পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] সৰ্ব্বজয় ভাবে এবার ছেলের সংসারী হইবার দিকে মন গিয়াছে, হিসাব করিয়া সে চলিতে শিখিয়াছে । অপু ইচ্ছা করিয়াই লীলার সঙ্গে সাক্ষাতের কথাটা ওঠায় না । ভাবে, মা মনে নানা দুরাশ পোষণ করে, হয়ত এথনি বলিয়া বসিবে---লীলার সঙ্গে তোর বিয়ে হয় না ?--দরকার কি, অসুখের মধ্যে মায়ের মনে সে সব রাশার ঢেউ তুলিয়া ? এমন সব কথা কখনো অপু মায়ের সাম্নে বলে না, যাহা কি না মা বুঝিবে না । জগং সংসারটাকে মায়ের সীমাবদ্ধ জ্ঞানের উপযোগী করিয়াষ্ট সে মায়ের সম্মপে উপস্থিত করে । দিন-তিনেক সে বাড়ী রহিল । রোজ দুপুরে জানলার ধারের বিছানাটিতে সৰ্ব্বজয়া শুইয়! থাকে, পাশে সে বসিয়া নানা গল্প করে । ক্রমে বেলা যায়, রোদ প্রথমে ওঠে রান্নাঘরের চালায়, পরে বেড়ার ধারের পালতে মাদার গাছটার মাথায়, ক্রমে বঁাশঝাড়ের সুগায় । ছায়া পড়িয় খায়...বৈকালের ঘন ছায়ায় অপুর মনে একট। বিপুল নিজনতা ও সঙ্গীহীনতার ভাব ঠ নে | সৰ্ব্বজয়! হাসিয়া বলে—পাশট হ’লে এবার তোর লক্সের ঠিক করিচি এক জায়গায় । মেয়ের দিদিম৷ সেছিল এখানে, বেশ লোক— অপু চতুর্গদিন সকালে চলিয়া গেল, কালই পরীক্ষা । কিয় গেলেই আবার আসিবে। শেযরাত্রে ঘুম ভাঙিয়া ধানে, সৰ্ব্বজয়ী রান্নাঘরে ইতিমধ্যে কখন ঘুম হইতে ঠিয়া চলিয়। গিয়াছে, ছেলের সঙ্গে গরম পরেট দেওয়া ইবে । সৰ্ব্বজয়ার এরকম কোনদিন হয় নাই । অপু চলিয়৷ ওয়ার দিনটা হইতে বৈকালে তাহার এত মন হু হু রতে লাগিল, যেন কেহ কোথাও নাই, একট। অসহায় ব, মনের উদাস ভাব । কত কথা, সারা জীবনের কত ন, কত আনন্দ ও অশ্রজলের ইতিহাস একে একে মনে সিয়া উদয় হয়। গত একমাস ধরিয়া এসব কথা মনে তেছে। নির্জনে বন্সিলেই বিশেষ করিয়া...ছেলেTায় বুধী বলিয়া গাই ছিল বাড়ীতে...বাল্যসঙ্গিনী অপরাজিত ASA SSASAS SSAS SSAS SSASiAAASAAAAASA SSASAS SSAS ---ҹ • а. wტჯა(* হিমি-দি, দুজনে একসঙ্গে দো-পেটে গাদাগাছ পুতিয়৷ জল দিত...একদিন হিমি-দি ও সে বন্যার জলে মাঠে ঘড়া-বুকে সাতার কাটিতে গিয়া ডুবিয়া...আর একটু হইলেই সেদিন .. বিবাহ. মনে আছে সেদিন দুপুরে খুব বৃষ্টি হইয়াছিল ...তাহার ছোট ভাই তখন বাচিয়, তাহাকে লুকাইয়৷ নাড়ু দিয়া গিয়াছিল হাতের মুঠায়। ছোট ছেলেবেলার অপু. কাচের পুতুলের মত রূপ...প্রথম স্পষ্ট কথা শিথিল, কি জানি কি করিয়া শিখিল "ভিজে । একদিন অপুকে কদমা হাতে বসাইয়। রাখিয়াছিল। কেমন থেলি ও পোক ? অপু দস্তহীন মুখে কদম চিবাইতে চিবাইতে ফুলের মত মুখটি তুলিয়া মায়ের দিকে চাহিয়া বলিল- ভিজে । হি, হি–ভাবিলে এখনও সৰ্ব্বজুয়ার হাসি পায় । সেদিন দ্বপুর হইতেই বুকে মাঝে সাঝে ফিক্‌-ধর বেদন হইতে লাগিল । তেলি-বেী আসিয়া তেল গরম করিয়া দিয়া গেল। দু তিনবার দেখিয়াও গেল । সন্ধ্যার পর কেহ কোথা ও নাই । এক, নিৰ্জ্জন বাড়ী । জরও আসিল । রাত্রে খুব পরিষ্কার আকাশে ত্রয়োদশীর প্রকাণ্ড বড় উঠিয়াছে । জীবনে এই প্রথম সৰ্ব্বজয়ার এক থাকিতে ভয় ভয় করিতে লাগিল । শেষরাত্রে একবার যেন মনে হইল, সে জলের তলায় পড়িয়া আছে, নাকে মুখে জল ঢুকিয়া নিঃশ্বাস একেবারে বন্ধ হইয়। আদিতেছে ...একেবারে বন্ধ । সে ভয়ে এক গা সামিয়া ধড়মড় করিয়! বিছানার উপর উঠিয়া বসিল । সে কি মরিয়া ধাইতেছে ? এই কি মৃত্যু ? সে এখন কাহাকে ডাকে ? জীবনে সৰ্ব্বপ্রথম এই তাহার জীবনের ভয় হইল- ইহার আগে কখনও ত এমন হয় নাই ? পরে নিজের ভয় দেখিয় তাহার একদফা ভয় হইল। ভয় কিসের ? না --ন।--সে এ রকম নয়। ও কিছু না । কিন্তু ভয় যেন যায় না, মরিতেও ভয় হয়। কত চুরি, কত পাপ, চুরি যে কত করিয়াছে তাহার কি ঠিক আছে ? ছেলেমেয়েকে খাওয়াইতে অমুকের গাছের কলার কাদিট, অমুকের গাছের শশাট লুকাইয়। রাপিত 该杯