পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

な○o মায় ফিরিয়া দেখিল দেবকুমার। দ্বিতীয় সাক্ষাতে আর বোকা বনিবে না বলিয়া সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়৷ আসিয়াছিল। তাড়াতাড়ি বিজয়কে দেখাইয়া বলিল, *এই আমার জ্যাঠামশায়ের মেজ ছেলে বিজয় । আপনি ওকে নিয়ে জিনিষগুলোর গতি করুন, আমি যাই ।” ভীড়ের একপাশে একগাদা জিনিষের মধ্যে বৃদ্ধ শিবচরণবাবু বসিয়াছিলেন । দেবকুমার মায়াকে সেইখানে লষ্টয়া আসিয়৷ বলিল, “এইখানে বস্থন, ওঠবার পথ একটু মুক্ত দেখলে আমি এসে ডেকে নিয়ে যাব।” জিনিষপত্রের গাদ হইতে সে একটা ডেক চেয়ার টানিয়া বাহির করিয়া মায়ার জন্য পতিয়া দিল । কয়েকটা ইংরেজী ম্যাগাজিন এবং গবরের কাগজ বাতির করিয়া তাহার হাতে দিয়া বলিল, “ততক্ষণ এইগুলো উন্টে সময় কাটান, আশা করি খুব বেশীক্ষণ অপেক্ষ করতে হবে না ।” দেবকুমার চলিয় গেল। মায় বসিয়া বসিয়া ছবি দেপিতে দেখিতে ভাবিতে লাগিল, ছেলেটির ভদ্রতার কোনে ক্রটি অন্ততঃ নাই। দেশী ভদ্রত হইতে একটু পার্থক্যও আছে। বিজয়, অজয় অথবা তাহার বাবা সঙ্গে থাকিলে তাহাকে ভীড় হইতে সরাইয়া অান পর্য্যন্ত করিতেন বটে, তবে চেয়ার পাতিয়া বসান ব| ম্যাগাজিন পড়িতে দেওয়া পৰ্য্যন্ত হইত কি না সন্দেহ । বিলাত হইতে ছেলেটি সবে ফিরিয়াছে, তাই এ সব অতি-সৌজন্য এখনও ছাড়িতে পারে নাই। কিন্তু ইহাতে মায়াকে বিন্দুমাত্রও অসন্তুষ্ট বোধ হইল না, যদিও অতি-সাহেবীআনকে মাঝে মাঝে ঠাট্টা করা অভ্যাসট। তাহার এখন পর্য্যস্ত একেবারে যায় নাই । মিনিট কয়েক পরেই দেবকুমার আসিয়া বলিল, “চলুন এইবার, একটুখানি লাইন ক্লিয়্যার পাওয়া গিয়েছে।” - মায়া এবং শিবচরণবাবু উঠিয়া পড়িলেন । সঙ্গের জিনিষপত্র দুইজন কুলি ছে৷ মারিয়া তুলিয়া লইল । ডাক্তারের পরীক্ষা প্রভৃতি অতি সংক্ষেপে সারিয়া, তাহারা সিড়ির কাছে আসিয়া পৌছিল। দেবকুমার বলিল, “এই বড় ট্রান্ধটা নিয়ে কুলিট উঠুক, আপনি প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩৭ { ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড SLLL AAAAA SAAAAAS S ASAA AA ASASASAMMAAASAASAASAA AAAA AAAA AAMM MA S AMM AAAA SAAAAA SAAAAA MAMAMMAMAAMMAMMMMMAAAASASASS ঠিক তার পিছনে যান, আমি থাকৃব তার পরেই। এরকম করে উঠলে “ আপনাকে আর গুতো খেতে হবে না।” 登 মায়া জিজ্ঞাসা করিল, “জিনিষপত্রগুলো সব ঠিক এসেছে ত ? ক’টা ছিল তাও আপনাকে বলতে ভুলে গেছি।” দেবকুমার বলিল, “সে আমি গাড়ী থেকে নামাবার সময়েই গুণে নিয়েছি। সব লাইন করে পিছনে আসছে, বিজয়বাবু তাদের রিয়্যার গার্ড হয়ে আসছেন, আপনার কোনো ভাবন নেই, উঠে পড়ন ।” মায়া উপরে উঠিয়া গেল। ‘বয়’ সামনেই দাড়াইয়ছিল, তাহার সাহায্যে সহজেই নিজের কেবিন খুজিয়া পাইল । জিনিষপত্রও শীঘ্রই আসিয়া পড়িল । দেবকুমার এবং বিজয় মিলিয়া সেগুলির সুব্যবস্থা করিতে লাগিল । বিজয় বলিল, “মায়া-দি, অকারণ কতকগুলো টাকা বাজে খরচ করলে, অনেক ত জায়গা পড়ে রইল, আর একজন লোক অন্ততঃ বেশ খেতে পারত।” দেবকুমার বলিল, “একটুখানি খালি জায়গা যে কি রকম মূল্যবান জিনিষ, তা জাহাজে চড়ে কিছু দূর যদি যান, তাহ’লেই বুঝতে পারবেন। স্বজাতি-প্রীতি কমবার এতবড় ওষুধ আর নেই। বিশেষ করে আমাদের স্বজাতি যারা, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করতে হচ্ছে যে, ধরের বাইরের লোকের সঙ্গে ব্যবহার করতে র্তার মোটেই জানেন না ।” জিনিষ গোছান হইয়া যাইতেই দেবকুমার বলিল, “আচ্ছা, একটু আমাদের কেবিনটার গতি করে আসি, বাবা বোধ হয় জিনিষপত্র নিয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।” সে বাহির হইয়া যাইতেই বিজয় বলিল, “আমার আসবার কিছু দরকারই ছিল না, মায়ী-দি, যা গ্যাল্যান্ট সঙ্গী তুমি জুটিয়েছ।” মায়া বলিল, “আমি আর কোথায় জুটালাম, বাবাই জুটিয়ে রেখেছেন। তা ভালই ত হ’ল, তোমাকে বেশী খাটুতে হ’ল না। পূজোর ছুটিতে আসছ ত ঠিক ?” বিজয় বলিল, “সে অনেক পরের কথা । ততদিনে কত কি ঘটে যেতে পারে।”