পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৪ স্থানান্তরে বা আশ্রয় দিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন, ভগ্ন দগ্ধ বাড়ীর ও দোকানের ফটোগ্রাফ লওয়ার বন্দোবস্ত করিয়াছেন, এবং এখনও তার ক্ষতিগ্রস্তদের দিয়া মোকদ্দমা রুজু করাষ্টতেছেন, মোকদ্দমার পরামর্শ দিতেছেন, আদালতে যাতায়াতের জন্ত মোটর-বাস বাড়ীতে বাড়ীতে পাঠাইতেছেন। ঢাকার হিন্দু সম্প্রদায় এজন্য র্তাদের নিকট বিশেষ কৃতজ্ঞ এবং এজন্ত তার সমগ্র হিন্দুসমাজের ধন্যবাদভাজন হইয়াছেন । হিন্দুসভার কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক সভার সদস্ত শ্ৰীযুক্ত রজনীকান্ত দাস উকীল মহাশয়ের নাম এই সাহায্যদানের কাজ সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । তিনি ঢাকার বাহিরেও এই ভয়ঙ্কর সময়ে ঘুরিয়া ঘুরিয়া সাহায্য দিয়াছেন, বা বিরোধ যাহাতে না বাধে, তাহার চেষ্টা করিয়াছেন।” र्विधडबडीब রিপোর্ট বিশ্বভারতীর ১৯২৯ সালের রিপোর্ট পড়িয়া বুঝা যায়, কাজ ভালই চলিতেছে। কলেজ বিভাগে ছাত্রছাত্রী ঐ সালে বাড়িয়াছিল। এ সালে সৰ্ব্বত্র কমিয়াছে । কিন্তু বিশ্বভারতীতে বাড়িতেও পারে, কারণ, সেখানে পিকেটিং নাই । যাহারা নিজেদের প্রকৃত উন্নতির এবং ভবিষ্যতে মানবের সেবার জন্য সদ্য সদ্য দেশের কাজে প্রবৃত্ত না হইয়া জ্ঞানার্জনে কিছু কাল ব্যাপৃত থাকিবেন, র্তাহারাও দেশের কাজে ব্যাপৃত ছাত্র-ছাত্রীদের মত স্বদেশপ্রেমিক। শ্ৰীনিকেতনের কাজ ক্রমশ: বাড়িতেছে। নূতন যে বিস্তৃত ভূখণ্ড লওয়া হইয়াছে, তাহাতে চাষ হইলে ক্রমে ক্রমে শ্ৰীনিকেতন স্বাবলম্বী হইয়া উঠিতে পারে। বিশ্বভারতীতে সাধারণ লেখাপড় ছাড়া সঙ্গীত চিত্রাদি ললিতকলা প্রভৃতি শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। নিকটবর্তী অনেক গ্রামের উন্নতির চেষ্টা করা হইতেছে। বস্তুত:, বিজ্ঞান-শিক্ষার ব্যবস্থা ভাল করিয়া হইলে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবজীবনের আস্তর ও বাহিরের সহিত যেরূপ সৰ্ব্বাঙ্গীন সংস্পর্শ স্থাপিত হইবে, ভারতের অন্ত কোন বিদ্যাপীঠে তাহ নাই। এখনও, বিজ্ঞান ছাড়, প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ t <s* अंग, »भ ५७ অন্য সব দিকে সংস্পৰ্শ আছে। বিজ্ঞান যে একেবারেই শিক্ষা দেওয়া হয় না, তাহী নহে । ছাত্রীদের শিক্ষার ইহা উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যকর ও জনকোলাহল হইতে দূরবত্তী খোলা মাঠে ইহা প্রতিষ্ঠিত বলিয়া তাহারা অসঙ্কোচে চলাফির করিতে পারে ; এবং সাধারণ লেখাপড়া ছাড়া সঙ্গীত, চিত্রাঙ্কন, মূৰ্ত্তিগঠন, স্বচশিল্প, নানাবিধ গৃহকৰ্ম্ম প্রভৃতি শিখিতে পারে, তাহার জন্য অতিরিক্ত বেতন দিতে হয় না । বিশ্বভারতীর আগেকার ব্যবস্থা হইতে দুটি প্রভেদ লক্ষিত হয়। নিকটবৰ্ত্তী কোন কোন গ্রামের বালকবালিকাদিগকে এখনও তাঁহাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু আগে যেমন শান্তি নিকেতনের ছাত্রেরাও পড়াইত, এখন তাহ হয় না । পড়ান এখনও হয়ত ভালই হয়,কিন্তু শাস্তি নিকেতনের ছাত্রদের সহিত গ্রামের প্রণের সম্পর্ক স্থাপিত হয় না । অতিথিশালায় যাহারা আসেন, র্তাহীদের আদর-যত্ব করিবার কতকটা ভার আগে ছাত্রদের উপর থাকায় তাহাতে ছাত্রদের উপকার হইত। এখন বন্দোবস্ত অন্তবিধ । এই উভয় প্রভেদে আগেকার চেয়ে ছাত্রেরা পড়িবার সময় একটু বেশী পায় কিনা জানি না, কিন্তু সম্ভবতঃ হৃদয় মন বড় হইবার সুযোগ কিছু কমিয়াছে। এই দুইটি বিষয় বিবেচনা করিতে কতৃপক্ষকে অনুরোধ করি । মেডিক্যাল ছাত্র ও অন্য ছাত্র ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় অন্য সব কলেজ আপাততঃ বন্ধ করায় মত দিয়াছেন, অথচ মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করায় আপত্তি করিয়াছেন, ইহাতে কেহ কেহ তাহার সমালোচনা করিয়াছেন। আমাদের বিবেচনায় ইহাতে অসঙ্গতি নাই । মেডিক্যাল ছাত্রদিগকে কলেজ সংলগ্ন হাসপাতালে রোগীর শুশ্ৰুষাদি করিতে হয়। এইজন্য তাহাদের শিক্ষা বন্ধ রাখা চলে না। তা ছাড়া, দেশে সাধারণ গ্রাডুয়েট, আইন গ্ৰাডুয়েট এক বৎসর না বাড়িলেও চলে, কিন্তু চিকিৎসক এখনও অনেক বাড়া দরকার । সাধারণ কলেজের শিক্ষা বন্ধ রাখা সম্বন্ধে আলোচনা আগে করিয়াছি । ১২-২, জাপার সাকুলার রোড, কলিকাতা প্রবাসী গ্রেসে, ঐগজনীকান্ত দাস কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত।