পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ)e $ হাসির ভাল করিলেন। একটু •io of Tota—“By the way--- শুনিলাম নাকি আপনার স্ত্রী ঐ মোকৰ্দমার আপিলে হাজার টাকা দিয়৷ ছেলেদের সাহায্য করিয়াছেন ? ইহা সত্য না কি ?” "সত্য। হাইকোর্টে মোশেন হইবে, তাহার খরচও বহন করিতে আমার স্ত্রী প্রস্তুত হইয়াছেন।” সাহেব নিজ স্থৈৰ্য্য অার রক্ষণ করিতে পারিলেন না। আবার উtহার মুর্থ রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল। বলিলেন—“এটা কি গভর্ণমেন্টের বিরাদ্ধাচরণ নয় ?” নগেন্দ্রবাবু অত্যন্ত গম্ভীর হইয়া বলিলেন—“সম্ভবতঃ, কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমার স্ত্রী গভর্ণমেণ্টের চাকর নহেন।” ক্রোধের সহিত বিস্ময় ভাবও সাহেবের মনে আধিপত্য করিতে লাগিল । তিনি এতদিন চাকরি করিতেছেন, এ প্রকার তেজের কথা ত বাঙ্গালীর মুখে অদ্যাবধি শুনেন নাই। সাহেব বুঝিলেন, আজ নগেন্দ্রবাবু তাহাকে অপমান করিবার জন্ত বন্ধপরিকর হইয়াছেন। আচ্ছ, তাছার অমোঘ ঔষধও সাহেবের কাছে আছে। তাহ প্রয়োগ করিলে চাকগিতপ্রাণ বাঙ্গালী এখনি नउछाश् रू३ग्रा गांरश्रितब्र क्रभ। ভিক্ষণ করিবে । e এই ভাবিয়া তিনি বলিলেন—“সে কথা BB BB BBBB BBBB BBS BB S BBB BBBB কাজকর্শ্বে অত্যন্ত শিথিলতা দেখা বাইতেছে । আপনি যদি এখনই সাবধান না হন, তবে আপনার বেতনবৃদ্ধির অনুরোধ-পত্র আমাকে ত প্রত্যাহার করিতে হইবেই, হয়ত বা আপনাকে ডিগ্রেড, করিতেও বাধ্য হইতে পারি।” এই কথা বলিয়া সাহেব নগেন্সবাবুর মুখের পানে সাগ্রহে দৃষ্টপাত করিলেন---ঔষধ ধরিল কি না। বাবুর মুখ নিশ্চয়ই ভয়ে বিবর্ণ হইয়৷ যাইবে এবং তিনি ক্ষমাপ্রাপ্তির জষ্ঠ আকুল হইয়া উঠিবেন। কিন্তু তাহ হইল না। নগেন্ত্রবাবুর মুখে, অল্পে গল্পে, একটু ঘৃণা যাউক । আজি মিশ্রিত হাস্তরেখা ফুটিয়া উঠিল। তিনি বলিলেন---“তাহ স্বচ্ছলে । আপনি করিতে পারেন। কারণ উহাতে আমার কোনই ক্ষতি হইবে না।” সাহেব অধিকতর আশ্চর্ঘ্য হইয়া বলিলেন---“তাহার অর্থ কি ?” প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড "আমি স্থির করিয়াছি, কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করিব। অদ্যই অপিসে অামার কৰ্ম্মত্যাগপত্র আপনার হস্তগত হইবে। আমাকে মাসাস্তে যাহাতে বিদায় দিতে পারেন, বিলম্ব না হয়, অনুগ্রহপূর্বক সে চেষ্টা করিলে অত্যন্ত বাধিত হইব।” শুনিয়া সাহেব যেন আকাশ হইতে পড়িলেন। বাঙ্গালী । বাঙ্গালী হইয়। এত বড় চাকরিটা এক কথায় ছাড়িতে উদ্যত হইয়াছে ? নগেন্দ্রবাবু পকেট হইতে ঘড়ি খুলিয়া দেখিলেন। দেখিয়া, দণ্ডায়মান হুইয়া বলিলেন---“আমি আর আপনার সময় নষ্ট করিব না। গুড মর্ণিং ।” সাহেব অন্যমনস্ক হইয়া, দাড়াইয়া উঠিয়া বলিলেন--- গুড মর্ণিং ” • * 事 事 এক মাস কাটিল। আজ নগেন্দ্রবাবুর চাকরির শেষ দিন । বৈকাল বেলা দেখা গেল, তাহার এজলাসের বাহিরে বহুসংখ্যক স্কুলের বালক সমবেত হইয়াছে। অনেকের হাতে বন্দেমাতরম্ ধ্বজ । তিনি বাহির হইবামাত্র বালকের তাহাকে পুষ্পমালো বিভূষিত করিল। একথান। ফিটন গাড়ী আনিয়াছিল। তাহাতে নগেন্দ্রবাবুকে আরোহণ করিতে অনুরোধ করিল। কিন্তু নগেন্দ্রবাবু সন্মত হইলেন না। বালকের জিদ করিতে লাগিল। বলিল ঘোড়া খুলিয়। আজ উtহাকে তাহারা টানিয়া লইয়া যাইবে । পথ দিয়া একজন গ্রাম্য ও একজন নাগরিক নিরক্ষর লোক যাইতেছিল ব্যাপারখানা বুঝিতে না পারিয়া গ্রাম্য ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল— “একি, বাহে ? বাবুর সাদি না কি ?” নাগরিক ব্যক্তি উত্তর করিল--"আমার পছন্দ হয়, বাবুর জ্যাল হয়েছিল, আজ খালাস হইছে।” এদিকে, বালকের নগেন্দ্রবাবুকে টানিবার জন্য বিস্তর পীড়াপীড়ি করিল, কিন্তু নগেন্দ্রবাবু কিছুতেই রাজি হইলেন না ; অন্ত দিনের মতই পদব্রজে গৃহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। দুই মাস ব্যাপী বিচ্ছেদের পরে আজ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পুনৰ্ম্মিলন সংঘটিত হইল। *

  • ১৩১৪ সালের ভাদ্র সংখ্যা প্রবাসী হইতে পুনমুদ্রিত।