পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ASA SSASASA SSASAS SS SAAAAAMMM MAM AMMS SSAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS মায়া হাসিয়া বলিল, “অনেক কিছু ঘটলে ত আরও আসা উচিত।” VEෆ রেঙ্গুনযাত্রী জাহাজটি সমুদ্রের নীল জলরাশি ভেদ করিয়া অবলীলাক্রমে চলিয়াছিল। বাহির হইতে শোন যায় কেবল এঞ্জিনের শব্দ, কেবল সফেন তরঙ্গরাজির জাহাজের অঙ্গে ঝাপাইয়া পড়ার শব্দ । দুপুরে জাহাজের ভিতরটা একটু যেন নিস্তব্ধ থাকে। খাওয়া-নাওয়ার হ্যাঙ্গাম নাই, ডেকের যাত্রীর দল অধিকাংশই চাদর মুড়ি দিয়া শুইয়া আছে। দুই চারি জন উঠিয়া বসিয়া সঙ্গীতচর্চা করিতেছে, এবং আশেপাশে সহযাত্রিনী কেহ দর্শনযোগ্য। আছে কি না, তাহারই সন্ধান লইতেছে । বাঙালীবাবু ঙ্কেধাত্রীও কিছু কিছু আছেন, তাহারা হয় মাসিকপত্র ব। খবরের কাগজ পড়িতেছেন, নয় তাস খেলিতেছেন। বৰ্ম্ম চুরুটের উৎকট গন্ধে স্থানটি ভরপুর । ছেলেপিলের এদিক ওদিক ছড়াইয় পড়িয়াছে, মেয়ের স্থানে স্থানে জটল| পাকাইয় গল্প করিতেছে । জাহাজে কাজ নাই, কৰ্ম্ম নাই, সময় যেন অীর কাটিতেই চায় না । মায়া কেবিনের মধ্যে শুইয়া বসিয়া বৃথা কাগজ পড়িবার চেষ্টা করিয়া, একেবারে অস্থির হইয়া উঠিয়াছিল। আজ ত সবেমাত্র প্রথম দিন, এখনও পুরা দুইটা দিন বাকি । আরামের জন্য একলা একটা কেবিনে আসিয়া তাহার যেন আরও বিপদ হইয়াছিল । সঙ্গিনী থাকিলে যেমন নানাদিক দিয়া জালাতন হইতে হয়, তেমনি দুটা কথাও তাহার সঙ্গে বলা চলে । এই ত মাত্র কয়েক ঘণ্টা জাহাজ ছাড়িয়াছে, ইহারই ভিতর তাহার প্রাণ অস্থির হইয়া উঠিল, বাকি সময়টা কাটিবে কি করিয়া ? খোজ লইলে হয়, জাহাজে বাঙ্গালী সহযাত্রিনী কেহ আর আছে কি না, তাহা হইলে যাইয়া খানিক গল্প করিয়া আসিতে পারে। তাহার প্রথমবারের সমুদ্রযাত্রার কথা মনে পড়িল । সেবার বাণী এবং বাণীর মা সঙ্গে থাকায়, তাহীদের কোনো ভাবনা ছিল না, সময় দিব্যই কাটিয়া গিয়াছিল। কেবিনের দরজার গায়ে ঠক্ ঠক্‌ করিয়া শব্দ হইল । মহামায়া ○ こ> হয়ত জাহাজের ভাণ্ডারী রান্নার জোগাড় লইতে আসিয়াছে মনে করিয়! মায়া বলিল, “ভিতরে এস।” দরজাটা অল্প খুলিয় গেল, কিন্তু ভিতরে কেহ প্রবেশ করিল না দেখিয়া কিঞ্চিং বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কে ?” বাহির হইতে উত্তর আসিল, “আমি দেবকুমার। একল কেবিনে বসে আছেন, তাই জানতে এলাম যে, ডেকে একটু বেড়াতে যাবেন কি না ।” মায় তাড়াতাড়ি উঠিয়া, চটি পায়ে দিয়া দরজার কাছে অগ্রসর হইয়া গেল। দেবকুমার সাহেবী পোষাক ছাড়িয়া, বাঙালী সাজিয়া আসিয়াছে। মায়াকে দেখিয়৷ বলিল, “চলুন না ডেকে ? বেশ হাওয়া আছে, এই ষ্টাফী গোপট৷র মধ্যে একল বসে বসে করবেন কি ? জাহাজ ন জাহাজ ! ঠিক যেন মোচার খোলা, একটু নড়ে বসতে গেলেই অন্ত কারে ঘাড়ে গিয়ে পড়তে হয় ।” মায়া ত তখন যাইতে পারিলেই বাচিয়া যায়। কিন্তু ডেকে যাইতে হইলে ঠিক এই ভাবেই ধাওয়া যায় না । কাজেই বলিল, “আtছ আপনি এগোন, আমি পাচ মিনিটের মধ্যেই যাচ্ছি।” দেবকুমার তৎক্ষণাৎ চলিয়া গেল। পাচ মিনিটের বেশী সময় অবশ্ব মায়ার লাগিল । চুল বাধিতে হইল, স্থ্যটকে খুলিয়া, শাড়ী ব্লাউস সব বদলাইতে হইল । শাদ কাপড় পরিয়া যাইতে কিছুতেই তাহার মন উঠিল না । হাস্ক গোলাপী রংএর ক্রেপের পোষাক পরিয়া, গলায় একছড়া প্রবালের মালা দুলাইয় সে উপরে চলিল । চটি ছাড়িয়া, এক জোড়া নাগরা জুতা পরিয়া গেল । দেবকুমার তাহার জন্য সিড়ির মুখেই অপেক্ষ করিতেছিল । মায়াকে দেখিয়া বলিল, "চলুন, এখন লোক বেশী নেই, আরাম করে বসতে পারবেন।” দুইজনে উপরের ডেকে উঠিয়া গেল। নিজের ডেক চেয়ারখানির পাশে, দেবকুমার আরও একখান চেয়ার টানিয়া আনিয়া রাখিয়াছে, বই, ম্যাগাজিন, খবরের কাগজ প্রভৃতিতে তাহার একখানা সম্পূর্ণ বোঝাই । মায়া একট। চেয়ারে আসিয়া বসিতেই দেবকুমার তাহার পাশেরটিতে আসিয়া বসিয়া দিব্য অসঙ্কোচে গল্প