পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- &و e s প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASAASAASAAAS ---- তাহার মনের অবস্থা বুঝিতে পারিলেন। বুঝিয়া সতীর মন করুণায় দ্রবীভূত হইল। কাছে আসিয়া বলিলেন “কবে ফিরবে ?” “কাল সকালেই ফিরব ।” “দেরী কোরে না।” “কেন দেরী হ’লে তোমার দুঃথ কি ?” স্বামীর এই অভিমানবাকো চারুশীলার কোমল হৃদয় ব্যথিত হইল। তিনি স্বামীর বক্ষে মুখ লুকাইয়া নীরবে অশ্রপাত করিতে লাগিলেন । নগেন্দ্রবাবু বলিলেন--"ওকি-ওকি—শান্ত হও। এসে পড়বে।” কিন্তু চারুশীলার দুঃখ দ্বিগুণ বৰ্দ্ধিত হইল । নগেন্দ্রবাবু বলিলেন—“তোমার এ দুঃপ আমি আর দেখতে পারি নে। বা হবার তা হয়ে গেছে। এখন কি করলে তুমি স্বৰ্গী হও বল ।” - চারুশীলা স্বামীবক্ষ হইতে মুথ অপস্থত করিয়া বলিলেন-— ‘আমায় একটি ভিক্ষ দেবে ?” “কি, বল ।” "এ চাকরী ছাড় যে চাকরী বজায় রাখবার জন্যে অধৰ্ম্ম করতে হয় সে চাকরীতে কাজ কি ? আমি তোমার তিন শো টাকা চাইনে। আমি এ ধনদৌলত সোনারূপে চাইনে"। তুমি যদি মাষ্টারী করেও আমার মাসে ৫০ টাকা এনে দাও, আমি তাইতেই সংসার চালিয়ে নেব।” একথা শুনিব ডেপুটীবাবু এক মুহূৰ্ত্ত মাত্র ভাবিলেন । ভাবিয়া বলিলেন--"তাই হবে।" বাহিরে গাড়ী আসিয়া দাড়াইয়াছিল। টেনের সময় সন্নিকট । ডেপুটীবাবু বলিলেন—“তই হবে। তুমি কেঁদ না।" বলিয়৷ পত্নীকে সস্নেহে চুম্বন করিয়া বাহিরে আসিলেন। §: 2: 球 *:: পরদিন প্রভাতে চাপরাশি ডাক লইয়া আদিল । ডেপুটীবাবু তখনও মফস্বল হইতে ফেরেন নাই। চারুশীল দেখিলেন কয়েকগানি চিঠির সঙ্গে এক বোঝা সংবাদপত্র। এত সংবাদপত্র কোন দিন আসে না। একথানি খুলিয়া দেখিলেন, “সন্ধ্যা" পত্রিকা। “ফরিদসিংহে ঘটরাম-লীলা” নামক একটি প্রবন্ধ রহিয়াছে—তাহার চারিপার্থে লাল কালীর রেখাঙ্কিত। ছাত্রদের মোকৰ্দমার উল্লেখ করিয়া সন্ধ্যা তাছার নিজস্ব অপভাষায় এগেন্দ্রবাবুকে ভয়ঙ্কর গালি দিয়াছে। এখনি কেউ সমস্ত প্রবন্ধ পাঠ করিবার ধৈৰ্য চারুশীলার রহিল না। অপর একখানি । পত্রিকা খুলিয়। দেখিলেন, তাহাও ঐ তারিখের “সন্ধ্যা”—ঐ প্রবন্ধ লাল পেন্সিলদ্বারা রেখাঙ্কিত। এইরূপ গণিয়া দেখিলেন, ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেটে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি সেই তারিথের সতেরখানা "সন্ধ্যা’ কলিকাতা হইতে সকৌতুকে নগেন্দ্রবাবুর নামে পাঠাইরা দিয়াছে। পাছে স্বামীর দৃষ্টপথে পতিত হয়, এই আশঙ্কায় সমস্ত “সন্ধ্যা"গুলি চারুশীলা লইয়। জ্বলন্ত চুল্লীমধ্যে নিক্ষেপ করিলেন। বেল ৯টার সময় ডেপুটীবাবু ফিরিলেন এবং তাড়াতাড়ি জাহারাদি कत्रैिब्र1 कझाँध्नौ cश्रृंटलन । চারুশীলা পুত্রকে বলিলেন—“আজ ইস্কুল গেলি নে ? “मा जांब बार ना।” "কেন, ছুটি জছে মাৰি ?” ৰাম৷ ” . . . “ख्रष् ?” ইস্কুল গেলে ছেলের জামার-বলির বালক আর বলিতে পারিল ন। তাহার চক্ষু দিয়া টল্‌ টল্‌ করিয়া জল পড়িতে লাগিল । ইতিমধেই পথেঘাটে অগুণন্ত বালকের ভাহীকে অপমান করিয়াছে। চারুশীলা বুঝিলেন। বলিলেন--"আচ্ছ। তবে থাকৃ। আমারও একটু কাজ আছে।” - দ্বিপ্রহরে গাড়ী ডাকিয়া পুত্রকে সঙ্গে লইয়া তিনি বাহির হইলেন । কালীকাস্তবাবু উকীলের বাড়া গিয়া তাহার স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। - সেদিন সেখানে আরও দুই তিনটি উকীলের স্ত্রী সমবেত হইয়াছিলেন । চারুশীলাকে দেখিয়া অস্তান্ত মহিলারা কোন কথা বলি লেন না। মুখভার করিয়া রহিলেন। কালীকান্তবাবুর স্ত্রী তাহাকে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইলেন। কিন্তু সে অভ্যর্থনা পুর্ব পুর্ব বারের মত সাদর নহে। চারুশীলা বসিয়া, অন্তান্ত কথার পর ছেলেদের মোকৰ্দমার কথা তুলিলেন। একটি মহিলা বলিলেন—“ওটা বড়ই দুঃখের বিষয় হয়েছে।” কালীকান্তবাবুর স্ত্রী বলিলেন—“আপিলে বোধ হয় টিকবে না, ওঁর। বলছিলেন ।” একজন বলিলেন---“তবে যদি স্বদেশী মোকৰ্দমা বলে সাহেবের অবিচার করে।” চারুশীলা জিজ্ঞাসা করিলেন—“জাপিলের দিন কবে হয়েচে জানেন ?” “কবে ঠিক বলতে পারি নে। শীঘ্রই হবে ।” "ছেলেরা কলকাতা থেকে কোন ভাল ব্যারিষ্টীর নিয়ে আহক।” “দে অনেক টাকা খরচ । ছেলেরা কোথায় পাবে ? এরাই ক’রবেন এখন ।” t চারুশীলা অবনত মস্তকে বলিল—“টাকা আমি দেব।” এ কথায় সকলে একটু বিস্মিত হইলেন। কালীকান্তবাবুর স্ত্রী বলিলেন—“আপনি দেবেন কেন ?" চারুশীলার মনে যাহা ছিল, মুথে তাহ ব্যক্ত করিলেন না। করিলে তাহা পতিনিন্দার মত শুনায়। কিন্তু তাহার চক্ষু দুইটি জলপূর্ণ হইয়া আসিল । বলিলেন—“আপনার এই মোকৰ্দমায় ছেলেদের সাহায্যের জন্থ কত টাকা বায়, কত ত্যাগ স্বীকার করছেন। আমি কি এর জন্য কিছু ত্যাগ স্বীকার করবার অধিকারী নই ? অামি এই এক জোড়া বালা এক জোড়া অনন্ত এনেছি। এ বেচলে হাজার টাকার উপর হলে । এই টাক; দিয়ে কলকাতা থেকে ছেলেদের অাপিলের দিন কোন ভাল ব্যারিষ্টীর আনাবার ব্যবস্থা করুন। আমার মনে একটু শাস্তি যাতে পাই, তার উপায় করুন।" ইহা বলিতে বলিতে চারুশীলার গও বাহিয়া অশ্রু করিল। কালীকাস্তবাবুর স্ত্রী গহনাগুলি লইলেন। বলিলেন—“আচ্ছ, উনি বাড়ী আসুন, ওঁকে বলবো।" ७३ घफ़ेनांग्न अछाश भश्शिांशtभंद्र भन७ जरीडूङ रुईल । ॐांशब्र তখন চারুশীলার সঙ্গে হাসিমুখে আলাপ করিতে লাগিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে চারুশীলা বিদায় গ্রহণ করিয়া স্বভবনে ফিরিয়া আসিলেন । - - সপ্তম পরিচ্ছেদ ছেলেদের আপিল শেষ হইয়া গিয়াছে। কলিকাতা হইতে বড় ব্যারিষ্টার আনা হইয়াছিল, কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। জঙ্গ সাহেব আপিল ডিসমিস করিলেন । ছেলেরা জেলে গিয়াছে। হাইকোর্টে মোশামের বন্দোবন্ত হইতেছে । . • ,