মাজিষ্ট্রেট যে ঢাকা-হল দেখিতে গিয়াছিলেন, তাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উচ্চপদস্থ মুসলমান কৰ্ম্মচারীর আহবানে। বোধ হয়, উক্ত হলে আশ্রিত অনেক নিরাশ্রয় স্ত্রীলোক ও শিশু হয় ত বা নিকটবৰ্ত্তী মুসলমানদিগকে ও মুসলিম হলের ছাত্রদিগকে আক্রমণের জন্য আয়োজন করিতেছে, এই ভয় তাহার হইয়াছিল ! এইজন্য ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবকে লইয়া গিয়াছিলেন। আরও শুনা যায়, উক্ত মুসলমান কৰ্ম্মচারীটি দাজিলিঙস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচ্যান্সেলারকে এবং বঙ্গের শিক্ষামন্ত্ৰী মিঃ নাজিমুদ্দীনকে ঢাকা-হলের’ভীষণ অবস্থা জানাইয়াছেন । হলের প্রভষ্ট বৈজ্ঞানিক জ্ঞানচন্দ্র ঘোষও এখন দাজিলিঙে। ভাইসচ্যান্সেলার নাকি ডাঃ ঘোষকে জানাইয়াছেন এবং ডাঃ ঘোষ মুসলমানদের ত্রাস ( ! ! ) দুর করিবার জন্য যথাস্থানে অনুরোধ জানাইয়াছেন। এসব খবর সত্য হইলে, সেকেলে শেক্সপীয়ার ঠিকই fafoutfozo, “Conscience does make cowards of us all” ! মুসলমানরা, হিন্দুর মনস্তত্ব বুঝিলে এই ত্ৰাস হইত না । শুনা যায়, সম্ভবতঃ এই ত্রাস বশতঃ ঢাকা-হলের সম্মুখে সমস্ত দিন রাত দুই চারি জন মুসলমান পাহারা থাকে, এবং রাত্রি দশটার পর নবাববাড়ীর মোটর গাড়ী ঢাকা-হলের আয়ত কম্পাউণ্ড প্রদক্ষিণ করিয়া দেখিয়া বেড়ায় । খবর পাওয়া গেল, ৯ই জুন রাত্রে প্রায় হাজার মুসলমান একত্র হইয়। হল্লা করিয়াছিল, যে, হিন্দুর -- جي يسميج-- .ی .ے۔ مہیے. --م ۔حمتہ عممخ- --محم* তাহাদের বাড়ী পুড়াইয়া দিতে আসিয়াছিল। এই কল্পিত ঘটনার প্রতিশোধ-স্বরূপ তাহারা ১০ই জুন রাত্রে নবাবপুরে ধনী শু্যামচাদ বসাকের বাড়ীর সংলগ্ন একটি কাঠের গোলা পেট্রল দিয়া পুড়াইয়া দিয়াছে। শুনিয়াছিলাম, ম্যাজিষ্ট্রেট কয়েক দিন পূৰ্ব্বে শহরময় এই আশ্বাসবাণী প্রচার করিয়াছিলেন, যে, আর গৃহদাহ ও লুট হইবে না। তবে আবার উপদ্রব হইল কেন ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলমান উপাধ্যায় ও কৰ্ম্মচারীরা নাকি বলাবলি করিতেছেন, যে, ঢাকা-হল এত দিন বাহিরের এত লোককে রাখিয়াছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের মাটিঙে এই অন্যায়ের কৈফিয়ং তলব করা হইবে। বাস্তবিকই বড় গুরুতর অপরাধ হইয়াছে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে সমুদয় হিন্দু শিক্ষক, অন্য কৰ্ম্মচারী ও ছাত্রদিগকে তাড়াইয়া দেওয়া উচিত । কালিকাপুরে ও ধড়াসনায় রেডক্রসের শুশ্যাকারাদিগকে ঠেঙান হইয়াছিল । তাহার তুলনায় এরূপ - বহিষ্কার খুব মৃদু শাস্তি হইবে । শুনিলাম ঢাকায় পথে অল্প লোক চলাচল আরম্ভ হইয়াছিল ; কিন্তু ১০ই জুনের অগ্নিকাণ্ডে আবার লোকের আতঙ্ক হইয়াছে । পুলিস এখনও নাকি মুসলমান পাড়। খানাতল্লাসী করিতেছে না, তাহাদের কোন রকমে শাসনের ব্যবস্থা করিতেছে না ; অথচ হিন্দু যুবকদের গ্রেপ্তার করিতেছে । মুসলমানদের চালের ভুল কলিকাতার “মুসলমান” নামক ইংরেজী কাগজে এই মৰ্ম্মের কথা লেখা হইয়াছে, যে, স্বরাজলাভের চেষ্টায় মুসলমানদেরও যোগ দেওয়া উচিত। আমাদেরও মত তাই । অবশ্য মহাত্মাজীর সত্যাগ্রহ প্রচেষ্টায় কেহ ধোগ দিবেন কি দিবেন না, তাহ। তাহার স্বেচ্ছাধীন। কিন্তু স্বরাজ লব্ধ হইলে তাহার ফল ভোগ সকল ধৰ্ম্মাবলম্বী লোকেই করিবেন , সুতরাং যিনি যে বৈধ উপায় ভাল মনে করেন, তাহার সেই উপায়েই স্বরাজ লাভের চেষ্টা করা উচিত । তাহা না করিয়া অনেক মুসলমান ইংরেজদিগকে খুশি করিয়া তাহাদের নিকট হইতে বেশী সুবিধা যোগাড় করিবার চেষ্টায় আছেন । কিন্তু তাহাদের জানা উচিত, খুব শীঘ্র না হইলেও, অনতিবিলম্বে ভারতবর্ষে অন্ততঃ আংশিক স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইবে। অর্থাৎ সৈন্যদল, বিদেশের সহিত সম্বন্ধ এবং দেশী রাজ্যগুলির সহিত সম্বন্ধ, জোর এই তিনটি বিষয় বাদে আর সব আভ্যন্তরীণ বিষযে ভারতীয় লোকদের কর্তৃত্ব স্থাপিত হইবে। কতক মুসলমান স্বরাজ প্রচেষ্টায়