পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] AeeSAAAAAAASAAAA গুছিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখে উনানে জল ঢেলে রেখে যখন সে শোবার উদ্যোগ করছে তখন বেল প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল । আর সেদিন নিয়ে উপরি উপরি তিন দিন প্রায় আর কিছু খাওয়া হয়নি । স্বামী কোথায় গিয়েছেন জান নেই। কথন ফিরবেন তাও স্থির নেই । পৈতৃক ঋণের স্বদে স্বদে সব সঙ্গল শেষ । তবুও দেনায় মাথার চুল অবধি বিক্ৰী । ভবিধুতের ভাবনা ভাবতে ইচ্ছ। করে না । ভয়াবহ দিন নিয়ে উপস্থিত। চরম সময় ভগবানকেই নারী ডাকে । প্রবৃত্তি হয় না । শিশুকাল হতে হিন্দুর মেয়ে ঈশ্বরকে বুক দিয়ে অন্স ভব করতে শেখে, তাকে প্রত্যক্ষ জ্ঞান করে। কিন্তু আজ তার সে অটল বিশ্বাস নেই । চোখে এক ফোট জল নেই, কণ্ঠে ভাষা নেই, হৃদয়ে কিছু অভিযোগ ও বুঝিব। নেহ । বর্তমান ও マの「S বাপ নেই—ম নেই। আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই। এক ধনী মামাশ্বশুর আছেন, তিনি খোঁজখবর নেন না। বিতৃষ্ণায় মমতারও তার শাস্তি ভঙ্গ করতে ইচ্ছা হয় না। প্রত্যক্ষ নারায়ণ আছেন, তুলসী বৃক্ষ । নিত্য তার তলায় দীপ জেলে দেয়। কিন্তু প্রার্থনা করে না, কেবল প্ৰণাম করে। কেন বৃথা তার শান্তি ভঙ্গ করা। স্বামীকে কিছু বলে না—বলা বৃথা । বিষম বিতৃষ্ণায় সে তারও শান্তিভঙ্গ করতে ইচ্ছা করে না। নিজের মন ? হুঁ, সেইটী শান্তিতে রাখা সব চাইতে শক্ত। তবু সে যথাসম্ভব চিন্তা করে না। যা হবার হোক। ছেলেমেয়ে ন-খেয়ে মারা যাক দেনার দায়ে স্বামী জেলে যান— বাড়িভাড়ার জন্য অপমানিত হতে হোক—যা-কিছু সব হোক—সে কিছু ভাবতে চায় না। বৃথা কামাকাটি করে নিজের মনের শাস্তির ব্যাঘাত করতেও সে ভালবাসে না । বিশ্রাম-সময়ে নিভীক বীরের মত নিজের ভবিষ্ণুৎটাকে নানারূপে সম্ভব অসম্ভব দুঃখের ছবিতে গড়ে তোলে, নিম্পন্দ হয়ে তাই দেখে । চোথের পাতায় পলক পড়ে না। আর বুঝি তাতে নেই যে ঝরবে। একফোট জলও প্রাণের দাবী SAMAMMSAAAAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS A SAS A SAS S S S S S S S S S 8S) w) স্বামীর সামনে সকালের বাড়া ভাত-ব্যঞ্জন ধরে দিয়ে প্রদীপ জেলে মমতা বসেছিল । নিণিনেষদৃষ্টি স্বামীর অল্পের দিকেই নিবদ্ধ করে সে ভাবছিল। এই ধে মহাপুরুষটি খোজ রাখেন না, খবর করেন না, শান্ত নিরহের মত যা পান খান, কোথা হতে এসব এল জানবারও ধার প্রয়োজন নেই, একেই স্বস্তিতে রাখবার জন্য সে ভিক্ষা করছে । নিজের সমস্ত সম্বলবিক্রা করেছে । - রোধে ভাত দেওয়া । পরকে তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানোতে যে আনন্দ আছে সে-রকম আনন্দ নারী জীবনে আর কিছুতেই নেই। তবু এসব সে পায় কোথ। হতে ? নিত্য পলে পলে অভাব, পলে পলে তুঃথ—এ পাষাণ প্রাণে ও যে, আর সহ হয় না । জননীর কৰ্ত্তব্য, স্ত্রীর কৰ্ত্তব্য সব কি তারই জন্য সৃষ্টি হয়েছিল ? আর কি কারোর কৰ্ত্তব্য বলে কোন দায়িত্ব থাকতে নেই ? সহসা মৰ্ম্মভেদী একটা দীর্ঘশ্বাস মমতার বক্ষ মথিত করে বের হয়ে এল । চমকে মুখ তুলে অনাথ জিজ্ঞাসা করলেন,“কি হ’ল গা ?” “না:, কিছু না ।” মমতা উঠে দাড়াল। অঁাচাতে জাচাতে অনাথবন্ধু বললেন, “আজ সারা দিন ভারি খাঢ়নী গিয়েছে। বিছানাট। পেতে দাও ত ।” মমতা বলল, “বিছানা পেতেই রেখেছি ।” “রেখেচ ? আঃ, বাচলাম। যতীন দাস মারা গিয়েছেন জান ত,আজ রাত্রেই তার মুতদেহ হাওড়ায় আসবে। তারই যথাবিহিত ব্যবস্থা হচ্ছে । সেই দলেই ছিলাম সারাদিন । আবার খানিক বাদেই চলে যাব । রাত্রে ফিরব কি ন৷ বলতে পারি না । তুমি দোরটা বন্ধ করে দিয়ে শুয়ো।” স্বামী অনর্গল বকে গেলেন। মমতা একটিও হুঁ হু ন দিয়ে চুপ করেই বসে রইল । বলবারই বা তার অাছে কি ? এই সহরের একটা চাকরদাসীশূন্ত আত্মীয়স্বজনশূন্ত বাড়ীতে এক অসহায় দুটি ছোট ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে যে স্ত্রীকে ফেলে যেতে পারে তাকে বলবারই বা মমতার কি থাকতে পারে ? পানিক বাদে স্বামী আবার নিজেই বললেন, “উঃ !