পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8や প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড wife's Rā āfers (auto-suggestion) #Toffo, ভিন্ন ভিন্ন মুনির ভিন্ন ভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক মত। দার্শনিক ”মতভেদের সঙ্গে মনস্তত্ত্বের রূপান্তর । , দ্বিতীয়তঃ, তাহারা মনের একটি সঙ্কীর্ণ সংজ্ঞা দিয়া আরম্ভ করিয়াছিলেন। র্ত্যহাদের বিশ্লেষণ ও বিচারের সমগ্র উপাদান কেবলমাত্র পূর্ণবয়স্ক মানবের পরিণত ও চেতন মন হইতে সংগৃহীত হইয়াছিল। অন্যত্র কোথাও মনের অস্তিত্ব অবশ্বস্বীকাৰ্য্য হইলে তাহার স্বরূপ এই পরিণত ও চেতন মনেরই মাপকাঠিতে স্থিরীকৃত হইত। ফলে দাড়াইল একটি পঙ্গু মনস্তত্ব, ব্যবহারিক জীবনে যাহার কার্য্যকারিতা খুবই সীমাবদ্ধ। স্থূলতঃ বলিতে গেলে, দার্শনিক মনস্তত্ত্বকে বৃত্তিবাদ বলা যাইতে পারে। আত্মা, দেশ ও কালের অতীত, অজড় বা অধ্যাত্ম সত্ত্ব, যে সমস্ত মানসিক ব্যাপার বা অবস্থা আমরা অস্তদর্শন সাহায্যে লক্ষ্য করি, তাহাদিগকে সত্ত্বার বৃত্তি (Faculty ) বলে । কেহ কেহ অনেকগুলি মৌলিকবৃত্তি স্বীকার করিলেন, আবার কেহ কেহ অল্প কতকগুলি মৌলিক বৃত্তি মানিয়া লইয়া অন্য বৃত্তিগুলিকে তাহাদের যৌগিক বৃত্তি বলিলেন । কিন্তু এই বৃত্তিবাদের ফলে মানসিক অবস্থা বা ক্রিয়া-নিচয়ের শ্রেণী বিভাগ ও নাম-নির্দেশ ব্যতীত আর কোন বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্য সাধিত হইল না। বিজ্ঞানের যাহা চরম উদ্দেশু, কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধনির্ণয় বা ব্যাখ্যা, এই বৃত্তিবাদে তাহ বাদ পড়িল । স্বতরাং এরূপ মনোবিদ্যাকে পোষাকী বা অকাৰ্য্যকরী বলিয়া বিজ্ঞানবেত্তারা যে বর্ণনা করিবেন, তাহাতে আর আশ্চর্য্য কি ? আধুনিক মনোবিজ্ঞানের বিশেষত্ব আধুনিক মনোবিজ্ঞান দর্শন হইতে সম্পূর্ণ স্বাতন্ত্র্য-লাভের প্রয়াসী । এই স্বাতন্ত্র্যলাভের চেষ্টা অনেকদিন হইতে চলিতেছে ; আজ সে চেষ্টা সফল হইয়াছে বা হইতে চলিয়াছে। তাহার স্থান আজ বিজ্ঞান-মন্দিরে । পুরোহিত তাহার দার্শনিক নহেন, মনোবিদ্যার বিশেষজ্ঞ। তাহার অকুসন্ধান ও বিচার-প্রণালী অন্যান্য বিজ্ঞানে প্রচলিত বৈজ্ঞানিক প্রণালী । অন্যান্ত বিজ্ঞান যেমন আপনাদের AM MAAA AAAA AAAA AAAAMMAMMS MMMMAMMAMSMSMAMAAASAAAS مممممم علم / مہ সিদ্ধান্তগুলি ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করিয়া মানুষের বাহ্য দুঃখ ও অভাব দূর করিয়া মুখ ও স্বাচ্ছদ্য বাড়াইতেছে, তেমনি মনোবিজ্ঞানও আজ অমুসন্ধানের ফলে মনের কার্য্য নিয়মিত করিয়া কাৰ্য্যকুশলতা ও নৈপুণ্য বৰ্দ্ধিত করিতেছে। মনোবিজ্ঞান আজ বলিতেছে যে, মন জীবনচালনায় প্রধান সহায়, মন যেখানে যন্ত্ররূপে জীবনের গতিকে সাহায্য করে, সেইখানেই আমার অনুসন্ধানের ক্ষেত্র এবং সেইখানেই অমুসন্ধানের ফলে জীবনধারাকে স্থপথে পরিচালিত করিবার উপায় নির্দেশ করা আমার কাজ . এতদিন পদার্থ-বিজ্ঞান বাহ্য ও জড় প্রকৃতির উপর আধিপত্য করিবার মন্ত্র মানুষকে শিখাইয়াছে। আমি আজ হইতে অস্তপ্রকৃতির নিয়মনের মন্ত্র শিখাইব । বিজ্ঞান যে জীবনের এত উপকার সাধন করিয়াছে ও করিতেছে তাহার মূলনীতি বেকনের স্বপ্রসিদ্ধ বাণীর মধ্যে নিহিত । তিনি মাতুষকে উপদেশ দিয়াছেন যে, প্রকৃতিকে বশ করিয়া কাজ করাইতে হইলে প্রকৃতির কাছে বশ্যতা স্বীকার করিতে হইবে । নিরভিমান, সংযতচিত্ত ও পূর্বাভিমতশূন্ত হইয়া প্রকৃতির স্বভাব ও ক্রিয়া সম্যক্ লক্ষ্য করিয়া কাৰ্য্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় করিতে হইবে। মহাপুরুষের এই বাণী আধুনিক মনোবিজ্ঞানে প্রেরণা সঞ্চার করিয়াছে। "তৃণাদপি স্বনীচেন” বাক্যটি ধৰ্ম্মাম্বেষীর সম্বন্ধে প্রযুক্ত হইয়াছে। আমার মনে হয়, যে মনোভাব লইয়া বৈজ্ঞানিকের গবেষণাকার্য্য আরম্ভ ও পরিচালনা করা উচিত, সেই মনোভাবের সম্বন্ধে উহা অধিকতর যোগ্যতার সহিত প্রযুজ্য। বৈজ্ঞানিককে ঐকান্তিক নিষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার সহিত র্তাহার বিষয়ের সম্মুখীন হইতে হয়। মানুষের স্বভাব সাধারণতঃ এমনি - অভিমান ও পক্ষপাতিত্ব দোষে দুষ্ট যে, এই বৈজ্ঞানিক নিরপেক্ষতা সব সময় অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব নয় । প্রবৃত্তিমূলক বিশ্বাস ও কল্পনা বৈজ্ঞানিকের কার্ঘ্যের প্রতি স্তরে ভ্রমের কষ্টি করিতে পারে। এই কারণে বিজ্ঞানের মূল সংজ্ঞাগুলি নিৰ্দ্ধারণ করিবার সময়, সমীক্ষা (observation) < *āwī (experiment) as: ঘটনা বা বস্তুমূলক বিশেষ তথ্য সংগ্ৰহ করিবার সময়,