পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

MAeASMMMMMMAMMMMAMAMMAMAMMMAMMMSAMMMMAMAAAA রাজনীতির দ্বন্দুক্ষেত্রে নারীর অধিকার ন্যায্য কি না, শোভনীয় কি না, তাহ বিচারসাপেক্ষ । কিন্তু বাঙ্গালীর মানসিক শক্তির অপরাদ্ধ যে বাঙ্গালীর নারী-শক্তিতে নিহিত ও নিমজ্জিত আছে, সে-বিষয়ে কোনও সন্দেহই নাই । দুঃখের বিষয়, এ পয্যন্ত বাংলা দেশের শিল্পসাধনার ক্ষেত্রে নারী-শক্তির বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায় নাই। দু-চারজন কৃতী মহিলা-শিল্পীর কথা বাদ দিলে, সাধারণতঃ শিল্পের ক্ষেত্রে বাঙ্গালা দেশের, তথা ভারতের, মহিলা-সমাজ ভারতের শিল্প-সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন। নবীন শিল্পকলার নূতন বিকাশের নানা নূতন পথ খুলে দেবার তাদের যে উচ্চ অধিকার ও নিজস্ব ன்ெ-ன்ென শক্তি আছে, শ্রদ্ধেয় স্থনয়নী দেবীর অলৌকিক চিত্রকলায় তাহার ষথেষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে। কবিতার কুঞ্জবনে মহিলাদের যে স্নিগ্ধ-মধুর কলধ্বনি সৰ্ব্বদা শোনা যায়, তার প্রতিধ্বনি, রূপরেখা ও বর্ণ সঙ্গীতের জগতে এখনও ফুটে উঠেনি। ললিতকলার সাধন-পীঠে বাঙ্গালী মহিলাদের নিশ্চয় নূতন বাৰ্ত্ত ও বাণী প্রচারের অধিকার ও শক্তি আছে । এই শক্তির লীলা-স্পর্শ হতে বঞ্চিত হ’লে বাঙ্গালীর চিত্র-শিল্প চিরকালই অঙ্গহীন ও শক্তিহীন হয়ে থাকবে। বাংলার গৃহ-লক্ষ্মীদের পূতসাধনার কল্যাণ-স্পশ পেলে ভারতের কলালক্ষ্মীর পদ্মবনে আবার নূতন কমল ফুটে উঠবে । মহেশচন্দ্র ঘোষ বেদান্তরত্বঞ্চ আজ র্যাহার শ্রাদ্ধবাসরে ভক্তিপুষ্পাঞ্জলি দিবার জন্য আসিলাম, তিনি পার্থিব সম্বন্ধে আমার মাতুল ছিলেন। সাধারণতঃ মাতুল সম্পর্কে যাহা বুঝায় এ তাহা নহে। সাংসারিক মাতুল সম্পর্ক হইতে কত অধিক মধুর সম্পর্কে সম্পকিত ছিলাম তাহা ভাষায় বর্ণনা করিতে আমি অক্ষম । শৈশব হইতে সস্তান যেমন পিতার ক্রোড়ে আদর-যত্নে প্রতিপালিত হয়, আমরাও সেই প্রকার তাহার পবিত্র নিঃস্বার্থ স্নেহ প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ ছিলাম। পিতার স্নেহ-প্রতি অদৃষ্টে ঘটে নাই বটে, আমাদের মামা র্তাহার অন্তরের নিঃস্বার্থ ভালবাসা আমাদের প্রতি এত অধিক ঢালিয়া দিয়াছেন, যে, সে স্নেহ-ভালবাসা যাহারা সম্ভোগ করিয়াছে তাহারাই একমাত্র হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিয়াছে, অপরের বুঝিবার সাধ্য নাই । তিনি আমাদের পিতৃস্থানীয়

  • আদ্য শ্ৰাদ্ধবাসরে ভাগিনেয় শ্রীমতী বিনোদিনী চৌধুরী কর্তৃক পঠিত । কিঞ্চিৎ সংক্ষিপ্ত করা হইয়াছে ।

ছিলেন এবং পিতার অধিক যত্ন ও স্নেহে আমাদের প্রতিপালন করেন এবং আজীবন এক মুহূৰ্ত্তের জন্যও আমাদের শারীরিক ও আধ্যাত্মিক কল্যাণ-চিস্ত হইতে বিরত হন নাই । আমাদের পরম পূজনীয় মাতুল মহাশয় ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে ২৯শে মে শুক্রবার পাবনা জেলার অন্তঃপাতী সাহাজাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অতি অল্পবয়সেই পিতৃমাতৃহীন হন। আমার স্বর্গগত জননীর মুখেই শুনিয়াছি, র্তাহাদের পিতা ও মাতা উভয়েই অতি ধৰ্ম্মপ্রাণ ছিলেন। চারি পাচ বৎসরের শিশু পিতৃমাতৃহীন হইয়া জ্যেষ্ঠ ভগিনীর (আমার জননীর ) ক্রোড়ে আশ্রয় পাইলেন । মা কি তখন ভাবিয়াছিলেন এই শিশুভ্রাতাই তাহার সারাটা দীর্ঘজীবনের অবলম্বন হইবেন । প্রায় পঞ্চান্ন বৎসর এই চিরকুমার ভ্রাতার পরিচর্য্যা করিয়৷ মাত্র নয় মাস পূৰ্ব্বে প্রায় পচাত্তর বৎসর বয়সে তিনি ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছেন। আমার মামার৷ পাচটি