পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NO8 फॅीन नि७iप्लिब्र এমন করিয়া কেবা নিল এ সকল ॥ এখানে দেখি বাহিরের দিকে চণ্ডীদাসের চোখ নাই । রূপ দিবার চেষ্টা নাই । অস্তরের রস আপনার আবেগে আপনাকে ব্যক্ত করিয়াছে। তাই তাহার পদাবলীর মধ্যে স্বল্প এবং সামান্য কথার আবরণে ক্ষণে ক্ষণে অপূৰ্ব্ব রসের সাক্ষাৎ পাই । হইতে হইতে অধিক হইল সহিতে সহিতে মনু । কহিতে কহিতে তমু জর জর পাগলী হইয়া গেনু ॥ অথবা— সে রূপ সায়রে নয়ন সে গুণে বাধিল হিয়া । সে সব চরিতে ডুবিল যে চিতে নিবারিব কিবা দিয়া ॥ এমন সব পদ চণ্ডীদাসেই সম্ভব । ইংরেজি হইতে উদাহরণ লওয়া যাক । শেলী ও কীটুসের কাব্য আজ ক্ল্যাসিকের অন্তর্গত। উভয়ের রসাভিব্যক্তির শক্তি সম্বন্ধে কাহারও সন্দেহ নাই । কিন্তু কিছু অবহিত হইলেই দেখা যাইবে, একজন রস অপেক্ষ রসমূর্তিরই অধিক পক্ষপাতী, আর একজন রূপকে উপেক্ষ না করিয়াও বিশেষভাবে রসের অনুরাগী । Yet she had, Indeed, locks bright enough to make me mad : And they were simply gordian'd up and braided. Ileaving. in naked comeliness, unshaded, Her pearl round ears, white neck. and orbed brow ; The which were blended in, I know not how, With such a paradise of lips and eyes, Blush-tinted cheeks, half smiles, and faintest sighs, That when I think thereon, my spirit clings And plays about its fancy ........ বেণী-নিবন্ধ উজ্জ্বল অলকদাম, স্বগোল মুক্তামস্বণ শ্রবণযুগল, শুভ্র গ্রীব, বঙ্কিম ভ্র, নয়ন এবং অধরের অতুল ঐশ্বৰ্য্য, রক্তিম কপোল, স্মিত হাসি এবং অতি ঈয়ং দীর্ঘশ্বাস—ফুটাইয়া তুলিবার জন্য কীট্‌স তাহার অসাধারণ রূপ-বিধায়িনী শক্তির প্রয়োগ করিয়াছেন। . এইরূপ বর্ণনার সম্পর্কে শেলীর কাব্য-পদ্ধতি আলোচনা করা যাক। প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ করে । [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড A ဖ္ရင္ဆို႔ lady garmented in light rom her own beauty—deep her eyes, as are Two openings of unfathomable night - Seen, through a Temple's cloven roof-her, hair Dark—the dim brain whirls dizzy with delight, Picturing her forin. নিজের সৌন্দর্য্যের আলোকই যাহার এ পরিধান, অতলস্পর্শ রাত্রির মত গভীর যাহার চোখ, কাল যাহার কেশ, যাহার মূৰ্ত্তি কল্পনা করিতে আনন্দের আতিশয্যে দুৰ্ব্বল মস্তিষ্ক ঘুরিয়া যায়, সেই নারীকে আঁকিতে গিয়া শেলী বাহিরের রূপ অপেক্ষ হৃদয়ের অনুভূতিকেই প্রাধান্য দিয়াছেন। শেলী তাই মূলত রসের উপাসক। রূপ ও রসের পরিপূর্ণ স্বসঙ্গতি দু’একজন শ্রেষ্ঠ কবির মধ্যেই দেখিতে পাই । তাই কালিদাসের কাব্য-সুষমা আমাদের চিরদিন আনন্দবিধান করে । কালিদাস কবি-শ্রেষ্ঠ । বাক্যে বর্ণে স্বরে প্রস্তরে আমরা নানারূপে মনোভাব প্রকাশ করিতে পারি। বিষয়ের নিজস্ব মহিমা অনুভূতির গভীরতার সঙ্গে মিলিত হইয়া রসের উৎকর্ম বিধান যে-সকল্প ভাব অল্পসংখ্যক মানুষের মনেই সীমাবদ্ধ, প্রকৃত রসোদ্বোধনে সেগুলি বিশেষ সহায় নহে। শ্রেষ্ঠ রস বিশ্বজনীন ভাবের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত । ভাবের মহিমা ও রসের শ্রেষ্ঠত বিচার না করিয়া যখন আমরা যে-কোন বিষয়ের প্রকাশের সৌষ্ঠবের দিকে মাত্র লক্ষ্য রাখি, তখন আমরা রূপকে প্রধান করি। কেমন করিয়া প্রকাশ করিব তাহার প্রতি দৃষ্টি না রাখিয়া যখন শ্রেষ্ঠ ভাবটির দ্বারাই আমরা অকুপ্রাণিত হই, তখন রসই প্রধান বস্তু হইয়া পড়ে । রস যিনি অনুভব করেন তিনি দ্রষ্টা । যিনি রূপ দেন তিনি শ্রষ্টা। যিনি শুধু দ্রষ্টা তিনি ঋষি হইতে পারেন, কবি নন। স্রষ্টাই শুধু কবি, কেন-না স্বষ্টির মধ্যে রস ও রূপ একত্রে মিলিয়াছে। আজকাল আর্টিষ্ট কথাটির গৌরব বাড়িয়াছে । কলারচনায় রূপ-নিরপেক্ষ রস নাই, রস-নিরপেক্ষ রূপও নাই। আমরা রূপকে রস হইতে পৃথক করিয়া দেখি না। রসই রূপায়িত হইয়া নূতন স্বষ্টি সম্ভব করে। তাই আর্টিষ্ট অর্থগৌরবে আজ স্রষ্টার আসন গ্রহণ করিয়াছে । * সেই রসকে

  • রবি-বাসরের অষ্টম অধিবেশনে পঠিত