পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] মধু বা মেীয়া গাছের কাও ত্বস্ব ও মন্থণ, ভিতরে লাল, বাহিরে পাশুটে রঙের স্কুল কথায় স্বাদযুক্ত ছালে ঢাকা। শীতে গাছের পাতা ঋরিয়া যায় । বসন্তে ফুলের সঙ্গে নুতন পাতা জন্মায়। মেীয়াফুলের মদ সুপরিচিত। মেয়ার তেলে রাধা হয়। ঐ তেলে চুলকানি সারে। শীতকালে এই তেল জমাট বাধে। মেয়ার ফুলেও মাদকতা আছে । মধুপুরে মেীয়াগাছ যথেষ্ট দেখা যায়। কালিদাস এই মে\য়ারই বর্ণনা করিয়াছেন । ৫৬। মন্দার –করেীতি পাদাবুপগস্ত মেলিন বিনিদ্ৰ-মন্দার রঙ্গোরুণাঙ্গুলী। কু ৫৮০ মন্দার দেবতর । ইহার ফুলের বর্ণনায় কালিদাস লিপিয়াছেন “হস্তপ্রাপ্য-স্তবক-নমিতঃ” । ৫৭ মল্লিকা —বনেষু সায়স্তন মল্লিকানাং বিজুস্তণোদ গন্ধিযু কুটমলেষু র ১৬৪৭ মল্লিকা আমাদের অতিপরিচিত বেলফুল । ৫৮ । মাধবী ?--~রক্তাশোকশচলকিসলয়ঃ প্রত্যাসল্লেী কুরুবকবৃতে মাধবীমণ্ডপস্ত। মে ২।১৫ দেশভেদে নাম ঃ--বtঃ– মাধবীলতা । ৫৯। মালতী :--তামুখাপ্য স্বজুলকণিকাশীতলেনানিলেন প্রত্যাশ্বস্তাং সমমণ্ডিনকৈজtলকৈ মালতীনাম্। মে ২। ৩৫ কেসর-চাত্রে কাস্ত: মহেশচন্দ্র ঘোষ (twరిసి দেশভেদে নাম :-বাঃ—চামেলি, জাতি, মালতী । মহাকবি বর্ষা ও শরতে ইহার বর্ণনা করিয়াছেন। ৬• । মুস্ত। —উত্তস্তুষঃ সপদি পল্বলপঙ্কমধান মুস্তাপ্ররোহকবলবয়বামুকীৰ্ণম্। র ৯৫৯ দেশভেদে নাম ঃ-বাঃ—মুখ। অমরকোষের অনুবাদক মুথার নামান্তর “ভদ্রমুস্তক" দিয়া উভয়কে এক করিয়াছেন । কিন্তু অমর মুস্তা ও ভদ্রমুস্তক আলাদা করিয়াছেন। এই ভদ্রমুস্তককে ভাদালিয়া মুখ বলে ; কেহ বা ইহাকে নাগর মুথাও বলে । কালিদাস ঋতুসংহারে “ভদ্রমুস্তা"র উল্লেখ করিয়াছেন । আমি মুথ ও ভদ্রমুখীকে ভিন্ন বলিয়া পূৰ্ব্বে দুই স্থানে উল্লেগ করি নাই । এখন দেখিতেছি বনৌষধিদপণ চারি প্রকার মুখ খাড়া করিয়াছে । ৬১। যব :- অরণরাগনিষেধিভিরংগুকৈঃ শ্রবণলব্ধপদৈশ্চ ববাঁকুরৈঃ । র ৯ ॥৪৩ দেশভেদে নাম – বt:--যব । যবান্ধুর মেয়ের কাণে পরিত বলিয়া মহাকবি ক1✉:ম-বর্ণনা করিয়াছেন । আর বসন্তকালেই যবন্ধুির জন্মায় । கி_ - --- মহেশচন্দ্র ঘোষ শ্ৰীসুবিমল রায় প্রবাসীর পাঠকগণের নিকট মহেশচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের নাম স্বপরিচিত। গত ১২ই জুন পূজ্যপাদ মহেশবাবু পরলোকে গমন করিয়াছেন । আমরা হাজারিবাগে অবস্থানকালে নানাবিষয়ে তাহার অসাধারণত্ব লক্ষ্য করিয়াছিলাম ; এই প্রবন্ধে তাহার সামান্ত বিবরণ দিবার চেষ্টা করিব । ১৯২৪ খৃষ্টাবে, নভেম্বর মাসে, হাজারিবাগ ব্রাহ্মসমাজে মহেশবাবুকে প্রথম দৰ্শন করি। শরীর অত্যন্ত ক্ষীণ, কিন্তু তেজঃপুঞ্জ শাস্ত সৌম্য মূৰ্ত্তি। মস্তকে গেরুয়ারঙের পাগড়ী ; কাচাপাকা দাড়ি ; কথায় ও চেহারায় পাণ্ডিত্যু বিনয়, ধৰ্ম্মভাব ও তেজস্বিতা প্রকাশ পায়। কেহ প্রণাম করিতে গেলে অত্যন্ত সঙ্কুচিত হইয়া পড়েন এবং বাধা fদবার চেষ্টা করেন। স্থতরাং একরকম জোর করিয়াই প্রণাম সারিতে হইল । ইহার পর হইতে মধ্যে মধ্যে র্তাহার বাড়ীতে যাইতে আরম্ভ করি ; সেখানে বহু লোকের সহিত র্তাহার কথোপকথন হইত। র্তাহার আত্মীয় ধীরেন্দ্রনাথ চৌধুরী বেদাস্তবাগীশ মহাশয়ের গৃহেই তিনি অবস্থান করিতেন। একদিন পূজ্যপাদ মহেশবাবু বলিলেন, “প্রবাসীর পাঠকগণের মধ্যে যদি মুষ্টিমেয় লোকও আমার প্রবন্ধ পড়েন, তবে আমি আমার পরিশ্রম সার্থক মনে করিব। উপনিষদাদি গ্রন্থ এবং দর্শন শাস্ত্র সম্বন্ধে প্রবন্ধ কম লোকেই পড়ে। স্বতরাং আমি কিছুতেই আশা করিতে পারি না, যে, বেশী লোক আমার প্রবন্ধগুলি পড়িবে।” তিনি অত্যন্ত অল্পাহারী ছিলেন এবং নিরামিষ থাইতেন। মানসিক শ্রমে তিনি কখনও ক্লাস্তি বোধ করিতেন না। অনেকে তাহাকে আমিষ খাইতে পরামর্শ দিতেন, এবং বলিতেন, যে, নিরামিষ খাইয়া বেশী