পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'8b"

  • f, *s- og Hofors Ass (Phenomena), 8 & অবস্থা-নিচয়ের মধ্যে সেই সত্যের স্থিতি ও পরিণতি সেই অবস্থা-মিচয়ের, মজির ও পরিমাপ ( record and রাখিতে হয়। উপরি উক্ত পদ্ধতিতে সম্যকৃভাবে বিশেষ সত্য ( Phenomena ) লক্ষ্য করিবার জন্য পরীক্ষাগারে যন্ত্রের সাহায্য লওয়া দরকার। অন্যান্য বিজ্ঞানের স্যায় মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষায়ও সন্ত্রের প্রচলন নিভুল ও সম্যক সত্য লক্ষ্য করিবার জন্যই ।

মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষা সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা এই স্থানে মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষার প্রকৃতি সম্বন্ধে সাধারণের মধ্যে যে সব ভ্রান্ত ধারণা আছে তাহাদের দু’একটি নির্দেশ করিলে অপ্রাসঙ্গিক হইবে না । মনস্তত্ত্বের চর্চায় যন্ত্র ব্যবহার কি ? এই প্রশ্নটি ভ্রান্ত ধারণাগুলির মধ্যে নিহিত আছে বলিয়া বোধ হয় । মন ত সকলেরই আছে, সকলেই নিজেদের মধ্যে মনের অবস্থা ও ক্রিয়াদি লক্ষ্য করিতে পারেন ও তাহাদের সম্বন্ধে জ্ঞান লাভও করিয়া থাকেন। কই কাহারও ত সেজন্য যন্ত্রের আবশ্যক হয় না ? কেহ কেহ ভাবেন মনের সাধারণ অবস্থা বা গুণ লক্ষ্য করিবার জন্য যন্ত্রের দরকার হয় না, যোগাদি ক্রিয়ার দ্বার লভ্য শাস্ত্রোক্ত মনের আলৌকিক বা অতিপ্রাকৃত শক্তি লক্ষ্য করিবার জন্যই যন্ত্রের ব্যবহার । বৎসর দুই পূৰ্ব্বে সংবাদপত্রে পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞানবিদের আবখ্যক বলিয়া বিজ্ঞাপন বাহির হইয়াছিল। তাহাতে লেখা ছিল যে, পদপ্রার্থীর পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞানে বুৎপন্ন হওয়া চাই ; অধিকন্তু যোগশাস্ত্রে তাহার পাণ্ডিত্য ও অভিজ্ঞতা থাকা দরকার । তাহাকে যোগশাস্ত্রোক্ত প্রক্রিয়াদি সম্বন্ধে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করিতে হইবে । আমি লক্ষ্য করিয়াছি, কৌতুহলী হইয়া যাহারা পরীক্ষাগারে যাদি দেখিতে আসেন তাহদের অনেকেই যন্ত্রের বাহুল্য ও আড়ম্বর না দেখিয়া কতকটা ভগ্নোংসাহ হইয়া চলিয়া যান। কেহ কেহ এরূপও আশা করেন যে, তাহারা পরীক্ষাগারে যাইয়া যন্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন মানসিক বিকার চাক্ষুষ করিতে পাইবেন। & পরীক্ষার সময় মনোবিদ সামান্ত যন্ত্র লইয়া অনেক measurement ) প্রবাসী—বৈশাখ, ৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ম খণ্ড সময় গুরুতর সমস্তার সমাধানে ব্যস্ত থাকে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় যন্ত্রের উদ্বেগু সমীক্ষণকে নিয়মন করা। পূৰ্ব্বেই দেখিয়াছি যাহা আলৌকিক বা অপ্রাকৃত তাহা কোন বিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় নহে। দৈনন্দিন জীবনে দেখিয়া শুনিয়া যে সাধারণ জ্ঞান আমরা লাভ করিয়াছি তাহাই, বা সেইরূপ জ্ঞান বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে ভূয়োদর্শন ও পরীক্ষার দ্বারা লাভ করিলে বিজ্ঞান হইয়া দাড়ায়। কোন মানসিক ক্রিয়া বা মানসিকক্রিয়াজনিত দৈহিক ক্রিয়া কিরূপে ঘটে, অন্যান্য ক্রিয়ার সহিত সেই সব ক্রিয়ার সম্বন্ধই বা কিরূপ তাহা সাবধানতার সহিত পুনঃ পুনঃ সমীক্ষণ, কিংবা সম্ভব হইলে যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করিয়া দেখা হয় । তাহাতে মনের সম্বন্ধে সাধারণ জ্ঞান অপেক্ষা আমাদের সিদ্ধান্ত অধিকতর দৃঢ় ও প্রামাণ্য হয় মাত্র। একটি মনোবিজ্ঞানের পরীক্ষার দৃষ্টাস্তের সাহায্যে কথাটি বুঝাইবার চেষ্টা করিব। এককালীন মনোযোগের przy gęssfī frīH ( Stimulus objects ) (gr সঙ্গে আমরা উপলব্ধি করিতে পারি সে-সম্বন্ধে সাধারণের মধ্যে ধারণা নানারূপ । কেহ কেহ বলেন, এককালে একাধিক বিষয়ে আমরা অভিনিবেশ করিতে পারি না । কেহ কেহ বলেন, অনেক গুলি বিষয় এক সঙ্গে উপলব্ধি করা যায়। এ সম্বন্ধে আধুনিক মনোবিজ্ঞান পরীক্ষা দ্বার স্থির করিয়াছে যে, মনঃপ্রসার বা ক্ষণমাত্র মনোযোগের F# fTETRf"Rf# ( range or span of attention ) সৰ্ব্ব অবস্থায় বা সৰ্ব্বপ্রকার বিষয় উপলব্ধিতে এক নহে। মনের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায়, ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে এই প্রসারের হ্রাসবৃদ্ধি হয়। অসংযুক্ত অক্ষর (যথা স, ঈ, ফ, চ, শ, এ ) চক্ষুর সম্মুখে মুহূৰ্ত্তের জন্য প্রদর্শিত হইলে পাচটি কিংবা ছয়টির অধিক আমরা উপলব্ধি করিতে পারি না । কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন অক্ষর মিলিত করিয়া যুক্তাক্ষর প্রদর্শন করিলে (যথা স্ফী, শ্চে ইত্যাদি ) আমাদের উপলব্ধির প্রসার বদ্ধিত হইয়া যায়। আমরা একসঙ্গে আঠারটি কুড়িটি অযুক্ত অক্ষর আয়ত্ত করিতে পারি। আবার অক্ষর সংযোজন করিয়া অর্থপূর্ণ পদ প্রদর্শন করিলে অক্ষর উপলব্ধির প্রসার অনেকগুণ