পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা | রায়ের দিন আদালতগৃহ লোকে লোকারণ্য । বিস্তর ইস্কুলের বালক আসিয়াছে । অন্যান্য লোকও আসিয়াছে। রায় বাহির হইল। আসামীগণ সকলে দোষী সাব্যস্ত হইয়াছে। প্রত্যেকের তিনমাস করিয়া সম্প্রম কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ টাকা করিয়া জরিমান । রায় শুনিয়া ছেলের দল বন্দেমাতরম বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল । পুলিস অনেক কষ্টে গোল খামাইয়া-বালকগণকে আদালতগৃহ হইতে অপস্থত করিয়া দিল । আসামী পক্ষের প্রধান উকিল কালীকান্তবাবু রায় চাহিয়া পাঠ করিলেন। বিচারক লিখিয়াছেন, বাদীর সাক্ষীগণের উক্তিতে অনেকস্থলে stasi coll oth otb, fos ch so minor discrepanciesউছাতে বরং এই প্রমাণ হয় যে সাক্ষীরা শিখানো নহে । সত্য বটে কোন কোন সাক্ষী বলিয়াছে হাঙ্গামার সময় পনেরো কুড়িজন ছেলে ছিল। আবার কেহ কেহ বলিয়াছে পঞ্চাশ ষাট জন ছিল, কিন্তু কেহই গণনা করিয়া দেখে নাই অনুমানে ভুল হওয়া আশ্চৰ্য্য নহে। বাদী বলিয়াছে ছেলেরা চড়-চাপড় মারিয়া তাহার কপালে ক্ষত করিয়াছে । কিন্তু ডাক্তার বলিতেছেন কোন কঠিন শাণিত দ্রব্যে ঐ ক্ষত হইয়াছে, চড়-চাপড়ে হইতে পারে না, ইহার উপর আসামীর উকিল বিশেষ জোর দিয়া বলিতেছেন যে ঘটনা মিথ্যা। কিন্তু আমার বিবেচনায় ঐ সময়ে বাদী এত ভীত ও বিমূঢ় হইয়াছিল যে বালকের তাহাকে ঠিক কি প্রকারে আঘাত করিয়াছে তাহা স্মরণ রাখা তাহার পক্ষে অসম্ভব । সাফাই সাক্ষীগণের যে সমস্ত কথাই মিথ্য। তাহার কোন সংশয় নাই। সকলেই তথাকথিত স্বদেশীর দল । উকিল বলিয়াছেন ডাকবাঙ্গলার খানসাম৷ নিরপেক্ষ সাক্ষী, উহার কথা মিথ্যা হইতে পারে না। কিন্তু জেরায় দেখা যাইতেছে খানসাম উকিল বাবুগণের বিশেষ অনুগৃহীত ব্যক্তি । সে বারমাসের খরিদারকে চটাইয়া আসাম হইতে আগত সাহেবের পক্ষাবলম্বন করিয়া সত্য বলিতে পারে না। ইত্যাদি । উকীলবাবু রায়ের নকল বাহির করিয়া লইয়া জজ সাহেবের নিকট আপিল দায়ের করিয়া জামিনের হুকুম লইলেন। এই সংবাদ শ্রবণ মাত্র বালকগণ ভীষণরবে বন্দেমাতরম ধ্বনি করিয়া উঠিল। কোথা হইতে একখানা গাড়ী আনিয়া তাহাতে বালকত্রয়কে বসাইয়া, ঘোড়া খুলিয়া নিজেরা গাড়ী টানিয়া সহরময় ঘুরিয়া বেড়াইল এবং সমস্বরে গাহিতে লাগিল— - ওদের বাধন যতই শক্ত হবে— মোদের বাধন টুটবে ততই ... षष्ठे श्रृंद्रिद्रष्कृल সেদিন ডেপুটীবাবু ক্ষুণ্ণ মনে গৃহে প্রত্যাবর্তন করিলেন। চোর যেন চুরি করিয়া ফিরিল । খুনী যেন খুন করিয়া আসিয়াছে। ডেপুটীবাবুর চক্ষু অবনত, মুখ কালিমাময় । - গৃহে আসিয়া দেখিলেন, চারুশীল মুখখানি বিমৰ্ষ করিয়৷ চুপ করিয়া বারান্দার কোণে বসিয়া আছেন । ডেপুটীবাবু বুঝিলেন এ বির্ষমতার কারণ কি । বন্ত্র পরিবর্তন করিয়া স্ত্রীর নিকট অগ্রসর হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন— "কি গে। অমন করে বসে কেন ?" চারুশীলা নিরুত্তর । “কি হয়েছে ?” “মাথাটা ধরেছে ।” “মাধ ধরেছে ? কখন ধরল ! এস দেখি কুমালে একটু ওডিকলোন ভিজিয়ে মাথায় বেঁধে দিই। এখনি সেরে যাবে। چي او اصطصو& A খালাস AMMAMMeA AMAMAMAMAMeMM MAMMMAMMAAA AAAA AAAA MSMA AMA AeMAeMMMMSeSeS Je ) عه معر حمام عمصاحبس تعییهایید یحیی حد

  • স্বামীর দিকে ন চাহিয়া বলিলেন—“থাকৃ দরকার নেই।”

ভাবগতিক দেখিয়া নগেন্দ্রবাবু সরিয়া গেলেন। স্বাসী তাহার চা ও জলখাবার অনিয়া দিল । অন্যদিন গৃহিণী এসময় উপস্থিত থাকিতেন, আজ তিনি অনুপস্থিত। নগেনবাবু জলখাবার থাইতে গেলেন, কিন্তু তাহা গল দিয়া যেন নামিতে চাহে না। বুকের ভিতরটা কে যেন পাথর বোঝাই করিয়া দিয়াছে। জলখাবার ফেলিয়। রাখির কেবল চাটুকু নিঃশেষে পান করিলেন। তাহার পর অনেকক্ষণ ধরিয়৷ ধূমপান করিলেন। শেষে উঠিয়া অপরাধীর মত আবার স্ত্রীর নিকট গেলেন। তিনি তখনও সেইরূপ ভাবেই বসিয়া আছেন । ধীরে ধীরে বলিলেন—“মাথাটা একটু সারল ?” চারুশীলা সঙ্কেতে জানাইলেন, সারে নাই । নগেনবাবু তাহার হাতটি ধরিয়া বলিলেন—“এস এস উঠে এস। আজ একটা ভাল খবর অাছে, ব’ল্ব মনে ক'রে কত আমোদ ক’রে এলাম, আর তুমি রাগ করে বসে রইলে।" স্বামীর আগ্রহাতিশয্যে চারুশীলা উঠিয়া আদিলেন। নগেনবাবু বলিলেন—“আজ সাহেব আমার ও • বেতন বৃদ্ধির জন্থে-কমিশনার সাহেবকে অনুরোধপত্র লিখেছেন।” একথা শুনিয়া চারুশীলার চক্ষুযুগল দিয়া প্রবলবেগে অশ্রু ङ्क्षिण । নগেনবাবু বলিলেন—“ওকি, চোখের জল ফেল কেন?” বলিয়। একহাতে স্ত্রীর হাতটি ধরিয়া, অন্তহাতে চোখের জল মুছাইতে চেষ্টা করিলেন । 蠟 চারুশীলা হাত ছাড়াইয়া লইয়া বলিলেন—“ওগো আজ আমার মাপ কর । আজ আমার কাছে এস না, কোন কথা বলে না।” বলিয়। তিনি চলিয়া গেলেন । নগেন্দ্রবাবু বাহিরে বীরাঙ্গার আসিয়া বসিলেন। অার একবার তামাকের হুকুম করিলেন। ধূমপান করিতে করিতে র্তাহার মানসিক অশান্তি আরও বন্ধিত হইয়া উঠিল । মনে হইল, যেদিন কৰ্ম্মে প্রবেশ করিয়াছিলেন, সেদিন কি ছিলেন, আর আজ কি হইয়াছেন। আজ চারশীল। তাহীকে কাছে আসিতে কথা কহিতে বারণ করিয়াছে । আজি তিনি পতিত, কলঙ্কিত। পবিত্র বিচারাসনে বসিয়া, জানিয়া শুনিয়া, আজ তিনি অবিচার করিয়া আসিয়াছেন । আজই কি প্রথম ? কিসের জস্থা ? কেবল দগ্ধোদরেয় জষ্ঠ । বহুবর্ষব্যাপী শিক্ষণ সাধনার ফল, ধৰ্ম্মবুদ্ধি, বিবেক, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ।---শুধু দগ্ধোদরের জন্ত ভাসাইরা দিয়াছেন। ছি! ছি:! পূর্বকালে অৰ্দ্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত ডেপুটার। ঘুষ লইত। তাহাদের মার্জন ছিল। স্বশিক্ষাভিমানী নগেন্ত্রবাবু গভর্ণমেন্টের নিকট হইতে পদবৃদ্ধিস্বরূপ যুদ্ধ লইয়। বিচারাসন কলঙ্কিত করিয়াছেন। তাহার কি মার্জনা আছে ? ডেপুটীষাবু এই সকল কথা মনে মনে চিন্তা করিয়া অমুতাপে দগ্ধ হইতে লাগিলেন। শেষে অস্থির হইয়া উঠিয়া পড়িলেন । চাদর . লইয়া বেড়াইতে বাহির হইলেন। অন্ধকার অন্ধকার পথ খুজিয়া সেই পথগুলিতে অনেকক্ষণ বেড়াইলেন। সারারাত্রি ভাল নিজা হইল না। পরদিন কাছারী বন্ধ ছিল। প্রভাতে উঠিয়া ভূত্যকে বলিলেনSBDD DBBD DBB S BBBBS DDDBB BBBS BBB হইলেন । ইহা গুনিয়া চারুশীলা জাগিলেন। স্বামীর মুখপানে চাছিয়া