পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] - مجمہ حمبہ مو عہيہہ رہی —আচ্ছা পাগল তো ! আট বছরের ছেলেমেয়ের কাছে লজ্জা ! নাঃ, তোমার মাথার কিছু গোল আছে । আরে, আমি কি সাজতে বলছি ? বলছি—পরিষ্কার কাপড় পরার কথা— অপ্রস্তুত মা হাসে । কিন্তু পরিষ্কার শাড়ী আর পরা হয় না, সি দুরটিপটি পরা হয় ত চুল বাধা হয় না। মনে হয়, বুঝি সকলেই তার দিকে চেয়ে আছে। মৃদু হেসে স্বামী বললেন, কত বয়স হ’ল গে আমাদের. মনে আছে ? সরলভাবে স্ত্রী উত্তর দিলে,--আমার হ’ল ছাব্বিশ, তাহলে তোমার তেত্রিশ—ন ? —উহু, ভুলে গেছ বোধ হচ্ছে। আমার আমি ঠিক বলতে পারলাম না, মাকে জিগগেস করব’খন । তোমার বেীপ হচ্ছে একচল্লিশ হ’ল, তাহ’লে আমার কত হবে অবশু হিসেব করতে পার । —যাও, ঠাট্টা করছ,--রাগ করে স্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে গেল । পকেট থেকে ষ্টেথস্কোপ ইত্যাদি বের করে টেবিলে রাখতে রাখতে স্বামী মৃদু স্বরে গাইলে— ঈষৎ রাগের নিছনি বহিয়া--- ওগো শুন্‌ছ ? উত্তর দেয় না। এ সাজের কথা নয় কাজের কথা । মা ডাকছিলেন খেতে,—দেখ ত খাবার দিলে কি না । শ্বাশুড়ী সন্ধ্যেবেলা মালা করেন, মানস জপ করেন । শ্বশুর নাতি নাতনীকে গল্প বলেন। মা থাকেন কাজের মাঝে, আদেশ-নির্দেশের সরবরাহ তদারক করতে। আনন্দচঞ্চল মন শরতের শুভ্র লঘু মেঘের মতন ছোট ছোট হাসি কথা, তুচ্ছ মান অভিমানের স্বপ্নলোক থেকে স্বামীর পায়ের শব্দে চকিত হয়ে ওঠে, উন্মুখ স্মিত হাসিভর দৃষ্টিতে তরুণ মন ফুটে ওঠে–কিন্তু " ভাবে, কত বড় হয়েছে, কত বয়স হয়েছে - সস্তানের মা . তারা ডাকলে উত্তর দেন, “কি বাবা’ ! যেন বর্ষীয়সী গৃহিণী । মাঝখানে QSQ শ্বাশুড়ী হাসেন মনে মনে, ওঁদের কালে ছেলেদের ডাকে ও রকম করে উত্তর দিতে ওঁদের ভারি লজ্জা এখনকার এরা- • • বিকেল হ’লে প্রায়ই বলেন, বৌমা চুলগুলো জড়াও না গা। ব’লে, এলো চুলে শুতে নেই। তোমাদের বাছা এখনকার কিছু ‘মানা জানা নেই । স্বামী থাকেন কাজের উন্নতির কল্পলোকে । বাড়ীতে যখন থাকেন তখনও নিজের কথা ভাবলে একবারও নিজকে বয়স্ক বলে মনে করেন না । বেদনাহীন বিরামহারা চঞ্চলগতিতে দিন বয়ে যায় । স্ত্রীর মনের ছেলেমামুষটি কখনও ধরা দেয়, কখনও লুকিয়েই থাকে স্বামীর ব্যস্ততার পাশ থেকে, কাজের মাঝ থেকে সেট। কিন্তু সময়ে অসময়ে বেরিয়ে এসে তাকে পরিহাস করে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে । হঠাৎ একদিন সমস্ত ত্রিভুবনের গতিচক্র ওদের বাড়ীতে থেমে গেল । ਲ਼ੇਸ਼ হ’ত ! আমি যে ডাক্তার, আমার কথাই ঠিক । অস্বস্থ স্বামী চোখ বুজে স্ত্রীর হাতখান নিজের কপালের উপর হাত দিয়ে চেপে ধরলেন । —হোকু গে, তাই বলে আমি মীর ঘরে থাকতে পারব না । —আর খোকাকে কি করে দেখবে ? –প্লাস্তভাবে পাশ ফিরে শুয়ে স্বামী বল্লেন, অt:—গায়েও এত ব্যথা হয়েছে। শঙ্কিত ব্যাকুল চোখে স্ত্রী শুধু চেয়ে রইল । রাত্রে ছেলে মেয়ে শুইয়ে স্ত্রী ফেরে,শ্বাশুড়ী যান শুতে । — কোথায় যে তোমার ছোচ জানি না। —তুমি শুধু বোসে না তাহলেই হবে। আঃ, তাই ব’লে অত কাছে এস নী—ওকি পাগল ! তোমার লাগবে না, মিনতি করে স্ত্রী বললে । দু ফোট জল ঝরে পড়ল । —আহা তোমার হবে যে, কি ছেলেমানুষ ! সকালে পূজো সেরে শ্বাশুড়ী আসেন ঘরে, “খোকা চন্নামেত্তরটুকু মুখে দিই, ই কর।” ছেলে চরণামৃত নেয়। বধু সংসারের কাজ করে,