পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৬ প্রবাসী - ভাদ্র, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড কিন্তু, ধন্থ একপ্রকার ছিল না। এখানে ধনুৰ্বর্গের ভাগ দেখাইতেছি । ধন্থাগ | মহাযন্ত্র ধন্থ: ལྟཟས་ན། আকর্ষ্য જૂન གཅུན་ অাকর্ষ্য বাণ-নিক্ষেপের দার, নির্মিত (কামুক) পাষাণ-নিক্ষেপের ংশ निबिउ (চাপ) শৃঙ্গ নিমিত শাঙ্গ) ईडjांमि । রামায়ণ মহাভারতাদিতে অস্ত্রের কম এবং বিশেষ বিশেষ অস্ত্রের প্রয়োগও লিখিত আছে ৷ কদাচিৎ অস্ত্রের বিশেষণ দ্বারা নিমৰ্পণও জানিতে পার। ষায় । যেখানে কেবল নামটি আছে, আর কিছুই নাই, সেখানে অস্ত্রটি অজ্ঞাত থাকিবে। বল বাহ ল্য, ধন্থ যেমন অস্ত্র নয়, যন্ত্ৰ ; বন্দুক ও কামানও অস্ত্র নয় ; নিক্ষেপের যোগ্য ন হইলে অস্ত্র বলিতে পারা যায় না। যদি বন্দুককে অস্ত্রও বলি, ইহ। অগ্নিময় অস্ত্রও নয়, অগ্নিবলে প্রেরক অস্ত্র বলিতে হইবে। ইহাতে নল চাই, অগ্নিচুৰ্ণ বা বারুদ চাই, আর চাই ধাতুময় বটিক বা গলিক। যদি বারুদ না পাই, যদি বাহ বল ব্যতীত অগ্নিবল না পাই, তাহা হইলে বন্দুক বা কামান হইতে পারে না। w যে যে অস্ত্রে বন্দুক বা কামান মনে হইয়াছে, সে সে অস্ত্র বিচার করিতেছি । ১ । স্থর্মি, স্বমী । নামটি মমু-সংহিতায় ( ১১।১০৪ ) আছে। অর্থ ধাতুময় প্রতিমা ; 'অয়োময়ী প্রতি কৃতি । গর-পত্নী-গামীকে ‘জলন্ত স্বর্মী আলিঙ্গন করাইয়া বধের ব্যবস্থা ছিল। বোধ হয়, স্বর্মী সুষির ( ফাপা ) হইত, এবং ভিতরে জলন্ত অঙ্গর রাখিয়া ‘জলন্ত করা হইত। ধাতু পুড়িতে পারে না ; অতএব জলস্ত’ অর্থে তাপে দীপ্ত বুঝিতে হইতেছে। স্মৃতির এই স্বর্মীকে কেহ কামান মনে করেন নাই, বেদের স্বমীকে মনে করিয়াছেন । ঋগ বেদে (৭।১।৩) স্বামী শব্দ আছে। সায়ণ অর্থ করিয়াছেন, “জাল । অগ্নিকে ‘জালা (তাপ) দ্বারা দীপ্ত হইতে বলা হইয়াছে । বোধ হয় -উৰ্মি = সুর্মি । উর্মি দীপ্তি, দীপ্তির তরঙ্গ । তৈত্তিরীয় সংহিতায় (৪৫।৯২) ‘হুমা’ অর্থে সায়ণ শোভনা উৰ্মি-যুক্ত নদী’ বুঝিয়াছেন। কিন্তু অন্যত্র (১৫৭৬) ‘কৰ্ণকাবতী সূর্মী আছে। সায়ণ লিখিয়াছেন, “জলন্তী লোহময়ী স্থণা সুম স চ কৰ্ণকাবতী ছিদ্রবতী অতএব জলস্তীত্যর্থ " স্কুঞ্জ গৃহের স্তম্ভ, খুটি । তাহার মধ্যে ছিদ্র আছে, মাথায় কানা আছে । অতএব লোহার নল অর্থ পাইতেছি। ‘জলন্তী’ অর্থ ‘তাপে দীপমান|” বুঝিতে ' হইতেছে। ঋগ বেদে (৮৬৯১২), ‘স্থম্যং স্বষিরামিব’ আছে। সুর্মি যে সুষির, তাহা এখানে স্পষ্ট হইয়াছে। এখানে ‘জলন্তী’ নাই। অতএব বেদের স্বর্মী ধাতুময় নল, তাহ আগনে তপ্ত হইয়৷ জলন্তী হইতে পারে। পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরাও এই অর্থ বুঝিয়াছেন । অতএব সূৰ্মী শব্দের দুই অথর্ণ পাইতেছি । স্ন-উর্মী, শোভনতরঙ্গ-যুক্ত ; আর, লৌহময় নল । এই দুই অর্থের একটাতেও বন্দুক কামান নাই। সায়ণ চতুর্দশ খ্ৰীষ্টশতাদে ছিলেন। তখন বন্দুক কামান প্রচলিত ছিল । বেদের স্বৰ্মী এরপ কিছু হইলে তিনি হুমি অর্থে নলীকান্ত্র বলিতেন । ২। সীস। অথর্ববেদে সীস দ্বারা শত্ৰু বিনাশের কথা আছে। কেই কেহ এই সীসকে বন্দুকের সীসধাতুময় বটিক মনে করিয়াছেন । কিন্তু, উক্ত বেদের স্বক্ত ও সায়ণের ভাষ্য পড়িলে বলুকের গলি পাওয়া যাইবে না। যথা, অথর্ববেদে ( ১১৬২), বরুণদেব সীসকে বলিতেছেন, “হে সীস, অগ্নি তোমায় রক্ষা করিতেছেন। রাক্ষসাদি বিনাশের নিমিত্ত ইন্দ্র আমায় সীস দিয়াছেন। এখানে সায়ণ "সীস’ শব্দে নদী-সীস, নদীফেন এই পরিভাষা উদ্ধার করিয়াছেন । বোধ হয়, অথর্ববেদের নদীফেন আয়ুর্বেদে সমুদ্রফেন নামে খ্যাত । সে যাহা হউক, সীস সীসকধাতু নয়। সায়ণের বিস্তারিত ব্যাখ্যা হইতে বুঝিতেছি, দ্বেষ্য-মরণার্থে অভিমন্ত্রিত সীসচুর্ণ মিশ্রায় প্রদান করা হইত। অমাবস্তার রাত্রে। শুধু নদী-ফেন নয়, তাহার সহিত লৌহচূর্ণ কৃকলাসশির থাকিত। কৌটিল্য তাহার “অর্থশাস্ত্রে” এইর,প