পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૧ના -*rwr» --- » হঠাৎ জেগে উঠে তারা এটা কি, ওটা কি, জিজ্ঞাসা করতে আরম্ভ করেছে। য়ুরোপের লোক পরস্পর মারামারি কাটাকাটি ক’রে মরপের মুখে অগ্রসর হয়েছিল ; সে ফীড়া কাটিয়ে উঠে এখন তাদের BDD DDD BBBS B BBB BBS BBBB BBBBS BBB S ফলে সকল জাতিকে একদলবদ্ধ করবার চেষ্টা সে দেশের পলিটিসিয়ানরা করছেন।--কিন্তু মনোরাজ্যে ঐক্য স্থাপন না করতে পারলে য়ুরোপীয়ের জীবনে ধে ঐক্য থাবে না, ধীরে-বেঁধে যে ফ্রান্সের সঙ্গে জাৰ্ম্মানীর পিরীত করানো যাবে না-এই মোট সত্যটি সে দেশের সুন্নদশীর্ণ লোকদের চোখে পড়েছে।... প্রথমেই এ বিষয়ে জনৈক জৰ্ম্মান পণ্ডিতের মত শোনা যাক। Dr. Haas য়ুরোপের একজন খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক, এবং সেই সঙ্গে সহজ দার্শনিক। কারণ, তিনি জাতিতে জৰ্ম্মান ।... পুরাকালে ভারতবর্ষে বৈদাস্তিকর। যখন বলেন যে, “অথাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাস।" তখন মীমাংসকরা উত্তরে যলেন, এ জিজ্ঞাসার প্রয়োজন কি ? ব্ৰহ্ম যদি থাকেন ত এত বড় সত্য সম্বন্ধে কার জ্ঞান নেই ? দ্বিতীয়তঃ, এ জিজ্ঞাসার ফলই বা কি ? মানুধের কৰ্ম্মজীবনের উপব এ জানের ফল কি ? এ যুগেও তেমনি যুরোপের কৰ্ম্মীর দল, “য়ুরোপীয় সভ্যতা বস্তু কি ?”–এ প্রশ্ন শুনে এ কথা বলতে পারেন যে, য়ুরোপীয় সভ্যতা বলে যদি কোন বস্তু থাকে ত, সেই প্রকাণ্ড জল-জ্যাস্ত সত্যের প্রতি কে অন্ধ ? , আর তার গুঢ় মৰ্ম্ম জেনেই বা কার কি লাভ ? এ দার্শনিক যা ধৈজ্যানিক জ্ঞান আমাদের কৰ্ম্মজীবনের কি ইতরবিশেষ করবে ••• - aqn a fờGĦtā Hffy si fr, si Deutsche Hochschule fur Politik-এর শিক্ষকেধ মুখে শোনা যাক্ । যুবোপীয়ের যে প্রকৃত পক্ষে একজাতি, এ বিষয়ে যুরোপের সকল জাতির সজাগ হওয়া উচিত, নচেৎ য়ুরোপীয় সভ্যতার ধ্বংস অনিবায্য । তিনি বলেছেন যে, অনেকের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, জাতি-শত্রুতার বলক্ষয় না করে য়ুরোপের বর্তমানে কৰ্ত্তব্য হচ্ছে, তার সম্মিলিত শক্তির দ্বারা বহিঃশত্রুকে পরাভূত করা ; আর এই যহিঃশত্রু হচ্ছে এসিয়া।. যেমন উক্ত জৰ্ম্মান পণ্ডিতের মতে সমগ্র যুরোপ একমন, একপ্রাণ, তেমনি তার বিশ্বাস, সমগ্র এসিয়াবাসীরাও একমন ও একপ্রাণ ; আর সে মনের একমাত্র প্রবৃত্তি হচ্ছে. যুরোপীয় সভ্যতাকে সমুলে বিনাশ করা। এ হচ্ছে ভূতপূৰ্ব্ব জৰ্ম্মান কাইসরের প্রসিদ্ধ আবিষ্কার। কারণ, এসিরাবাসীরা যে যুরোপের মারাত্মক শক্র, তার কোনও বাহ প্রমাণ নেই। য়ুরোপীয় সভ্যতাকে যে-এসিয়া মাববে—সে-এসিয়া বোধ হয় এখন গোকুলে বাড়ছে ; কারণ, তার সন্ধান সকলে জানে না।...কিন্তু সে যাই হোক,পণ্ডিতমহাশয়ের বক্তব্য বোঝা যাচ্ছে । পৃথিবীর অপর ভূভাগের উপর বাদ মালিকি-স্বত্ব বজায় রাখতে হয় ত, য়ুরোপীয়দের দলবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন, এবং এই কারণেই তার মতে “League of Nations, Disarıııaııient, Economie conferences, Intellectual co-operation” orgfen est 枣弧硬1... - যুরোপীয়দের বিশেষত্ব কোথায়, তার সন্ধান নিতে হ’লে প্রথমেই জান দরকার, য়ুরোপ বলতে কি বোঝায় ? অধ্যাপক Haas-এর মতে য়ুরোপের অর্থ, একটি বিশেষ ভূভাগ নয় ; কেন-ন পুরাকালে ভৌগোলিক-হিসেবে যুরোপের যে স্বাতন্ত্র্যই থাকুক না কেন, বর্তমানে সে স্বাতন্ত্র্য নেই, অন্ততঃ থাকৃবে না। কারণ, “Everything connected with space, position and distance is steedily dwindling in importance.”... প্রবাসী—ভাদে, ">లిరిగి £ ७०* उभ्, sभ थ७ অৰষ্ঠ অধ্যাপক Haa৪ ঠিক যে কি বলেছেন, তা বোঝা যায় না দেশকালের ব্যবধান অতিক্রম করবার কৌশল জাঙ্গ মামুষের করায়ত্ত তাই বলে নালাদেশের ষে Position বদলে গেছে, তা ময়—জবস্ত position वरण क्खद्र पनि cकाम अवश षाएरू । नर-चकब dगात्र here শুনূছি now হয়ে গিয়েছে । " সে যাই হোক, বিলেতও ভারতবর্ষ হয়ে যায়নি, ভারতবর্ষও বিলেত হয়ে যায়নি। এক দেশের সঙ্গে অপর দেশের physical ব্যবধান কমে গিয়েছে বলেই, তাদের ভিতর psychological Rosači ফুটিয়ে তোলাই বোধ হয় অধ্যাপক মহাশয়ের উদ্দেস্ত। কারণ, এসিয়ার সঙ্গে য়ুরোপের decisive struggle-এর জন্য স্বদেশের যুবকদের মন প্রস্তুত করাই তার অভিপ্রায় । উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে যুরোপীয় পণ্ডিতর। মানুষের গুণাগুণের মুল সন্ধান করেছিলেন, এবং তা পেয়েছিলেন মাটির অন্তরে । বলা বাহুল্য যে, এ প্রবন্ধে আমি বাঙলা মাটিশ সংস্কৃত পঞ্চভূত অর্থেই ব্যবহার করছি।...তারপর পণ্ডিতরা আবিষ্কার করলেন, সে ব্যাখ্যা অচল। একমাত্র জিওগ্রাফিই যে সভ্যতা গড়ে, এ কথা সত্য নয়। কারণ, তা যদি হয়, তা হলে Red-Indian-দের সঙ্গে বৰ্ত্তমান American-দের সভ্যতার, অর্থাৎ—কৃতিত্বের আকাশ-পাতাল প্রভেদ হত না। এর থেকে দেখা যায় যে, মানব-সভ্যতার অপ্তরে soil নয়, race : ক্ষেত্র নয়, বীজই প্রবল। , ক্ষেত্র ও বীজের বলাবলের বিচার মমৃতেও আছে ; অর্থাৎ এ সমস্ত বহু পুরাতন । się jestoisi fostą ethnology, anthropology AzÑ নাম ধারণ করে নব-বিজ্ঞানরূপে পরিচিত হ’ল। এই নব-বৈজ্ঞানিকরা প্রমাণ করলেন যে, মানবজাতির মধ্যে Aryan নামে এক দেবজাতি আছে। সেই জাতিই মানবসভ্যতা অতীতে গড়েছে, আর ভবিষ্যতেও গড় বে। কারণ, progress pকরা তাদের জাতিধৰ্ম্ম । আর এই জাতি মাটি ফুড়ে উঠেছিল উত্তর-জন্মানীতে। মানুষের মধ্যে য়ুরোপীয়ব। শ্রেষ্ঠ ; কারণ, তাদের ধমনীতে নীললোহিত আধ্যশোণিত তেড়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এ বিষয়েও তাদের মনে এখন সন্দেহ জন্মেছে। তাই অধ্যাপক Haas Coco, “It is true that Europe is on the whole inhabited by Aryan peoples, but the saine Aryans have produced quite a different culture in India.”... অতএব যুরোপীয় সভ্যতার মূল ক্ষেত্রও নয়, বীজও নয়। যুরোপ বলতে লোকে যা বোঝে, তায় মৰ্ম্ম য়ুরোপের মাটির অন্তরেও পাওয়া যাবে না, য়ুরোপীয়দের দেহের অস্তরেও পাওয়া যাবে না। কারণ, মানব-সভ্যতার স্বষ্টি জিওগ্রাফি করে না করে হিষ্টরি ; মামুষের দেহ করে না, করে তার মন । এই কারণে, “It is only as a spiritual and cultural entity that Europe can have a meaning for us.”...wostoff Noto zoo, oto offa watt Wiifol, witHVoltaire, Rousseau of fixth করতেন যে, পৃথিবীময় মাগুষের একই চরিত্র, এবং Pekin থেকে Paris পৰ্য্যন্ত মামুবমাত্রই এক গোত্রজ । আর সে গোত্রের নাম মানবØston I...foo Wisco from “Biology teaches us that every kind of living organism has a world of its own.” অর্থাৎ—মানুষমাত্রেই এক জগতে বাস করে না, কেউ করে ব্ৰহ্মার স্বল্ট - পৃথিবীতে, কেউ বা আবার বিশ্বামিত্রের স্বল্প জগতে। অতএব মামুষে মানুষে কতক অংশে মিল থাকলেও, অনেক অংশে প্রভেদ জাছে ॥•••