পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ుసి తీ SA A ASMAMAMAAA AAASA SAASAASS A AAAAAMAMAMAAMAMAMMAAA থাকিল, তাহীতে মাসিক খরচের কিছু অংশ কুলান হয় বটে, বেশীটাই হয় না। আবার একবেণ্ড খাওয়া, ছাতু, ময়লা কাপড়, কাপড়-কাচ সাবান সব উপসর্গই আসিয়া জুটিল । সেকেণ্ড ইয়ারের টেষ্ট পরীক্ষাও হইয়া গেল, এইবারই গোলমাল—সারা বছরের মাহিনী ও পরীক্ষার ফী দিতে হইবে অল্পদিন পরেই । উপায় কিছুই নাই । সে কাহারও কাছে গিয়া কিছু চাহিতে পারিবে না—হয়ত পরীক্ষ দে ওয়াই হইবে মা ! সত্যই ত, এত টাক!-- এতে তার ছেলেগেলা নয় ? মন্মথকে একদিম হাসিয়! সব কথা খুলিয়। বলে । মন্মথ শুনিয় মবাক গেল, বলিল-—এসব কথা আগে জানাতে হয় আমাকে । মন্মথ সত্যই খুব খাটিল । নিজের দেশের বার লাইব্রেরীতে চাদ তুলিয় প্রায় পঞ্চাশ টাকা অমিয়া দিল, কলেজে প্রোফেসরদের মধ্যে চাদ। তুলিয়া ফেলিল, ইউনিভারসিটা ইনষ্টিটিউট হইতে পাওয়া গেল গোটাকড়ি টাকা । অল্পদিনের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ভাবে অনেকগুলি টাকা আসিতে দেখিয়া অপু নিজেই আশ্চৰ্য্য হইয় গেল । কিন্তু বাকী বেতন একরূপ শোধ হইলেও তথম ও পরীক্ষায় ফিএর একপয়সার জোগাড় নাই, মন্মথ ৪ বেীবাজারের সেই বিশ্বনাথ-- দুজনে মিলিয়া ভাইসপ্রিন্সিপ্যালকে গিয়া পরিল, অপব্বকে কলেজের বাকী তেন কিছু ছাড়িয়া দিতে হুইবে । ইষ্টয়া ছেলেটি এদিকে ঔষধের কারখানায় থাকিবার সুবিধার জন্য অপু পুনরায় একবার কারখানার ম্যানেজারের নিকট গেল । এই هي থাকি বার ংবিধা পায়, তবে পরীক্ষার পড়াটা করিতে পারে । এর ওর মেসে ত সার বছর অস্থিতপঞ্চকভাবে iাকিয় তেমন পড়াশুনা হয় নাই । ম্যানেজার অল্পমতি দলেন না । কারখানার আর. সকলে অপুকে চিনিত, ছন্দও করিত, তাহারা বলিল-ওহে তুমি একবার মিঃ হিড়ীর কাছে যেতে পার ? ওর কাছে বলাই ভুল— মঃ লাহিড়ী কারখানার একজন ডিরেক্টর, তার গঠ যদি আনতে পার, ও স্থড্র, মুড়, করে রাজী হবে মাসভিনেক সে সদি সেখানে খন । ঠিকানা লইয়। অপু উপরি উপরি তিন চার দিন । প্রবাসী--ভাদ্র, ১৩৩৭

  • S AAAASAAAAMA AMAeMAeeAMSASAeeMAASAAAAASAAAA

[ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড ভবানীপুরে মিঃ লাহিড়ীর বাড়ীতে গেল, দেখা পাইল না, বড়লোকের বাড়ী, গাড়ীবারান্দার ধারে একখানা বেঞ্চের উপর বসিয়া বসিয়া চলিয়া আসে । সেদিন রবিবার । ভাবিল, আজ আর দেখা না করিয়া আসিবে না । গিয়া শুনিল, মিঃ লাহিড়ী বাড়ী নাই বটে, তবে বেলা এগারোটার মধ্যে আসিবেন। খানিকক্ষণ বসিয়া আছে, এমন সময় একজন বি আসিয়া বলিল—আপনাকে দিদিমণি ডাকচেন--- অপু আশ্চর্য্য হইয় গেল । কোন দিদিমণি তাহাকে ডাকিবেন এথানে ? সে বিস্ময়ের সুরে বলিল--- আমাকে ? ন-- আমি ত— ঝি ভুল করে নাই, তাহাকেই । ডানধারে একটা বড় কাম্রা, অনেকগুল বড় বড় আলমারী, প্রকা ও বনাত-মোড় টেবিল, চামড়ার গদি-আঁটা আরাম চেয়ার ও বসিবার চেয়ার । সরু বারান্দ পার হইয়া একট। চক-মিলানো ছোট পাথর-নাধীনে উঠান । পাশের ছোট ঘরটায় হাতল-হীন চেয়ারে একটি আঠারে। উনিশ বছর বয়সের তরুণী বসিয়া টেবিলে বই কাগজ ছড়াইয়া কি লিখিতেছে, পরনে সাদাসিদে আটপৌরে লালপাড় শাড়ী, ব্লাউজ, ঢিলা খোপা, গলায় সরু চেন, হাতে প্লেন বালা-অপরূপ স্বন্দরী ! সে ঘরে ঢুকিতেই মেয়েটি হাসিমুখে চেয়ার হইতে উঠিয় দাড়াইল । অপু স্বপ্ন দেখিতেছে না ত ? - সকালে সে আজ কাহার মুখ দেখিয়া উঠিয়াছে ! নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করিয়া ও করা যায় না—আপনা-আপনি তাহার মুখ দিয়া বাহির হইল—লীলা ! লীলা মৃদু মৃদু হাসিমুথে তাহার দিকে চাহিয়াছিল । বলিল—চিনতে পেরেচেন ত দেখচি ?...আপনাকে কিন্তু চেনা যায় না-ও কতকাল পরে—আট বছর খুব হবে—না ? অপু এতক্ষণ পরে কথা ফিরিয়া পাইল । সম্মুখের এই অনিন্দ্যমুন্দরী তরুণী লীলাও বটে, না-ও বটে। কেবল হাসির ভঙ্গি ও এক ধরণের হাত রাখিবার ভঙ্গিট পরিচিত - পুরানো । সে বলিল, আট বছর-ই তা—তো—তোমাকেও