পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] പാ --ാ ব্রিটেন বাধ্য হইয়া স্বরাজ দিয়াছিল, সুতরাং কোন ব্রিটেন-প্রতিনিধি দাসত্বের ব্যবস্থার কল্পনাটাও উল্লেখ করিতে সাহস পান নাই । আমাদের বিবেচনায় ভারতবর্ষও যতদিন নিজে নিঃসংশয় বিশ্বাস করিতে না পারিতেছে এবং অবশুস্বীকার্য্য ভাবে অন্যের নিকট প্রমাণ করিতে না-পারিতেছে, যে, সে ভিক্ষুক নহে, নিজের দাবী আদায় করিয়া লইতে সমর্থ, তত দিন কোন ভারতীয়ের ব্রিটেনের সহিত কোন কনফারেন্সে যাওয়া উচিত নয়। ভিক্ষুকের মন ও ভিক্ষুকের পদ লইয়া গেলে ভিখারী-বিদায় যেরূপ হয়, তাহাই হইবে । তাহাতে র্যাহার রাজী আছেন, র্তাহারা নিজেদের জন্ত লণ্ডনে যাইতে পারেন, কিন্তু দয়া করিয়া এইটুকু করিবেন, যে, ভারতবর্ষের প্রতিনিধি বলিয়া নিজেদের পরিচয় দিয়া ভারতবর্মকে অপমানিত করিবেন না । কনফারেন্স সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ (?) প্রভৃতির মত দৈনিক কাগজে বাহির হইয়াছে, যে, স্যার তেজ বাহাদুর সাপ্রর এক বন্ধু লণ্ডন হইতে র্তাহাকে টেলিগ্রাফ করিয়াছেন, লর্ড আরুইনের বক্তৃতার বিষয় অবগত হইয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী, মিস্টার এণ্ডজ প্রভৃতি বলিয়াছেন, যে, লণ্ডনের কনফারেন্সে, ভারতীয়দের এখন সহযোগিতা করা উচিত। স্তার তেজ বাহাদুরের কোন বন্ধু তার করিয়াছেন, জানা দরকার, এবং তিনি রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতির মত কিরূপে জানিলেন, তাহাও জানা দরকার। শ্রীনিবাস শাস্ত্রী মহাশয়ের মত কিরূপ হইবে, অনুমান করিতে পারিতেছি না। কয়েক দিন হইল এণ্ডজ সাহেব আমাদিগকে বিলাত হইতে তারযোগে জানান— “I have always advocated independence, not Dominion Status,” “wift antrą oặস্বাধীনতার সমর্থন করিয়া আসিতেছি, ডোমীনিয়ন ষ্টেটাসের নহে।” সুতরাং তিনি যে হঠাৎ বড়লাটের “ধরি মাছ না-ছুই পানী” বক্তৃতায় মুগ্ধ হইয়া পড়িয়াছেন, ইহা বিশ্বাস করিতে পারিতেছি না। র্তাহার ভারত ৰিবিধ প্রসঙ্গ—কনফারেন্স সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতির মত ৬১৩ eeAeAMS eeMAMMMMeeMAYAeeMSMMAeeeMAeAMAeeAMAMAMAAAS হিতৈষণ সম্বন্ধে সন্দেহ করিতেছি না। কিন্তু তিনি স্বদেশপ্রেমিক ইংরেজ ; এই কারণে র্তাহার প্রত্যেক মতের অনুসরণ কোনও ভারতীয় কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে না-করিতে পারেন । রবীন্দ্রনাথ কি বলিয়াছেন, সন্দেহ বোধ হইতেছে । কিছু দিন আগে দৈনিক কাগজে বাহির হইয় গেল, রবিবাবু প্যারিসে বলিয়াছেন তিনি রোজ ২৩ খান ছবি আঁকিতেছেন, কবিতা লিখিতেছেন না, রাজনীতিতে র্তাহার অরুচি বাড়িতেছে, ইত্যাদি । অথচ তিনি এরূপ কোন কথাই কাহাকেও বলেন নাই। এবিষয়ে র্তাহার নিজের চিঠি স্বচক্ষে পড়িয়া একথা লিখিতেছি। সুতরাং স্যার তেজ বাহাদুরের অপ্রকাশিতনামা বন্ধু যাহা তার করিয়াছেন, রবিবাবুর সম্বন্ধে"তাহ-সভ্য নাহইতে পারে । র্যাহার। " দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে যোগ দেন নাই এবং দেশের সব অবস্থাও যাহারা দূর হইতে জানিতে পারিতেছেন না, তাহারা খুব মহৎ হইলেও নিদিষ্ট কেন একটি পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ তাহারা দিতে অসমর্থ, এবং দিলে ও সংগ্রামলিপ্ত লোকের। তাহার অন্তসরণ কর! অকৰ্ত্তব্য মনে করিতে পারেন, রবীন্দ্রনাথের ইহা ভাল করিয়া জানিবার বুঝিবার কথা । এইজন্য মনে হইতেছে স্যার তেজ বাহাদুরের বন্ধু কবির সম্বন্ধে হয়ত ঠিক খবর পান নাই ও দেন নাই। অবশ্য নানা কারণে কবির বিবেচনার ভূলও ঘটিতে পারে। দৃষ্টান্তস্বরূপ দুটি কথার উল্লেখ করিতেছি। কবির আধুনিক দুটি বিলাতী লেখায় লর্ড আরুইনের এবং ইংরেজ জাতির যে প্রশংসা আছে, তাহা তাহার মতে সত্য হইলেও আমাদের বিবেচনায় ঠিক্‌ প্রাসঙ্গিক নহে এবং এরূপ প্রশংসা দ্বারা তাহার ইংরেজ দমননীতির প্রতিবাদ নিন্দাবাদ ও সমালোচনার জোর কমিয়া গিয়াছে। দ্বিতীয়তঃ, তিনি যে বলিয়াছেন, ভারতবর্ষ সে বিষয়ে আমাদের • ইংরেজ ছাড়া অন্য কোন সাম্রাজ্যশাসক জাতির অধীন হইলে অত্যাচার আরও অনেক বেশী হইত, এই অপ্রাসঙ্গিক কথার দ্বারাও তাহার সমালোচনা দুৰ্ব্বল হইয়া গিয়াছে। তিনি বলিতে পারেন, “আমি সত্য কথ।