পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] প্রকাশিত হয় । হাস্ক করুণ ও আদিরসের সমবায়ে জীবনতারা পাঠকের মনে আনন্দরসের স্বাক্ট করিত। অশ্লীল অংশবিশেষের জন্য গভর্ণমেণ্ট উহা বন্ধ করিয়া দেন। অশ্লীল অংশ পরিহারপূর্বক নব্য জীবন-তার পুনঃপ্রকাশিত হয়। ১২৪৫ হইতে ১২৫০ সালের মধ্যে কবির নব্যজীবনতার ও ছয়খণ্ড পাচালী রচিত হয়। রসিকচন্দ্র প্রত্যুৎপন্নমতি ও স্বভাবজাত কবিপ্রতিভার গুণে অনেক কবিওয়ালাকে কবিগান, তর্জার উত্তর, তাহা ছাড়া বাউল কীৰ্ত্তনীয়া ও যাত্রাওয়ালাকে আবশুক-মত গান বঁাধিয়া দিতেন। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহিত রসিকচন্দ্রের বিলক্ষণ বন্ধুত্ব ছিল । উভয়েই সমবয়স্ক ছিলেন। একদিন কাৰ্য্যোপলক্ষে রসিকচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় কথাপ্রসঙ্গে বলিয়ঃছিলেন—“আমাদের দেশে ছেলেদের পাঠোপযোগী কবিতা পুস্তকের বড়ই অভাব, আপনাকে এই অভাব পূরণ করিতে হইবে।” রiয় মহাশয় বলিলেনু—“বৰ্ত্তমান কালের শিক্ষার ধারা ঠিক আমার জানা নাই ; কাজেই একাজ আমার পক্ষে এক প্রকার অসম্ভব । বিদ্যাসাগর মহাশয় পাক। জহুরী ছিলেন। তিনি পূৰ্ব্বে শুনিয়াছিলেন স্বভাবকবি রসিকচন্দ্র উপস্থিত-রচনায়ও বিলক্ষণ পটু ৷ তাহার পরীক্ষা করিবার কৌতুক হইল। তিনি বলিলেন - ‘রায় মহাশয় আপনাকে একটু রচনা শুনাইতে হইবে।” বিদ্যাসাগর মহাশয় বর্ণনীয় বিষয় নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিলেন —প্রভাত-বর্ণন । বিদ্যাসাগর মহাশয় লিখিয়া চলিলেন, কবি আরম্ভ করিলেন – রাতি পোহাইল ভাতি, দিল দিক সব কল কল কুল কুল পার্থী করে রব। সোনার থালার মত উঠিল অরণ ছুটিল চৌদিকে তার কিরণ তরুণ । গিরির চূড়ায় আর তরুর শাখায় লাগিয়া সোনায় যেন জড়িত দেখায় । —ইত্যাদি । ● ঈশ্বরচন্দ্ৰ ভাবিলেন এ হয়ত কবির পূর্বরচিত কবিতা, হুগলীর পল্লীকবি রসিক রায় అలిసి বলিতে বলিলেন। বিষয় নিৰ্দ্ধারণ হইল-পরোপকার। রায় মহাশয় বঞ্চিত লাগিলেন – শুন হ’য়ে একচিত, কথা নহে অনুচিত করিতে পরের ভাল, ভুলে না রে ভুলে না । পরদুঃখে দুখী হ’য়ে ভাল কর ভার লয়ে কদাচ ভুলিয়া যেন রয়ো না রে রয়ো না । কর করি নিজহানি, পরপক্ষে টানাটানি পরের অহিত কণী কয়ে না রে কয়ে না । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সন্দেহ দূর হইল । তিনি কবির প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও শব্দযোজনার স্বাভাবিক শক্তি দেখিয়া বিস্মিত হইলেন। সন্তুষ্ট হইয়৷ চুরি বিষয়ে একটি কবিতা বলিতে অনুরোধ করিলেন । রায় মহাশয়েরও বিরক্তি নাই, এমন পরীক্ষকের কাছে পরীক্ষা দেওয়াও গৌরবের কথা । 肇 肇 褒 এ জগতে দোষ নাই চুরির সমান । भन शॉग्न ५न तृग्न आiद्र शृग्न ॐist ॥ দেশে অপবাদ অপরাধ কত । সবার ঘুপিত কাজ নিন্দ শত শত | একে পাপ যোগাযোগ তায় অনুযোগ ! কখনও চোরের জবা নাহি হয় ভোগ । সেকালের সেই সংস্কৃত শব্দবহুল, সমাস আড়ম্বয়ময় বাংলা-সাহিত্যে খাটি বাংলায় সহজ স্থবোধ্য কবিতা প্রতিভাবান কবি ব্যতীত রচনা অসম্ভব । টেকচাদ ঠাকুরের ‘অীলালের ঘরের দুলালে’র মত তিনিও কতকট। পদ্যসাহিত্যে একটা বিশেষ পথের সন্ধান দিয়াছিলেন । বাংলা দেশে তৎকালে পদ্যের শ্রোত যেন মাঝরাংeায় আসিয়া থামিয়। গিয়ছিল । কবি তাই অফশোধ করিয়া লিখিয়াছিলেন— हॉग्न cब्र रुtत्रग्न १छ् दांग्र ! शांझ ! श्iन्न ! পূর্বের অপূৰ্ব্ব মান এখন কোথায় ? কত ছুটা কত ঘটা কত দত্ত ছিল পদ রে! তোমার তেজ সকলি ঘুচিল । বিলাতী খেলাতি পদ্য দেখিয়া বিস্তার বাঙালি ! কাঙালী তোরে করেছে এবার । পয়ার। দয়ার নাই তোর প্রতি টান । হতিসূ বিলাতী বরং পেতিসূ সম্মান ॥ বঙ্গের রঙ্গের পদ্য থাক্ থাক্ থাক্ । বাজুক কত না বাজে গদ্য-জয়ঢাক । ওরব নীরব হবে না, রহিবে এদেশে । অক্ষর মৃদঙ্গ তুই বাজিবি রে শেষে । তাহারই পুনরাবৃত্তি হইতেছে। তখন আবার একটি কবিতা প্রাচীন সংস্কৃত হইতে আরম্ভ করিয়া পদ্যের স্রোত