পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] অপরাজিত άδΣ সামনের লাল-নীল ইলেকটিক আলোর মালা জালাইয়৷ দিয়াছে, দু’চারখানা মোটর ও জুড়ি গাড়ী আসিতে স্বরু করিয়াছে। লুচি ভাজার মন-মাতানো স্বগন্ধে বাড়ীর সাম্নেটা ভরপুর। হঠাৎ অপু দাড়াইয়া গেল । ভাবিল—যদি গিয়ে বলি আমি একজন পুওর টুডেন্ট-- সারাদিন খাইনি—তবে খেতে দেবে না ?.ঠিক দেবে— এত বড় লোকের বাড়ী, কত লোক তো খাবে— বলতে দোম কি – কে-ই বা চিনবে আমায় এখানে ?. যাবো ?-- অত্যন্ত ইচ্ছা হইল। কে যেন তার ঘাড় ধরিয়া বাড়ীর মধ্যে ঢুকাইয়া দিতে চাহিতেছে। কিন্তু শেষ পর্য্যন্ত পারিল না । সে বেশ বুঝিল, মনে যোল আনা ইচ্ছা থাকিলেও মুখ দিয় এ কথা সে বলিতে পরিবে না কাহারও কাছে—লজ্জা করিবে । লজ্জা না করিলে সে যাইত। মুখচোরা হওয়ার অস্ববিধ। সে জীবনে পদে পদে দেখিয় আসিতেছে।. কলিকাতা ছাড়িয় মনসাপোত ফিরিবে ?..-কথাটা সে ভাবিতে পারে না—প্রত্যেক রক্তবিন্দু বিদ্রোহী হইয়া ওঠে। যাইবে না সে কখনও । তাহার জীবন-সন্ধানী মন তাহাকে বলিয়া দেয় এখানে জীবন, আলো, পুষ্টি, প্রসারত —সেখানে অন্ধকার, দৈন্য, নিবিয়া যাওয়া । এখানেই সে টিকিয় থাকিবে-খাকিতেই হইবে তাহাকে । কিন্তু উপায় কই তাহার হাতে ? সে তো চেষ্টার ত্রুটি করে নাই ! সবদিকেই গোলমাল। কলেজের মাহিন না দিলে আপাততঃ পরীক্ষা দিতে দিলেও বেতন শোধ না করিলে প্রমোশন বন্ধ । থাকিবার স্থানের এই দশা, ছু বেল ওষুধের কারখানার ম্যানেজার উঠিয়া যাইবার তাগিদ দেয়, আহার তথৈবচ, সুন্দর-ঠাকুরের দেন, মায়ের কষ্ট—একেই তো সে সংসারানভিজ্ঞ, স্বপ্নদর্শী প্রকৃতির—কিসে কি সুবিধা হয় এমনিই বোঝে না— তাহাতে এই কয়দিনের ব্যাপার তাহাকে একেবারে দিশাহার করিয়া তুলিয়াছে। বাসায় ফিরিয়া ছাদের উপর একখানা খাপরা ছুড়িয়া সে একবার দেখিল, দুইবার দেখিল—কলিকাতা ছাড়িয়া যাইবার যে দিক্‌টা সেই দিক্‌টাই পড়ে। SASAeSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMA AAMS MAMMASA SAMMMAMAAA AAAA SMSMSSSSSSS SSAAAASA SAAAAS ہیxیہ یہ یہ یہ محمسیحیٰی امیہ۔ rیم* তৃতীয় বার ফেলিয়া দেখিতে আর তাহার সাহস হইল না । বাল্যকাল হইতে নিশ্চিন্দিপুরের বিশালাক্ষী দেবীর উপর তাহার অসীম শ্রদ্ধা । করুণাময়ী দেবীর কত কথা সে শুনিয়াছে, সে তো তার গ্রামেরই ছেলে— কলিকাতায় কি তার শক্তি খাটে না ?-- পরীক্ষা হইবার দিনকয়েক পরে একদিন অনিল তাহাকে জানাইল সায়েন্স সেক্সনের মধ্যে সে গণিত ও বস্তু-বিজ্ঞানে প্রথম হইয়াছে, প্রোফেসরের বাড়ী গিয়া নম্বর জানিয়া আসিয়াছে। অপু শুনিয়া আন্তরিক সুখী হইল, অনিলকে সে ভারি ভালবাসে, সত্যিকার চরিত্রবান, বুদ্ধিমান ও উদারমতি ছাত্র। অনিলের যে জিনিষটা তাহার ভাল লাগে না, সেটা তাহার অপরকে তীব্রভাবে আক্রমণ ও সমালোচনা করিবার একটা দুৰ্দ্দমনীয় প্রবৃত্তি । কিন্তু এ পর্য্যস্ত কোনো তুচ্ছ কাজে বা জিনিষে অপু তাহার আসক্তি দেখে নাই—কোনো ছোট কথা, কি স্ববিধার কথা, কি বাজে খোসগল্প তাহার মুখে শোনে নাই । অপু দেখিয়াছে সব সময় অনিলের মনে একটা চাঞ্চল্য, একট। অতৃপ্তি—তাহার অধীর মন মহাভারতের বকরূপী ধৰ্ম্মরাজের মত সব সময়ই যেন প্রশ্ন ফাদিয়া বসিয়া আছে—ক চ বাৰ্ত্তা ? অপুর সহিত এইজন্যই আনিলের মিলিয়াছিল ভাল । দুজনের আশা, আকাঙ্ক্ষা, প্রবৃত্তি এক ধরণের, অপুর বাংলা ও ইংরেজি লেখা খুব ভাল, কবিতা, প্রবন্ধ, মায় একখানা উপন্যাস পৰ্য্যস্ত লিখিয়াছে। দু'তিনখান। বাধানো খাতা ভৰ্ত্তি—লেখা এমন কিছু নয়, গল্পগুলি ছেলেমানুষী ধরণের উচ্ছ্বাসে ভরা, কবিতা রবি ঠাকুরের নকল, উপন্যাসখানাতে—জলদস্থ্যর দল, প্রেম, আত্মদান কিছুই বাদ যায় নাই – কিন্তু এইগুলি পড়িয়াই অনিল সম্প্রতি অপুর আরও ভক্ত হইয়া উঠিয়াছে। সপ্তাহের শেষে দুজনে বোটানিকেল গার্ডেনে বেড়াইতে গেল। একটা ঝিলের ধারে ঘনসবুজ লম্বা