পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭৬ বা আত্মীয়ের অপরাধীর নিকট হতে ক্ষতিপূরণস্বরূপ অর্থ পেত। পুনরায় এই অপরাধ করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত। o ২৫ । কোনো পরদারগামী অসৎ উদ্দেশ্বে অপরের বাড়ী প্রবেশ করলে তাজির এবং কারাবাস । ২৬। প্রাদেশিক কৰ্ত্তার কাছে মিথ্যা অভিযোগ এনে পরের অর্থক্ষতি করলে এবং এই অপরাধ অভিযুক্ত ব্যক্তির পেশা বলে প্রমাণিত হ’লে মৃত্যুদণ্ড, নতুবা ভৎসনা ও কারাবাস। অপরাধীকে ক্ষতিপূরণ-স্বরূপ অর্থদণ্ড দিতে হ’ত । ২৭। কোনো বিধৰ্ম্মী স্ত্রী বা পুরুষ কোনো মুসলমানকে স্ত্রী বা পুরুষ দাসরূপে গ্রহণ করলে, কিংবা মুসলমান স্ত্রী গ্রহণ করলে বা কোনো মুসলমান বিধৰ্ম্মী স্ত্রী গ্রহণ করলে যাজকীয় বিধি অনুযায়ী দণ্ড দেওয়ার ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায়। তবে কোনো বিধৰ্ম্মী ইহুদী বা খৃষ্ঠানকে - witwa People of the book on হ’য়েছে—দাস ব| স্ত্রীরূপে গ্রহণ করলে দণ্ড পেত না। ২৮। যদি কোনো বারাঙ্গন, পরদারগামী, অস্বাভাবিক গমনকারী, মাতাল, প্রলোভন দ্বারা স্ত্রীলোকের ধৰ্ম্মনাশকারী বা তার চেষ্টাকারী ও স্বধৰ্ম্মত্যাগী, কাজীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বা কোনো দাসী বা দাস নিজেদের মালিকের কাছ থেকে পলায়ন করে এবং যদি তারা কোনো মহাজন ব্যবসায়ী বা দেওয়ানী কৰ্ম্মচারীর নিকট আইনের দোহাই দিয়ে আশ্রয় ভিক্ষা করে, তাহ’লে কাজীর পরামর্শাকুযায়ী কাজ করাই বিধেয় ছিল । ২৯। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হ’লে বা সে যে হত্যাকারী এটা খুবই সত্য বলে বিবেচিত হ’লে তাকে কয়েদ রেখে বাদশাহকে খবর দেওয়া রীতি ছিল । ৩০। কোনো বিধৰ্ম্মী সর্দার অন্য কা’কেও নিজের ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করার জন্য উৎসাহিত করলে মৃত্যুদণ্ডই ছিল ব্যবস্থা। 酸 ৩১। পরের ছেলেকে জোর ক’রে খোজ করার প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩৩৭ ৩০শ ভাগ ১ম খণ্ড 鱼一 অপরাধে ভংগনা ও কারাবাস, অমুশোচনা করলে তার মুক্তি। to ৩২। ফৌজদার বা অন্য কোনো কৰ্ম্মচারী দ্বারা কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি স্ববাদারের কাছে প্রেরিত হ’লে সুবাদারকে বিশেষ অবধানতাসহকারে ঘটনা তদারক করতে হ’ত। সরকারী খাজনা সম্পৰ্কীয় মোকদ্দমায়, স্ববাদার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রাজস্ববিভাগের কৰ্ম্মচারীর নিকট পাঠিয়ে দিয়ে যাতে মামলাটি শীঘ্র শীঘ্র শেষ হয় এরূপ আজ্ঞা দিত। তবে রাজস্বঘটিত মামলা না হ’লে উপরিলিখিত কোনো একটি দফা অনুযায়ী নিজেকে যথাবিহিত করতে হ’ত । মাসের মধ্যে একদিন স্ববাদার ‘কাছারী বা পুলিশ চবুতরায় অবরুদ্ধ কয়েদীদের খবর নিতেন। হয় নির্দোষীকে মুক্তি দিতেন, নয় সত্বর যাতে মামলাটি শেষ হয় এমন করতেন। রাজস্ববিভাগীয় কোনো কৰ্ম্মচারী বা কোনো সাধারণ ব্যক্তি কর্তৃক অভিযুক্ত ব্যক্তি কোতওয়ালের অধীনস্থ কৰ্ম্মচারী দ্বারা ধৃত হয়ে কোতওয়ালির ‘চবুতরায়’, যাকে ইতিপূৰ্ব্বে পুলিশ চবুতরা’ বলা হয়েছে-আনীত হ’লে কোতওয়াল নিজে অভিযোগ তদারক করতেন, নিৰ্দ্দোষিত প্রমাণিত হ’লে আসামীকে খালাস দিতেন ; কখনও বা অভিযোক্তাকে আদালতে গিয়ে ব্যবস্থানুযায়ী নালিশ করতে বলতেন। রাজস্বসম্পৰ্কীয় মোকদমা কোতওয়াল মুবাদারকে ঘটনাটি জানিয়ে তার পরামর্শামুযায়ী ‘সনদ’ নিয়ে যথাবিহিত করতেন। কাজী সাহেব কোনো লোককে ধরে আনতে আজ্ঞা দিলে, কাজীর হুকুম ক্ষমতাবিশিষ্ট বিবেচনা করে, কোতওয়াল আসামীকে হাজতে রাখতেন। কাজীর দ্বারা বিচারের দিন স্থির হ’লে আসামীকে আদালতে পাঠান হ’ত, পরস্তু বিচারের দিন ধাৰ্য্য না হ’লেও তাকে প্রত্যহ আদালতে পাঠিয়ে যাতে শীঘ্র শীঘ্র মামলাটি শেষ হয়, কোতওয়ালকে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হ’ত।*

  • ভাগলপুর অধ্যাপক সজোর ৩২শ অধিবেশনে পঠিত। যদুনাথ Māota A&to Mughal Administration to go of two উপাদান সংগৃহীত হইয়াছে।