পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] AAA AAASA SAASAASSAAAAAAMAMA AMMMS AAAAA AAAA AAAA AAAA S করি। আস্বাদনের রস আমরা বহিরিস্ক্রিয় দিয়া উপভোগ করি, কাব্যের রস, ঋষিপ্রোক্ত রস আমরা অন্তরিক্রিয় দিয়া উপভোগ করি। উপভোগ করি বলিয়া আমরা আনন্দ পাই। রস তাই আনন্দময় অনুভূতি । আর একবার ওয়াটুস-ডাণ্টনের কাব্য-বিচারে ফিরিয়া আসা যাক। র্তাহার মতে কাব্য প্রথমত any expression of imaginative feeling wits, কল্পনাত্মিক অনুভূতির প্রকাশ, দ্বিতীয়ত কাব্য ললিত zostefăsă qos, one of the fine arts. Kotoyoto এই বিবৃতি অতি যথার্থ। আমরা দেখিয়াছি, রূপ দেওয়ার কৌশলই কলা বা আর্ট। চিত্র সঙ্গীত কাব্য প্রভৃতি রচনার সম্পর্কে আমরা কিন্তু আটকে একটি বিশেষণে বিশেষিত করি, এগুলিকে বলি ফাইন আর্টস বা ললিতকলা ৷ ললিত কলার উদ্দেশ্য সৌন্দর্য্যের স্বষ্টি। যে-সকল কলায় সাংসারিক প্রয়োজন সিদ্ধ হয়, আর্টের অন্তর্গত হইলেও সেগুলিকে আমরা ফাইন আর্টস বলি না। প্রকাশ-কৌশলের উপর বিশেষ- ' ভাবে জোর দিবার জন্যই সমালোচক দ্বিতীয় সূত্রটিতে কাব্যকে ললিতকলা বলিয়া ধরিয়াছেন । আমরা দেখিয়াছি, রস অনুভূতি মাত্র। দেখিয়াছি যাহা ব্যক্ত করা হয়, তাহাই বাক্য ; কাজেই বাক্যকে expression বলিলে ভুল করা হয় না । সুতরাং any expression of imaginative feeling at: ‘otto বাক্যম্’ এ দুটি সংজ্ঞার মধ্যে পার্থক্য নাই বলিলেই হয়, প্রভেদের মধ্যে শেষেরটি সংস্কৃতে আর আগেরটি ইংরেজিতে লেখা। অতএব কাব্যে সাহিত্যে বা যে-কোন কলারচনায় রূপের বিচারই চরম নয় এবং রসের বিচারও চূড়ান্ত নয় । চিত্রে দেখি শিল্পীর মনোভাব বর্ণে ও রেখায় মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়াছে। শিল্পীর মনের আবেগ যে-পরিমাণে দর্শকের চিত্তে সঞ্চারিত হয়, রসস্থষ্টি হিসাবে রচনা সেই পরিমাণে সার্থক। কিন্তু ভাব-নিরপেক্ষ হইয় রূপ-হিসাবে বণ ও • রেখার সমগ্রতারও একটা মূল্য আছে। - বলিবার স্ববিধা হয় বলিয়া আমরা রূপ ও রসকে রূপ ও রস VII) مضي« هیمیي مییات عیبه میی পৃথক করি। সত্য কথা বলিতে গেলে রূপ ও রসের পৃথক অস্তিত্ব নাই । রসকে অবলম্বন করিয়া রূপ আপনাকে প্রকাশ করে। আবার রূপের আশ্রয়ে রস ফুটিয়া ওঠে । অবচ্ছিন্নভাবে ধরিলে কথা দুইটি নিরর্থক হইয় পড়ে। রস থাকিলে রূপ থাকিবেই। আবার রূপের অন্তরে রসের সন্ধান কিছু-না-কিছু মিলিবেই। এমন রচয়িত আছে রূপেই যাহার আগ্রহ অধিক । আবার এমন স্রষ্টাও আছে রসেই যাহার পরিতৃপ্তি। কাহারও রচনায় দেখি রূপ রসকে ছাড়াইয়া গেছে, কাহারও রচনার দেখি রসের পরিস্ফুর্টতার কাছে রূপ স্নান হইয়া আছে। দু'জন শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব কবির কাব্যের আলোচনা করা যাক। উভয়েই রসিক। তবে বিদ্যাপতি প্রধানত রূপের পূজারী, চণ্ডীদাস মূলত রসের উপাসক। জলধর তিমির চামর জিনি কুন্তল অলকা ভূঙ্গ শৈবালে । ভাঙলত ধমু अभद्र छूछत्रिनी জিনি আধ-বিধু বর ভালে । নলিনী চকোর সফর সব মধুকর মৃগী খঞ্জন জিনি জাপি । নাসা তিলফুল গরুড়-চঞ্চু জিনি গিধিনী শ্রবণ বিশেখি ॥ রাধার কুস্তলের সঙ্গে জলধর তিমির এবং চামর, অলকার সঙ্গে ভূঙ্গ এবং শৈবাল, ভ্রলতার সঙ্গে ধনু ভ্রমর এবং ভুজঙ্গিনী, কপালের সঙ্গে অৰ্দ্ধচন্দ্র, নয়নের সঙ্গে নলিনী চকোর সফরী মধুকর মৃগী এবং খঞ্জন, নাসিকার সঙ্গে তিলফুল এবং গরুড়-চঞ্চু, শ্রবণের সঙ্গে গৃধিনী, এমনি করিয়া বিদ্যাপতি উপমার পর উপমা সাজাইয়া চলিয়াছেন। উপমার ঐশ্বর্ষ্যের ভিতর দিয়া রাধার রূপ ফুটিয়া উঠিয়াছে। বিদ্যাপতির পদও রূপে উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে । ইহার সহিত চণ্ডীদাসের দু’একটি পদাংশের তুলনা করা যাক । সই, কিবা সে মধুর হাসি । , হিয়ার ভিতর পাজর কাটিয়া মরমে রহিল পশি । • কিংবা— ভালের সিন্দুর আাধেক আছিয়ে নয়নে আধ কাজল ।