পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাম-মাহাত্ম্য শ্ৰীনন্দি শৰ্ম্ম। বিরচিত গাড়িতে মাথা গলিয়েই “বিশল্যকরণী” পত্রিকার পরিচিত রিপোর্টার বিরূপাক্ষ পাকড়াশীকে দেখে চমকে গেলুম। তিনি কাগজ থেকে চোখ তুলে আমার ওপর মেলে ধরলেন। সবিস্ময়ে বললেন,—“তুমি ? আরে আমি ভেবেছিলুম ধে“” “না—সে কপাল নয়, তা হ’লে তো • ” “না না, এখনি যাবে কোথা ? শুভদিন দেখে যাও । তার সংবাদ নিয়ে ফিরছি,—হাতেই রয়েছে...” “ব্যাপার কি ? গিয়েছিলে কোথায় ?” "এই যা বানিয়ে এনেছি, শুনলেই বুঝতে পারবে,— আমারও ‘রিভাইজ হয়ে যাবে!” “বানিয়ে এনেছি মানে ?” “বানিয়ে নয় তো কি ! সে-ভাষা আম; ভিন্ন আর বুঝতে কে ? ত্রেতাযুগের খাটি প্রাকৃত—আজও বিরূপাক্ষের এত কদর-আদর আর কিসের !" “তুমি বুঝলে কি করে ?” “আরে সব জিনিষ কি জেনে বুঝতে হয়! বুদ্ধির তবে কাজটা কি ? শট-হ্যাণ্ড চালাইনি—লম্বা হাতেই লিখেছি, শোনো— শুভ শ্রীরাম-নবমী দিবসে শ্রীবৃন্দারণ্যে কপিবৃন্দের একটি বিরাট সভার অধিবেশন হয় । মানা দিগদেশ হ’তে জাতিবর্ণনির্বিশেষে সভ্যগণ সমবেত হ’ন ও মুখর-উৎসাহে সভার কাৰ্য্যে যোগদান করেন। প্রাচীন ও নবীন সকলেই সদলে উপস্থিত ছিলেন। বহু বিতণ্ডার পর শ্ৰীজাম্বুবানকেই অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি স্থির করা হয়েছিল। মাত্র লাঙ্গুলহীনতাই তার প্রতিকূলে ছিল, কিন্তু অমরত্ব, প্রাচীনত্ব এবং জ্ঞানবৃদ্ধত্ব ছিল তার অন্থকূলে ; স্বতরাং সহজেই বিরোধ মিটে যায়। o তিনি একটি নাতিদীর্ঘ বক্তৃতায় বলেন,—যদিও আপ্তসার হিসাবে বিনয় বাক্যের বাধুনি কোসে বক্তৃত৷ আরম্ভ করাই বিধি, কিন্তু আমাদের নেশুনের তা নিয়ম নয়। তাই নিজেকে ত্রিকালজ্ঞ বলে গৌরবের দাবী করচি না । কথাট| অসম্ভবরূপ সত্য হলেও, নাই বা বললুম। তবে সত্যের খাতিরে বলি—তিন যুগ দেখেছি বটে। সেই অধিকারে—‘শ্রীমান’ বলে সম্বোধন করলে, আশা করি তোমরা ক্ষুঃ বা রুষ্ট হবে না । ( সকলে এককালে বলে উঠলেন-বাক্যের এরূপ স্থপ্রয়োগে আমরা সকলেই সন্তুষ্ট । ) —নিতান্ত প্রয়োজনবশেই তোমাদের এতটা কষ্ট দেওয়া হয়েছে ; নিশ্চয়ই বহু অসুবিধা ও ক্ষতিস্বীকার করে তোমাদের আসতে হয়েছে। অথচ তোমাদের মুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কোন যোগ্য আয়োজনই আমাদের নাই । আশা করি—এই সম্মিলনের আনন্দ দিয়ে সেই অভাব ক্রটি পূরণ করে নেবে। ১ মিলনের এমন স্থযোগ-সৌভাগ্য, একবার মাত্র ত্রেতায় আমাদের মিলেছিল। সেট ছিল মা জানকীর উদ্ধারকল্পে, আর এটা হচ্ছে, আমাদের ভ্ৰান্ত বংশধরদের,—যার নিজেদের নর বলে পর হয়ে রয়েছেন,—তাদের উদ্ধারকল্পে । বেচারাদের বড় সঙ্কট সময়, অবহেলা করা আর উচিত হবে না। জাতে তুলে নিয়ে,--” ইত্যাদি। একজন বলে উঠলেন.—তারা আমাদের কে ? তাদের জন্তে আমাদের এত মাথাব্যথা কেন ? . —সে-কথা সুযোগ্য সভাপতি মশায়ের কাছে এখনি শুনতে পাবে। আমি কেবল এই সভার উদ্দেশ্ব সফল করবার জন্তে তোমাদের সাহায্য প্রার্থনা করচি। সকলে আমার আশীৰ্ব্বাদ ও শুভ ইচ্ছা গ্রহণ কর । পরে চিত্ৰকূটসমাগত এক সম্মানী প্রাচীন উঠে বকুলেন,—আমি প্রস্তাব করি, অঞ্জনাদেবীর নয়নাঞ্জন, কপিপ্রধান পবন-পুত্র শ্ৰীশ্ৰীহনুমানজী এই সভায় সভাপতির আসন অলঙ্কত করে আমাদের মুখরক্ষ