পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বঙ্গসাগরের ঝড় ও তাহার প্রকৃতি 8b~ዓ بیA-مسٹ-ب۔۔۔۔۔۔ ۔ م۔م۔مبہمہ۔بی۔سی۔سی۔ہیں۔ পাইয়া বিনষ্ট হইয়া যায়। বঙ্গসাগরের উপরে বর্ষার পরের হাওয়ার গতি সাধারণতঃ পশ্চিম অভিমুখী হইলেও এবং উহার অভ্যন্তরস্থ ঝড় প্রথমে পশ্চিম অভিমুখে চলিতে থাকিলেও, কখনও কখনও দিক পরিবর্তিত হইয়া ঐ ঝড় উত্তরাভিমুখে চলিতে থাকে এবং বঙ্গদেশে আসিয়া প্রবেশ করে । ঝড়ের উৎপত্তির পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারের কল্পনার মধ্যে অনেক সত্য রহিয়াছে, ইহা বৈজ্ঞানিকগণ বহুদিন যাবৎ মনে করিয়া আসিতেছেন । কিন্তু সম্প্রতি নরওয়ে প্রদেশের বিয়ার্কনিস প্রমুখ বৈজ্ঞানিকগণ আটলাণ্টিক সাগরে যে ঝড় হয় তাহার উৎপত্তির আর এক প্রকারের কারণ অনেক পরীক্ষার পর স্থির করিয়াছেন। ইহারা দেখাইয়াছেন যে, উত্তর-মেরুপ্রদেশ হইতে দক্ষিণাভিমুখী হাওয়া যখন গ্রীষ্মমণ্ডল হইতে উত্তরাভিমুখী প্রবাহিত উষ্ণ বায়ুর সঙ্গে ধাক্কা খায় তখন এই দুই প্রকারের হাওয়ার সঙ্গমস্থলে তুমুল সংগ্রাম আরম্ভ হয়। উষ্ণ হাওয়া বৃত্তাকারে উত্তর-পশ্চিম কোণাভিমুখে অগ্রসর হইয়া সৰ্ব্বপ্রথম ঠাণ্ডা হাওয়াকে আক্রমণ করে এবং উহার ঘাডে চড়িয় বসে। ঠাণ্ডা হাওয়া এই আক্রমণ নিশ্চেষ্টভাবে গ্রহণ না করিয়া একটু ঘুরিয়া বিপরীত দিক হইতে, অর্থাৎ পূৰ্ব্ব কোণ হইতে, উষ্ণ হাওয়াকে আক্রমণ করে এবং উহাকে আরও অধিক উদ্ধে তুলিয়া দেয়। এই আক্রমণের ফলে ঐস্থলে সমুদ্রের উপরিতলের হাওয়ার ঘটিকা-যন্ত্রের র্কাটার বিপরীত দিকে চক্রাকারে গতি উদ্ভূত হয়, এবং উষ্ণ হাওয়া উদ্ধে উখিত হওয়ার দরুণ উহার জলীয় বাষ্প ঘন মেঘে পরিণত হইয়া মুষলধারে বর্ষণ আরম্ভ করিয়া দেয়। ঠাণ্ডা ধায় . ہاتح ---صٹر / ঠাণ্ডা বায়ু এবং উষ্ণ বায়ুর সংস্পর্শে ঝড়ের উৎপত্তি (ছায়া চিহ্নিত স্থানে বৃষ্টিপাত হইয়া থাকে ) বঙ্গসাগরের ঝড়ের উৎপত্তির এই প্রকার কারণ নির্দেশের প্রধান বাধ এই যে, উহার চতুদিকের হাওয়ার তাপের বিশেষ তারতম্য লক্ষিত হয় না । কিন্তু তথাপি কেহ কেহ অনুমান করেন যে, সমুদ্র হইতে উত্তর কিংবা উত্তর-পূৰ্ব্বাভিমুখী প্রবাহিত বায়ু, এবং স্থল হইতে দক্ষিণ কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিমাভিমুখী বায়ুর সংঘর্ষ এইরূপ ঝড়ের উৎপত্তির আদি কারণ। এইরূপ অনুমান করিবার প্রধান হেতু এই যে, ইহা হইতে বর্ষার পূর্বের এবং পরের ঝড় কি জন্য দক্ষিণ-বঙ্গসাগরে এবং বর্ষাকালের ঝড় উত্তরবঙ্গসাগরে উৎপন্ন হয় তাহা অনুধাবন করা যায়। কারণ সৰ্ব্বদাই দেখা যায়, ঝড় এই দুই প্রকারের হাওয়ার মিলনস্থলে উৎপন্ন হয়। বর্ষার পূৰ্ব্বে ও পরে এই মিলন ১৯১৯ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর ৮ ঘটিকার সময় বঙ্গসাগরের ঝড়ের বায়ুচক্র ( এই ঝড় ২৪শে মধ্যরাত্রিত্রে এবং ২৫শে প্রাতঃকালে পূর্ববঙ্গের উপর দিয়া বহিয়া যায় ) বঙ্গসাগরের দক্ষিণে এবং বর্ষার সময়ে বঙ্গসাগরের উত্তরে ঘটিয়া থাকে । পূৰ্ব্বোক্ত দুই প্রকারের হাওয়ার তাপের বিশেষ পার্থক্য না থাকিলেও ইহাদের অন্যান্য গুণ—যেমন, অভ্যন্তরস্থ জলীয় বাষ্প কিংবা উদ্ধ দিকে তাপ-মাত্রার হ্রাস,—সমান নহে । যদিও ঝড় উৎপত্তির প্রথম অবস্থায় ঐ দুই প্রকার