পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] পাহাড়ীরাও বুঝিতেছে না। কিন্তু কালে এর ফল বিষময় হইবে এবং সেই বিষময় ফল সমগ্র দেশবাসীকেই ভোগ কুরিতে হইবে । ইহারা চিরকালই অসভ্য থাকিবে না। এখনও সময় আছে। এখনও দেশবাসীরা ইচ্ছা করিলে ইহাদিগকে টানিয়া লইতে পরিবেন। বিশেষতঃ নিষ্কলঙ্ক ૭૯૧ চাহিতেছে । এখনই যদি উহাদিগকে শিক্ষা ও ধৰ্ম্ম দিয়া সাহায্য করিতে কহ অগ্রসর হন তবে যথার্থ উপকার হইবে । একটা অবলম্বন ভিন্ন কেহ থাকিতে পারে না । আমাদের মধ্যে যাহারা মিশনারী আন্দোলনে ষোগ দেয় নাই বা একবার যোগ দিয়া সংস্রব ত্যাগ করিয়াছে পাহাড়ীদের মধ্যে খ্ৰীষ্টধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা কমিয়া গিয়াছে। তাহারা আজ দেশবাসীর নিকট হইতে সারবান প্রচারকগণের চরিত্রই বোধ হয় এর জন্য দায়ী। কিছু চাহিতেছে । কিছু দিন অপেক্ষ করিয়৷ খ্ৰীষ্টানদের মধ্যে অনেকেই আজকাল নাম কাটাইয়া যদি কিছু না পায়, তবে “ পুনমুষিক ” হইয়। লইতেছে । ইহার এখন বাহিরের কোন জিনিষ যাইবে । 2Eడా নিষ্কলঙ্ক শ্ৰীপ্রবোধচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভদ্রের অপরাহ্ল । বেল পাচটা । দুঃসহ গরম। পাথর- মনে মনে সবাই বাড়ীর কথা ভাবছেন । একবার বাধা সহরের পথ ও বাড়ীগুলো হাপরের মত গরম নিঃশ্বাস ছাড়ছে। চূণকাম-করা সাদা দেয়ালে রোদের আভা যেন চোখ ঝলসায়। পথের পাশে বকুল দেবদারুর দীঘল ছায়া যেন শীর্ণ, ক্লাস্ত, আতপতপ্ত। দূরে অচল নদীজল স্বৰ্য্যালোকে পাণ্ডুর, মৃতের মত স্তব্ধ । সহরের এক নাট্যমন্দিরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যারিষ্টার সম্মিলিত হয়েছেন। ছোট একটি কমিটি। কিছুদিন আগে ইহুদীদের ওপর অযথা বিষম অত্যাচারে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের সম্বন্ধে স্ববিচারের ব্যবস্থাই কমিটির উদেশ্ব। কমিটির সভ্যেরা সকলেই যুব, উদীয়মান আইনজীবী । কৰ্ত্তব্যপরায়ণ, সজ্জন । যিনি যেখানে স্থান পেয়েছেন, সেখানেই বসেছেন—কেউ বেঞ্চে, কেউ বা ছোট একটা পাথরের টেবিলে—আর সভাপতি আসীন । শূন্য “কাউণ্টারের” ভিতর দিকে। শীতকালে অভিনয়ের অবকাশে এখানে চা, কফি প্রভৃতি বিক্ৰী হয় । বাইরে পথের কলরবে, রৌদ্রতাপে ও গরম হাওয়ার , ঝণজে ব্যারিষ্টারদল অবসরপ্রায় । তদন্তের কাজ যেন - গড়িয়ে চলেছে। সভ্যেরা কেবল উদাসীন নয়, ক্রমে যেন বিরক্ত হয়ে উঠছেন। 3) عســسد يقاعb এখানকার দরজার বাইরে পা বাড়াতে পারলে হয়— তাড়াতাড়ি বাড়ী গিয়ে অবিলম্বে বস্ত্রত্যাগ ও স্বান—দীর্ঘ স্বান। ভাবতেও যেন শরীর জুড়িয়ে যায়, দেহে যেন নববলের সঞ্চার হয় । সভাপতি বোধ হয় এমনই একটা কিছু ভাবছিলেন— অধীরভাবে কাগজ পত্র নাড়তে নাড়ুতে তিনি বললেন— “আজকার কাজ সম্বন্ধে বোধ করি একটা বিবৃতি লিখতে হবে—অবশিষ্ট করণীয়... ..” কথা শেষ হবার আগেই তিনি শুনলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ সভ্যটির স্পষ্ট অথচ অমুচ্চ স্বগতোক্তি—“অবশিষ্ট করণীয় শীতল পানীয়...” পদমৰ্য্যাদার সম্মান রাখবার জন্য সভাপতি তরুণ সভ্যটির দিকে কটাক্ষ হানলেন, কিন্তু হাসি চাপতে পারলেন না । সভা ভঙ্গ করা ছাড়া গত্যস্তর নেই। তিনি সেই কথা বলতে উঠছেন, এমন সময় দরোয়ান এসে জানাল যে, সাতজন লোক বাইরে অপেক্ষা করছে। তাদের কি একটা জরুরী আরজী আছে । আবার আরজী ! সভাপতি অধীর দৃষ্টিতে সভার দিকে চাইলেন । “কি করা যায় ?” সভাপতির প্রশ্ন