পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা রোজ গয়না বিক্ৰী ত আর আমি .-്- مبہم بیم۔ایم۔ مقامی. এরকম করে রোজ করতে পারি না ,” শ্বশুরও মারা গিয়েছিলেন এই তুলসীতলায়। তিনিও মারা যাবার সময় তাকে বলে গিয়েছিলেন, “ম, আমি তোমাদের অকুলে ফেলেই চললাম। তবু ভগবান আছেন, র্তার মঙ্গলবিধানে অমঙ্গল হতেই পারে না । অনাথ এখন যাই করুক, সংসার ঘাড়ে পড়লে সবই শিখবে। তাকে কিছু বলতে হবে না।” তা সে তাদের দুজনের অনুরোধই জীবনভোর প্রতিপালন করেছে। র্তার দুজনে তাদের অনাথের দিক্‌টাই দেখেছিলেন, কিন্তু রক্তমাংসে গড় ক্ষুধাতৃষ্ণার অধীন এই বধুর দিকে তাদের একটুও দৃষ্টি ছিল না, বললে কি খুবই অত্যুক্তি করা হয় ? অথচ তপন তার কতই বা বয়স । সবে ষোল বংসর মাত্র। অনেক বাসনা-কামনা তখন তার হৃদয়ের প্রতি রন্ধে, পোর। তবুও সে নিজের জীবনের ব্যর্থতায় বেশী কষ্ট পায় নি। কিন্তু সস্তানের জননী হয়ে তার একি কষ্ট । একি দুঃখ! একি সমস্যা ! অথচ ঐ ছেলে দুটি না হ’লে সে বাচত বা কি করে ? এত দুঃখঝঞ্চ সইত কি করে, যদি ন৷ ঐ শিশু তার বন্মের কাজ করত ? পৃথিবীর কঠিনতম বন্ধনে তারা তাকে বেঁধে রেখেছে যে ! ঐ যে তার ঘর, ঐ কড়িকাঠগুলি কত মুখর কলরব, কত উচ্ছল আনন্দ, কত নীরব ব্যথা, কত অশ্রজলের মৌন সাক্ষী । যদি আজ তাদের ভাষা ফুটত, তা হ’লে হয়ত তারা সমস্বরে চেচিয়ে বলত,—“মমতা—মমত-তুই যাসনে— যাস্নে।” १ ঘরের মাটি বুক দিয়ে আঁকড়ে মমত। খানিক পড়ে রইল। শত শত বন্ধনে এ বাড়ীর ঘরদ্বার আজ তাকে টানছে—তবু তাকে যেতে হবেই। - যে স্বামীর উপর এতদিন বিতৃষ্ণর অবধিও ছিল না— আজ র্তারই উপর করুণ। তাকে সব চাইতে বাধা দিতে ( \ حــ إني لأنية প্রাণের দাবী 8›ፃ


--ു.ബുക്കു

লাগল। আজ র্তারই উপর দুকূল ছাপিয়ে ষে সব ভালবাসা-প্রীতির বান এসে পড়ল, এতদিন তারা ছিল কোথায় ? নিত্য অভাব, নিত্য দুঃখ, নিত্য যাতনার মধ্যে কি তার অস্তরের এই এত বড় ভালবাসার বহ্নিও চাপা পড়ে গিয়েছিল ? অথচ আজ যখন সে সবই পরিত্যাগ করে স্বামীর ঋণস্থদ্ধ পরিশোধের ব্যবস্থা করে ফেলেছে, তখন এই চিরদিনকার ভুলে থাকা–তুলে যাওয়া ভালবাসার বহি দাউদাউ করে জলে উঠল কেন ? কি তার প্রয়োজন ছিল ? আজ সেই বহির দাহে তার যে মনে হচ্ছে, শত দুঃখ, শত লাঞ্ছনা, শত শত কষ্ট অনাদর সহ করে থাকাও এর চাইতে ভাল । এমন করে পরিত্যাগ করে যেতে সে এই বদ্ধ অন্ধ বধির সমাজকেও পারছিল না । শত কষ্টের ভিতরও তার চিরচেনা গুহস্থালী তার চিরদিনকার পিতামহী মাতামহীর সংস্কার—নারী-জীবনের প্রধান স্বৰ্গ-তাকে দুৰ্ব্বার আকর্ষণে টানছিল । কিন্তু যতই হোক, সস্তান-হত্য সে জননী হয়ে করে কি করে ? তাদের মৌনভাষার আবেদন তিলে তিলে দিনে দিনে অগ্ৰাহ সে করবে কি করে ? তাকে যেতে হবেই জমিদার-পুত্রের জমিদারীতে থিয়েটারের অভিনেত্রী হয়ে। সম্পূর্ণ অজানা এক গন্তব্য পথ মাত্র তার সামনে, আর কিছুই সে দেখতে পাচ্ছে না । রাত্রি প্রায় বারোটা বাজল দ্বারে একটা গাড়ী দাড়াবার শব্দ হ’ল । মমতা চমকে উঠল । একবার এই ইট কাঠ দিয়ে তৈরী বাড়িটার দিকে চেয়ে দেখল। তারপর ঘুমন্ত ছেলেমেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সব দ্বিধা জোর করেই ত্যাগ করে উঠে দাড়াল । স্বামীর আহায্য গুছিয়ে ঢাকা দিয়ে রেখে সাংসারিক অায়ব্যয়ের খাতাখানি বিছানার উপর রাখল। তারই উপর আঁচলের রিংমৃদ্ধ চাবির থলোও রেখে দিল, এ যেন সমস্ত গুহিণীপনার হিসাব-নিকাশ শোধ করে তারই • পদত্যাগের নোটীশ-পত্ৰ ! ● শত তালিবিশিষ্ট শতছিদ্র স্বামীর বহু ব্যবহৃত পুরানো মলিন জুতো জোড়াটার ধূলি ঝেড়ে মাথায় দিয়ে