৫ম সংখ্যা] কষ্টিপাথর-যুরোপীয় সভ্যতা বস্তু কি ? * &ᏄᎼ
- Xotr & Co “what is the specifically European element”-এরই অনুসন্ধান করতে হবে ;•••কোন গুণে সকল য়ুরোপীয় এক, এবং অন-যুরোপীয়দের সঙ্গে পৃঙ্গক, তাই হচ্ছে জিজ্ঞাস্ত। এখন এ জিজ্ঞাসার মীমাংস শোনা যাক।
য়ুরোপীয় সভ্যতার মূল কোথায় নিহিত ? অধ্যাপক মহাশয় বলেন যে, এ সভ্যতা যুরোপীয় spirit থেকে উদ্ভূত হয়েছে।-এ প্রবন্ধে আমি European spirit-c= YTAf# AfTI Tz); fTE Gi AfYfTF অহং অর্থে ই বুঝতে হবে। য়ুরোপীর আত্মার বিশিষ্টত যে কি, তার পরিচয় নিতে হবে উক্ত আত্মার আত্মপ্রকাশ থেকে ...বর্তমান যুরোপীয় সভ্যতা হচ্ছে আসলে ব্যাবহারিক সভ্যতা ••• প্রকৃতির বশীকরণের মন্ত্রের সাক্ষাৎ পেয়েছেন য়ুরোপের বৈজ্ঞানিকরা । কিন্তু এ মন্ত্র লাভ করা সাধনাসাপেক্ষ। যুরোপীয় আত্মা এই সাধনায় সিন্ধিলাভ করেছে।...কিন্তু য়ুরোপীয়রা প্রকৃতিকে দাসীগিরি করাবার জন্ত বিজ্ঞানের সাধন করে নি, করেছিল শুধু তাকে প্রকৃষ্টরূপে জানবার জঙ্ক । এ শাস্ত্রের প্রথম স্বত্র হচ্ছে অথাতে প্রকৃতিজিজ্ঞাস।’.
- vIRIt# q# qề c#-“to organize everything with which it has to deal, to mould everything whether it be material or spiritual. in such a way that it constitutes a unity in multiplicity.” &বহুকে এক ক’রে দেখবার এবং বহুকে এক সুত্রে গথিবীর প্রকৃতি । এক কথায়, ভৌতিক ও আধ্যাত্মিক জগৎকে organize করবার প্রবৃত্তি ও শক্তিই হচ্ছে য়ুরোপীয় আত্মার বিশেষত্ব •••
কিন্তু প্রকৃতিকে জানবার এবং বাগ মানাবার প্রবৃত্তি সার্থক হয়েছে এই জন্য যে, কি উপারে তাকে জানা যায়, সে পদ্ধতি গ্রীকরা উদ্ভাবন করে ; তার পর কি উপায়ে মানুষের উপর প্রভুত্ব লাভ করা যায়, তার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে রোমানরা। তার পর মধ্যযুগে য়ুরোপীয়েরা পরলোক জর করবার জন্ত যে আত্মশক্তি সঞ্চর করে, সেই শক্তিই এ যুগে তারা ইহলোক জর করবার কার্য্যে প্রয়োগ করেছে। অর্থাৎ—গ্রীকদের জ্ঞান, রোমানদের কৰ্ম্ম, এবং মধ্যযুগের ভক্তি, এই fɛra ftæft»; zánta technical civilization-45 ° *GRP | অতএব য়ুরোপীয় সভ্যতাকে একটি ভগবদগীতা বলা যায়। কারণ, জ্ঞান কৰ্ম্ম ভক্তির সমন্বয়ে এই মহাকাব্য রচিত হয়েছে ; এবং বর্তমানে gratista wwwafa xa catwë technical civilization W5 হয়েছে। এই হচ্ছে য়ুরোপীয় আত্মার চরম পরিণতি। এই কথাটা বুঝতে পারলেই য়ুরোপের জাতিসমূহ ভবিষ্ণুতে আর পরস্পর মারামারি কাটাকাটি করবে না। একেই বলে জ্ঞানে মুক্তি ••• এখন এ বিষয়ে একটি ফরাসী লেখকের মতামত শোনা যাক । I.ucien Romier *বিজ্ঞান কিংবা দর্শনের আচাৰ্য্য নন, তিনি একজন প্রবন্ধলেখক সাহিত্যিক মাত্র ; সুতরাং পূৰ্ব্বোক্ত জৰ্ম্মান অধ্যাপকের কথার অপেক্ষা, ফরাসী সাহিত্যিকের কথা ঢের বেশী ¿Estatai I---Romier gotxè o wt35a,—qu'est-ce que PEurope ? অর্থাৎ—য়ুরোপ বস্তু কি ? তিনি বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। কারণ, আজকের দিনে বিশ্ব-মামবের কাছুে যুরোপের নামডাক অসম্ভব রকম বেড়ে গিয়েছে। সুতরাং য়ুরোপ বলতে কি বুঝার, তা বুঝতে হ’লে, য়ুরোপের জিওগ্রাফির এবং ইকনমিক অবস্থার জ্ঞানই যথেষ্ট নয়,—উপরন্তু য়ুরোপীয় সভ্যতার প্রধান গুণগুলি হৃদয়ঙ্গম করতে হবে।••• # few onto, material civilization jotto votif civilization নয়। একবার চোক তাকিয়ে দেখলেই দেখা যায় যে, পৃথিবীর প্রায় সকল জাতিই তাদের নিজের নিজের দেশকে exploit করতে শিখছে, এবং করছে, এবং ভবিষ্যতে এ ধিবরে য়ুরোপের মত সমান কৃতকাৰ্য্য হবে।-- সত্য কথা এই যে, য়ুরোপকে স্বষ্টি করেছে প্রধানতঃ হিষ্টরি— জিওগ্রাফি নয় ; অর্থাৎ—রোপীয় সভ্যতার হষ্টি ও স্থিতির মূল কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক নর--আর তার ভিত্তি হচ্ছে একটি fitoq “moral and intelletcual tradition.”.--7'gg ft SR Boiz প্রভুত্ব যথার্থ সভ্যতার ফলমাত্র—তার মুল নয় । গ্ৰীক সভ্যতা, রোমান সভ্যতা ও খৃষ্টধৰ্ম্ম-এই তিনে মিলে বর্তমান যুরোপীয় সভ্যতাকে গড়ে তুলেছে। গ্ৰীকজাতি বৰ্ত্তমান বিজ্ঞানের ভিত্তি পত্তন ক'য়ে গিয়েছেন । রোমানজাতি সমাজরক্ষার ও রাজ্যশাসনের নিয়ম বিধিবদ্ধ করে গিয়েছেন। খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রেয়র চাইতে শ্ৰেয়র মাহাঙ্কা যুগ যুগ ধরে প্রচার করেছে । WZL: idealism, ist realism. S Catato legalism II মিলনের ফলে য়ুরোপীয় মানব তার গৌরব লাভ করেছে। *: FE Renaissaucc-AA Ps stTF (F fTEifā'R #fS, s রোমান রাজনীতি পরস্পর পৃথকু হ’তে স্বরু করে। যুরোপীয় সভ্যতার halance ভঙ্গ হয় ...শেধটা পলিটিকাল ॥৭lerialisul যখন যুরোপের লোকের মনকে গ্রাস করলে, তখন গ্ৰীক বুদ্ধি এবং খৃষ্ট ধর্থনীতি মামুষের মন থেকে থলে পড়ল। ফলে যুরোপীয় সভ্যতার এখন এই দুর্দশা ঘটেছে। অর্থাৎ তার বাহা ঐশ্বয আছে, কিন্তু ভিতরট ফেীপ রা হরে গিয়েছেন পৃথিবীর অপরাপর জাতির কাছে যুরোপীয়েরা এখন আর একটা বড় সভ্যতার প্রতিনিধি বলে মান্ত নয়। এ যুগে তার চতুর বণিক অথবা নিপুণ শিল্পী বলেই গণ্য।...আর যখন পলিটিকাল nationalism এবং industrialism-এর মূলমন্ত্র হচ্ছে অপর জাতির সঙ্গে বিরোধ, তথন যে সব জাতিকে য়ুরোপ এই নব-মন্ত্রে দীক্ষিত করবে, এবং সে মস্ত্রের সাধনে সিদ্ধিলাভ করবার যন্ত্রপাতিও তাদের দেবে, সে সব জাতি য়ুরোপের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বি তার জন্য নিশ্চয়ই প্রস্তুত হবে। এই হচ্ছে য়ুরোপের তথাকথিত নব-সভ্যতার কৰ্ম্মফল । এখন দেখা গেল যে, জৰ্ম্মান বৈজ্ঞানিক ও ফরাসী সাহিত্যিক উভয়ই মনে করেন যে, সম্মুখে মস্ত বিপদ আছে—অর্থাৎ য়ুরোপীয় সভ্যত এখন টলমল করছে। তার পর যুরোপীয় সভ্যতা যে গ্ৰীক জ্ঞান, রোমান রাজনীতি ও খৃষ্টধৰ্ম্ম, এ তিনের সমবায়ে গড়ে উঠেছে, এ বিষয়েও উভয়েই একমত। শুধু বৰ্ত্তমান সভ্যতার রূপগুণ সম্বন্ধে তাদের মতে মেলে না। =íta nortzicoa atos technical civilization stos gato সভ্যতার চরম পরিণতি ; ফরাসী লেখকের মতে কিন্তু তা অবনতি । *tas Hersta ni sito-softs intellectual and moral tradition—বৰ্ত্তমান যুরোপ তার থেকে ভ্ৰষ্ট হয়েছে। ফরাসী লেখক বলেন যে, য়ুরোপের মনে আবার কেউ যদি ধৰ্ম্মজ্ঞান উদবুদ্ধ করতে পারে, তা হলেই য়ুরোপীয় সভ্যতা রক্ষা পায়, কিন্তু তা করবে কে ?••• যুরোপ যখন গ্ৰীক সাহিত্যের ও রোমান রাজনীতির সন্ধান পেলে,
