পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগতক শ্রীরাধাচরণ চক্ৰবৰ্ত্তী তুমি আসে,--আসিতেছ তুমি চিরদিন,— চিরস্তন,—মুচির নবীন,— প্রকাশের হে উৎস চপল ! বস্তুধার মুখদুঃথজন্মমৃত্যু-বন্ধুর উপল প্রগতি-তরঙ্গে ভরি’, নিৰ্ম্মল নিঝরি’, উষরে পুম্পিত করি আনন্দ-উৎপল, আসিতেছ প্রাণস্পন্দ নৃত্যছন্দে জুলে’ স্বচ্ছন্দ প্রবল,-- আলোকে আঁধারে নিত্য পা-ফেলে পা-তুলে’ । তোমার চলন-তালে চরণের তলে শঙ্কিত, স্তম্ভিত কাল.কালজয়ী তুমি ক্রীড়াচ্ছলে ! ধতিহীন গতিসূত্রে অপরূপ গীতিমাল্য গাথো স্বজনের,— প্রথম সম্ভব তুমি অ-কল্পিত অ-সম্ভব রহস্যঘনের । ফুটে ফুল,—বোট টুটে প্রত্যহ সে ঝরে এই মর্ত্য-মুত্তিকার পরে ; তবু ফুটে উঠে ফুল— আকুল মুকুল ফুটন-উন্মুখ সারি সারি পাপড়ির পাখা মেলে’ দিয়ে চলে পাড়ি । এই যে ফুলের ধারা মৃত্যুহীন—শেষ-হারা, অ-শেষের অ-মৃতের এই ধারা তুমি । ঐ তারা তুমি— অসীমের অন্ধকারে জেগে’ মহাশূন্ত থেকে, অ সম্ব ত জ্যোতিবেগে বাসনার বাষ্প উৎক্ষেপিয়া, অস্তরের অসহ উল্লাসে যে তারাটি উচ্ছ্বসি’ কঁাপিয়া অবিশ্রাস্ত আবৰ্ত্তিয়া ফিরিছে নৰ্ত্তিয়া দিক হ’তে দিগস্তরে তাপ বৃষ্টি করে,’— নব নব আলোক ও লোক স্বষ্টি করে’. তুমি মিথিলের সেই তাপের তাপস জ্যোতিৰ্ম্ময় ;– সষ্টি-তামরস . সে তাপের তপেতে তোমার রূপে রসে অভিনব নব নব এক হ’তে আর অগণিত দলে বিকশিয়া চলে :– জড় চলে আবৰ্ত্তিয়া প্রাণে, প্রাণ ধায় আত্মার সন্ধানে, আত্মা ছুটে পরমাত্মা পানে ; তারপর জড় ও চেতন হারাইয়া সীমা-আয়তন অসীমায় করে আবৰ্ত্তন । তুমি এই রূপ ও অরূপ— বিবৰ্ত্তিত অপূর্বের রূপ ! তুমি আবরণাতীত,—মুক্ত –দিগম্বর,— উজ্জল-স্বন্দর, স্বখদুঃখশোকোত্তর ক্ষয়হীন আনন্দ-ভাস্বর স্বপ্রকাশ প্রত্যুয-ভাস্কর ; নিশাস্ত জগৎ জাগে নিদ্র পরিহরি’ শুনি তব আলোক-বণশরী শাশ্বত অমর ।