পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

واس8b সেইরূপ বাপ যখন পুনরায় জলে পরিণত হয় তখন এই তাপ বাহির করিয়া দেয় । এইরূপ তাপ নিগমের ফলে যে বায়ু উদ্ধে উঠিয়া ঠাণ্ডা হইয়া গিয়াছিল তাহা পুনরায় উষ্ণতা প্রাপ্ত হয় এবং আরও অধিক উদ্ধে উঠিতে থাকে। উৰ্দ্ধে উঠিতে উঠিতে বায়ু ঠাণ্ড হইয়া আরও অধিক পরিমাণে জলীয় বাপ মেঘে পরিণত করে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাপনিগমের ফলে অধিকতর উদ্ধে উঠিতে থাকে। যখন এইরূপে প্রায় অধিকাংশ জলীয় বাষ্প মেঘে পরিণত হইয়া যায় এবং উৰ্দ্ধে উখিত বায়ু তাপ হারাইয়া পারিপাশ্বিক বায়ুর তাপের সঙ্গিত সমত প্রাপ্ত হয়, তখন অণর উহার উদ্ধে উঠিবার ক্ষমতা থাকে না । কিন্তু সেই অবস্থায় উহার স্থির ঘটায়s উপায় নাই, কারণ নীচ হইতে উষ্ণ হাওয়া স্থান-ত্যাগের জন্য ক্রমাগত ধাক্কা দিতেছে। এইরূপ অবস্থায় পূৰ্ব্বোক্ত মেঘপূর্ণ হাওয়া ক্ষিতিজ রেখার সহিত সমান্তরালভাবে চতুর্দিকে ছড়াইয়া পড়ে এবং দিষ্মণ্ডল ঘন মেঘে আবুত করিয়া মুষলধারে বৃষ্টিপাত আরম্ভ করে । বৃষ্টিপাতের দরুণ চতুর্দিকে বিস্তুত এই উপরের ঠাণ্ড হাওয়াতে আর জলকণা থাকে না এবং উহা বহুদূরে যাইয়া ধীরে ধীরে নিম্নে অবতরণ করিতে থাকে ; কারণ হাওয়া ঠাণ্ড হইলে একটু ভারী হয় । পরে ধীরে ধীরে পূৰ্ব্বোক্ত ঝড়ের কেন্দ্রমুখী প্রবাহিত হাওয়ার সঙ্গে পুনরায় একীভূত হইয়া যায়। ు s R -انتظ o ভূতলস্থল মস্থল নচ ঝড়ের বায়ুচক্র (উৰ্দ্ধ অধঃ ভাবে ) HOH সমুদ্রের উপর দিয়া গমনের সময় এই হাওয়া সমূদ্রের জল হইতে পুনরায় বাষ্প গ্রহণ করিতে থাকে। সুতরাং যখন ঝড়ের কেন্দ্রস্থানে উপস্থিত হয় তখন উহা প্রায় পূৰ্ব্বের ন্যায়ই বাষ্পপূর্ণ থাকে এবং পূৰ্ব্বোক্ত উপায়ে উদ্ধে প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ AAA AAAS S AAAAAMSMMAMSAMAMASAMMAMAMS MAMAMSAS AMM AAAAA [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড উঠিতে উঠিতে মেঘের সঞ্চার করিতে থাকে। এইরূপ বাপ হইতে মেঘ, এবং হাওয়ার গতির উদ্ধ হইতে নিম্নে চক্রাকারে পরিবর্তন অহনিশ ঘটিতে থাকে। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে, পৃথিবীর দৈনন্দিন ঘূর্ণনের জন্য ঝড়ের কেন্দ্রমুখী প্রবাহিত বায়ুর ঘটিকা-যন্ত্রের কাটার বিপরীতভিমুখে চক্রাকারে গতি উৎপন্ন হয়। এখন আবার আমরা দেখিতে পাইতেছি যে উৰ্দ্ধে উখিত বায়ুরও এইরূপ একটা চক্রাকার গতি আছে । এই উভয় প্রকারের গতি মিলিয়া ঝড়কে একটা নিজস্ব সত্তা দান করে, এবং উহা দুই ভিন শত বর্গমাইলব্যাপী বায়ু নিজ দেহের ভিতরে গ্রহণ করে । একটু কল্পনা করিলেই বুঝিতে পারা যায়, ঝড়ের এই বিশাল নিজস্ব দেহ আরও একটা বিশালতর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে নিহিত আছে। এই বিশালতর বায়ুমণ্ডলেরও একটা নির্দিষ্ট গতি আছে ; এই গতির দিক যেদিকে উহার অভ্যস্তরস্ত ঝড়ও সেইদিকে চলিতে থাকে । সাধারণতঃ এই গতির মাত্রা ঘণ্টায় দশ হইতে বিশ মাইল হইয় থাকে । বিশালতর বায়ুর গতির দিক যদি উত্তরাভিমুখী হয় তাহা হইলে ঝড়ও ঐরূপ গতিতে উত্তরাভিমুখে চলিতে থাকে। দক্ষিণ-পশ্চিম মনস্কন যখন ভারত-সাগরের উপর দিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে থাকে তখন বঙ্গসাগরের উপরস্থ হাওয়ার গতি সাধারণতঃ উত্তর-পূৰ্ব্বাভিমুখী হইয় থাকে । এই নিমিত্ত এই সময়ের বঙ্গসাগরে উৎপন্ন ঝড়গুলি আরাকান-তীরের উপর দিয়া ব্ৰহ্মদেশে প্রবেশ করে। চলিতে চলিতে কখনও দিক পরিবর্তিত হইয়৷ বঙ্গদেশেও প্রবেশ করে । বর্ষার পরে উত্তর-পূৰ্ব্ব মনসুন ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে থাকে। এইজন্য এই সময়ের ঝড়ের দিক সাধারণতঃ পশ্চিমাভিমুখী হয়, এবং ইহার করোমণ্ডল তীরের উপর দিয়া মান্দ্রাজে প্রবেশ করে। কখনও কখনও দাক্ষিণাত্য পার হইয়া এই ঝড়গুলি আরব-সাগরে আসিয়া পৌছায়, এবং পুনরায় সমুদ্র হইতে জলীয় বাষ্প গ্রহণের স্বৰ্যোগ পাইয় ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করে। ইহার চলিতে চলিতে কখনও আফ্রিকায়, কখনও আরবে আসিয় পৌঁছায় এবং মরুভূমির উপরে জলীয় বাষ্প না