পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য ] ২। বিবাহিত নর-নারীর চরিত্রে জৰথা ব্যভিচারিতা আরোপ করলে অপরাধীর দণ্ড ছিল আশীটি বেত্ৰাঘাত । ৩। মদ্য বা অপর মাদকদ্রব্য ব্যবহারের জন্য পূৰ্ব্বোক্ত দ্বিতীয় দণ্ড দেওয়া হ’ত । ৪ । চোরের ডান হাতটি কাটার, বিধি ছিল (সরিক) । কোরণেও এই ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায়। কোরাণেব টীকাকাবব স্পষ্টই লিখেছেন যে,প্রথম অপবাধেব জন্য ডান হাতের কাজী কাট হবে , দ্বিতীয় অপরাধে বাম পাযেব গোড়ালি অবধি ; তৃতীয অপরাধে বামহস্ত , চতুর্থ অপরাধে ডান প। এখানে একটি কথা মনে বাখতে হবে যে, অপহৃত দ্রব্যেব মূল্য চারি দিনার বা তাব বেশী হলে অপরাধীব অঙ্গছেদনেব ব্যবস্থা হ’ত । ৫ । বাহাজানিব জন্য অপরাধীব হাত ও পা কেটে দেওযা হ’ত । কিন্তু বfহাজানিব সঙ্গে নবহত্যা সংশ্লিষ্ট থাকলে দোষীকে তববাবিব দ্বার বা ক্রুশে মেবে ফেল। হ’ত | ৬ । স্বধৰ্ম্ম ত্যাগেব শাস্তি ছিল প্রাণদণ্ড । “তাজিব” নামে অভিহিত দ্বিতীয শ্রেণীব শাস্তিতে ঈশ্বরেব কোন অধিকার ছিল না ; কাজীব মতাতুযায়ী দণ্ড নিৰ্দ্ধাবিত হ’ত। কোন বাধাবাধি নিয়ম দেখতে পাওয যায না । এই জাতীয শাস্তির উদাহরণ নিম্নে দেওয়া গেল । ১ । মৃদু ভৎ সন। ২। জিবু’ বা অপবাধীকে বলপ্রয়োগ সহকাবে আদালত-দ্বাবে নিয়ে যাওয়া বা জনসাধারণ সমক্ষে অপদস্থ করা। ৩। কারাবাস বা স্বদেশ হ’তে নিৰ্ব্বাসন । ৪ । কানের উপব ঘুষি মারা বা বেত মারা। বেত্রাঘাতের সংখ্য ছয় হতে উনচল্লিশ, বা কার ও মতে পচাত্তর । হন্‌ফি মতাবলম্বী আইনবেত্ত কর্তৃক ফারসী ভাষায় সংগৃহীত "হেদায়া” নামক আইনশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, “জিদ” অপরাধীর অবস্থাভেদ অনুযায়ী দেওয়া হবে ; ংশজাত বা ধনশালী অপরাধীর জন্য কেবলমাত্র ভৎসন। প্রয়োগই যথেষ্ট বিবেচিত হ’ত । তাহাকে বেত্ৰাঘাত বা মুট্যাঘাত করা বা বলপ্রয়োগ সহকারে কাছারিবাড়ীতে নিয়ে যাওয়া অসঙ্গত ছিল । ۹ -سسس-brd স্বাদশাহা বিচারপদ্ধান্ত ও দণ্ডনাণ্ড ৬৭৩ অর্থদণ্ড, যাহাকে ফারসী ভাষায় "তাজির-উল-মাল” বলে, অধিকাংশ কোরাণের টীকাকারের মতে অবৈধ বিবেচিত হওঁয়ায়, অপরাধীকে এই শান্তি দেওয়া হ’ত না । ১৬৭৯ খৃষ্টাব্দে ঔরংজীব কত্ত্বক গুজরাত বা অন্তান্ত স্কুবা ব৷ প্রদেশেব দেওয়ান ব| সচিবকে লিখিত ফরমানে অকুজ্ঞা প্রদত্ত হযেছে যে, বাজপুরুষ, জমিদার বা সাধারণ লোক অপবাধ করলে তাদেব ধেন কারারুদ্ধ, কৰ্ম্মচু্যত বা নির্বাসিত করা হয়,কিন্তু যেন অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা না হয়। ফারসী “কিসাসেব” বাঙ্গল। প্রতিশব ‘প্রতিশোধ” । ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিজে বা তার ক্টোনে আত্মীয় অপরাধীর নিকট ক্ষতিপূরণের জন্য দাবি করতে পারত। তবে সাধারণতঃ নরহত্য প্রভৃতি অভিযোগে বাদী এই ক্ষমতা প্রাপ্ত হত। বাদী দণ্ডবিধান প্রার্থনা করলে কাজীর গত্যস্তর ছিল না , বাদশাহ নিজে বু তার কাজী কারঃ এমন ক্ষমতা ছিল না যে, শাস্তি অল্পবিস্তর লঘু করেন। হত ব্যক্তির আত্মীয়বর্গ ইচ্ছা করলে প্রতিবাদীর নিকট হ’তে ক্ষতিপূরণস্বরূপ অর্থ গ্রহণ করতে পারত। বাদী price of blood বা অর্থগ্রহণে স্বীকৃত হ’লে অপরাধীকে অন্য কোনো শাস্তি দেওয়া হ’ত না । ইংলণ্ডের AngloSaxon যুগের মত ছোটখাট অপরাধের শাস্তি ছিল, “a tooth for a tooth and an eye for an eye.” “তহসীব” অর্থে সাধারণ সমক্ষে অপরাধীকে অপমানকরণ । অপরাধীর মাথ মুডিয়ে দেবার পর তাকে গাধার পিঠে, লেজের দিকে মুখ ক’বে চড়ান হ’ত ; হয় তার সমস্ত শরীরে ধূলা মাখিয়ে দেওয়া হ’ত, না হয় তার গলায় একটি জুতাব মালা পরান হ’ত ; এবং পরে বাস্তসহযোগে সহরের রাস্তার উপর দিয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে সহরের বাইবে তাড়িয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। কখনও কখনও বা অপরাধীব মুখে কালি মাখান হ’ত, তবে তার সঙ্গে চুনও লাগান হ’ত কিনা জানা যায় না । রাজদ্রোহিতা, রাজকোষস্থ ধন অপহরণ বা সময়ে খাজনা দিতে ক্রটি করলে কি শাস্তি দেওয়া হবে তার কোনো বাধাবাধি নিয়ম দেখতে পাওয়া যায় না। বাদশাহ নিজের ইচ্ছানুযায়ী দগুবিধান করতেন । সাধারণতঃ এই অপরাধে অভিযুক্ত লোকদের হয় হাতীর পায়ের তলায়