পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৫৫ ৫ম সংখ্যা ] ASAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAAA AAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS মাত্র কতকগুলি খৃষ্ট ধৰ্ম্মগ্রন্থ ও চার্চের গানের পুস্তক ছাপা হইয়াছে। তাহাতে আমাদের সাহিত্যের যে কি হইল বুঝিতেছি না। রোমান বর্ণমালা একে বিদেশী, তার উপর আমাদের ভাষার যথার্থ উপযোগী বলিয়া মনে হয় না । রোমান বর্ণমালা অপেক্ষ বাংলা বর্ণমালাতে আমাদের ভাষা ভাল লেখা হইবে বলিয়। মনে হয়। বাঙ্গালীরা আমাদের প্রতিবেশী। আমাদের সমুদয় ব্যবসা বাঙ্গালীদের সঙ্গে । সুতরাং বাঙ্গালা ভাসা জানা আমাদের নিতান্ত দরকার । তার উপর বাংলার মত একটি উন্নত ভাষার মানসিক সম্পদের অধিকারী হইবার সুযোগ পাইলে আমাদের যথার্থ উপকার হয়। আমাদের সমগ্র জাতিই বাংলা ভাষা শিখিবার জন্য খুব উৎসুক। কিন্তু সুযোগ কোথায় ? মিশনারীদের বিদ্যালয়ে সামান্য ইংরেজী মাত্র শিক্ষা দেওয়া হয় । ছাত্রগণকে বেশী শিক্ষা প্রদান করা কর্তৃপক্ষ অনাবশ্যক মনে করেন, কোনও রকমে বাইবেলখন পাঠ করিতে পারিলেই হইল। আবার যাহা শিক্ষা দেওয়া হয় তাহাও এত অপ্রচুর যে, যদিও বা কোন ছাত্র মিশনারীদের বিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হইয়া শিলচর হাইস্কুলে ভর্তি হয়, তাহা হইলে সেখানে পড়া ভাল চালাইতে পারে না। মিশনারীদের স্কুলে কখনও ংলা ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয় না। বিদেশী পোষাক আমাদের পোষাক হইয়াছে। পারি আর না পারি, বিদেশী আচার-ব্যবহার অন্তকরণ করিতে প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছি। বিদেশী বর্ণমালায় আমাদের লেখাপড় চলিতেছে। প্রতিবেশী বাঙ্গালীর সঙ্গে আমাদের কথা কহিতে হইলে আমাদের ইংরেজীর আশ্রয় লওয়া ছাড়া উপায় নাই। ইহাতে আমরা ক্রমশ: এদেশ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইতেছি এবং ইহার একমাত্র কারণ এই মিশনারী আন্দোলন । (৪) ঔষধ দেওয়া হইতেছে। ঔষধ দিয়া মিশনারীরা শুধু খ্ৰীষ্টান-পরিবারদের যথেষ্ট উপকার করিতেছেন,-- ইহাতে সন্দেহ নাই। তবে শিক্ষাহীন জাতির পক্ষে সবই বিড়ম্বন । রোগ দিন দিন বাড়িতেছে। স্বস্থ সবলকায় লোকের সংখ্যা দিন দিন কমিতেছে। পাহাড়ীর নানা প্রকার গাছ-গাছড়া হইতে ঔষধ ব্যবহার করে । আসামের কুকি জাতি সেগুলি রোগে চমৎকার কাজ করিত। এখন এই সব অসভ্যতা। ঘরে ঘরে বিলাতী পেটেণ্ট ঔষধ দ্বিগুণ ত্রিগুণ মূল্যে বিক্রয় করা হইতেছে। ডাক্তারখানাতে ডাক্তারের দরকার হয় ন-কম্পাউণ্ডার বাবুরাই ধন্বন্তরী। অনেক সময়ে অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী হইয়। দাড়ায়। তবে পাহাড়ীরা এ সব বোঝে না, তাই রক্ষা । মিশনারীরা ঔষধ দিয়া আমাদের উপকার করিতেছেন । সেই ঔষধ গলাধঃকরণের সঙ্গে সঙ্গে আমরা মিশনারীদের নিষ্কাম প্রেম ও প্রভূ যীশুকে একমাত্র পরিত্রাতা বলিয়া দৃঢ় (অন্ধ নয়) বিশ্বাস করিতে ক্রটি করিতেছি না । (৫) যাহারা খ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেছে, তাহার। কেহই মদ্য পান করে না । বাহির হইতে দেখিলে এ একটা মস্ত কাজ বটে। মদ্যপান না করাই ভাল। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি আমরা নিজে ভাত হইতে এক প্রকার মদ্য তৈয়ার করিয়া উংসবের সময় বা ক্ষেতের কাজ করিবার সময় পান করি । তাহাতে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি করে বলিয়া কোথাও দেখি নাই । এই মদ্য বন্ধ করাতে আবালবৃদ্ধবনিতা সিগ্নারেট ধরিয়াছে। পাচ বৎসরের শিশুরও সিগারেট না হইলে আর চলে না । কোনও জাতির মধ্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার একেবারে বন্ধ করা শক্ত । স্বাস্থ্যহানি ও অর্থহানির দিক হইতে মাদকদ্রব্যের বিচার করিলে কি দেখি? আমাদের দেশীয় মদ্য অপেক্ষা শুধু সিগারেটে কমপক্ষে এক হাজার গুণ খরচ বেশী । দেশীয় মদ্য প্রস্তুত করিতে আমাদের কোনও খরচ লাগে না । দেশীয় মদ্যে কাহারও স্বাস্থ্যের কোন প্রকার হানি করিতে আমি কখনও দেখি নাই । সিগারেট কি ক্ষতি করে তাহা ত চিকিৎসকগণের অভিমতই প্রামাণ্য । সিগারেটের মত চায়ের কাটতিও দিন দিন ভীষণভাবে বাড়িতেছে। আমাদের মত গরীব জাতির পক্ষে এই সব বালাই মুখের না হইয়। দুঃখেরই হয়। আমাদের উপার্জনও বেশী ছিল না, সেইরূপ অভাবও বড় ছিল না । ছেলেমেয়ের পিতামাতাকে দেবতার ন্যায় ভক্তি করিত। বধূর শ্বশুর-শাশুড়ীর সেবা করিত । দিনগুলি আমাদের শাস্তিতে যাইত। বাইবেলের নিউ টেষ্টামেণ্টে আছে—যীশুর ভাব পাইয়া ছেলের