পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] রঙ্গিণী 6 6.6. AeA AMMMAMAAAASASASS তাদের ক্রটি দেখিয়ে দেওয়া আমি অন্যতম কৰ্ত্তব্য মনে করি । কোনো কথা না ব’লে, গায়কোয়াড় গাড়ি থেকে নেমে চালককে বললেন, তুমি সায়েবকে পৌছে দাও। তারপর আমাকে নিয়ে যে ও । শুনেছি সেইদিনই মর্গান একটা প্রকাণ্ড টাকার থলে ভৰ্ত্তি করে বিদায় নিয়েছিলেন । অম্বু ডাক্তার গিয়ে পরীক্ষা করে সেই একই কথা বললেন, চব্বিশ ঘণ্টা ওষুধ বন্ধ রাখতে হবে, তারপর যা-হয় আমি করতে পারি। –কিন্তু ডাক্তারবাবু, আপনার এই কাজের যুক্তিটা কি, তা কি আমরা জানতে পারিনে । অম্বু ডাক্তার হেসে বললেন, একশো বার। যুক্তি খুব সোজা, মহারাজ, আপনার ছেলের জর এখন অতিরিক্ত ওষুধ পেয়ে হয়েছে। ওষুধ বন্ধ করলে তবে ওঁর আসল অমৃথটা বুঝতে পারা যাবে। সেটা বোঝার অবসর আমাকে দিতে হবে আপনাদের । চব্বিশ ঘণ্টণর মধ্যে জর ছাড়িয়ে দিয়ে অস্তু ডাক্তার বাড়ী ফিরে এলেন । তখন গাইকোয়াড় তাকে কত টাকাকড়ি দিয়ে নিজের দেশে নিয়ে যেতে চাইলেন। অম্বু ডাক্তারের সেই একই উত্তর, আমি কাশী ছেড়ে কোথাও যাব না, মহারাজ ! : ૨ হেমপ্রভা হেসে বললেন, কিন্তু যারা অম্বু ডাক্তারকে এইটুকু জেনেছে, তারা রত্ন ছেড়ে তীরের উপলখণ্ডকে রত্ব বলে ভুল করেছে। এটি ওঁর চরিত্রের বাইরের খোলার মত । ওঁর অন্তর ছিল কত বড়, কত সুন্দর, কত মহান—ত ভাষায় প্রকাশ করা শক্ত । হেমপ্ৰভা চুপ করলেন। কিন্তু তার দু'চোখ দিয়ে একটা আনন্দের আলো বার হ’তে লাগলো ; মনে হ’ল তিনি চোখে স্বগের ছবি দেখছেন যেন । অধীর হয়ে আমরা বলি, না তারপর বলুন, থামবেন না । AMMMMAMAAASAASAASAAMMAee AMMMMAMASAMAAAS হঠাৎ তার যেন একটা চট্‌কা ভাঙল, বললেন, বলব বই কি, তার কথা বললেও হৃদয় মন শুদ্ধ হয় । হেমপ্রভ আবার বলতে মুরু করলেন--অম্বু ডাক্তারের মনের যেন দুটে পরিষ্কার ভাগ ছিল ; যেমন দিন রাত, যেমন মাসের শুক্ল পক্ষ কৃষ্ণ পক্ষ । চিন্তায় তার এতটুকু গতানুগতিকতা ছিল না। প্রত্যেকটি কথা নিজে নূতন করে ভেবে দেখতেন। সকলের চিন্তাকে, সকলের মতামতকে, যথাযোগ্য মর্য্যাদা দিতেন। তিনি বলতেন, অন্যের মত আমাদের চলার পথ রোধ করে না, চলার পথে তা আলো দেয়, আমাদের চলার সাহায্য করে । নিজের মতকে অন্যের উপর চালাবার অধৈয্য যেন তার ছিলই না। আবার পরের মতকে ঘাড়ে করে অন্ধের মত ছুটুতে গিয়ে হোচট খাওয়াকেও তিনি নিবুদ্ধিতাই মনে করতেন । " সবচেয়ে বড় জিনিষ তার ছিল, অপক্ষপাত সুবিবেচন। আর মামুষের উপর সুন্দর বিচারটুকু । সে যে কত সুন্দর সংযত শাস্ত, তা বর্ণনা করা যাধ না । এমন একজন লোকের জীবনের পথ খুব সহজ ছিল, এ অনুমান করে নেওয়া স্বাভাবিক হতে পারে। কিন্তু ত মোটেই সত্য নয় । জীবনে তাকে নিত্য-নিত্য কত যে পরীক্ষা দিতে হয়েছে, তার ঠিক ঠিকান নেই। চল্লিশের আগেই র্তার পত্নীর বিয়োগ ঘটে । দুটি ছেলে নিয়ে অম্বু ডাক্তার সংসারে ভাস্লেন। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই বললে, আর একটা বিয়ে কর । কিন্তু তিনি স্নিগ্ধমধুর হেসে বলতেন, তা কি হয় ? কেন হয় না ? সবাই ত করছে ? অম্বু ডাক্তার কথা কইতেন না, চুপ ক’রে মৃদুমধুর হাসতেন । অযৌক্তিক কথার নিরুত্তরে যে কত গভীর, অমোঘ উত্তর দেওয়া চলে, তা তার কাছ থেকেই শিখতে হয়। কিন্তু দুই ছেলেকে ত মানুষ করে তুলতে হবে ? তিনি ধীরে ধীরে ডাক্তারীর সময়টা এই কাজে দিতে লাগলেন। কিন্তু তাতেও বিপদ ঘটল, ছোট ছেলেটির মার দুধের অভাবে লিভার খারাপ হ’ল । তাকে নিয়ে তিনি বিষম সঙ্কটে পড়ে গেলেন।