পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আওরংজীবের ব্যক্তিত্ব প্রবাসীর গত বৈশাখ সংখ্যায় মাননীয় শ্ৰীযুক্ত স্তর যদুনাথ সরকার, সি-আই-ই মহাশয় লিখিত "আওরংজীবের জীবন-নাট্য” শীর্ষক প্রবন্ধে লেখক উক্ত সম্রাটকে বল্প গুণে ও বহু বিশেস৭ে বিভূষিত করিয়াছেন, তদ্বিধয়ে আমার দুই একটি বক্তব্য লিপিতেছি। সম্রাট আওরংজীবকে লেখক "একজন মহাপুরুষ, মহা সাধু ও সজ্জন" বলিয়াছেন । মাননীয় লেখক মহাশয় কোন ভাবে এবং কোন অর্থে এই তিনটি বিশেষণ প্রয়োগ করিয়াছেন তাহ আমরা বুঝিতে পারিলাম না। যে যে লক্ষণ এবং গুণ থাকিলে কোন ব্যক্তিকে “মহাপুরুষ" কিংবা "মহা সাধু" বলা যাইতে পারে উক্ত সম্রাটের তাহ ছিল কি না তাহ আমাদের বিদিত নহে । অষষ্ঠ উক্ত সম্রাট একজন মি গুণচারী, মিতব্যয়ী, পরিশ্রমী, সাহসী ও সমর কৌশল্যভিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন বলিয়া তাহীর খ্যাতি আছে ; কি স্থ কেবল ঐ গুণগুলি ছিল বলিয়াই তাহাকে আমরা মহাপুরঘ" বা “মহা সাধু ও সজ্জন” আপা দিতে রাজি নহি । কারণ, তাহার দোষও যথেষ্ট ছিল । সম্রাটের অযুগুহাঁত বা তাহার ধৰ্ম্ম ও মতাবলম্বী কোন কোন ঐতিহাসিক ধরপ আখ্যা দিয়া থাকিলেও, কোন পক্ষপাতশূন্ত ঐতিহাসিক সমাটকে ধরূপ গুণশালী বলিয়। প্রচার করিয়াছেন বলিয় ইতিপূর্বের আমরা দেখি নাই । ইতিহাসে তাহার DD B BBYBBB SBBBB BBBB BBBBBS BBB BBB একটি নিষ্ঠর, প্রতিহিংসাপরায়ণ, স্বার্থপর, ঘোর হিন্দুবিদ্বেী, অনুদার-প্রকৃতিবিশিষ্ট গোড়া লোক বলিয়া দেখিতে পাই। তাহার BBBB BBBB BBBD KY g BBBS SSBBB S BBBB জন্য তাহাকে অনেকগুলি নিষ্ঠব ও অসৎ কায্য করিতে হইয়াছিল । রাজনীতির দিক দিয় তাহার কোন অবিশ্বকত। থাকিলেও তাছা কোন মহাপুরুষের বা মহা সাধুর ও সজ্জনের করণীয় নহে । মুরাদকে প্রবঞ্চনা করিয়া যুদ্ধে নামাইয়৷ স্বার্থসিদ্ধির পর তাহাকে কৌশলে বন্দী করিয়া হত্যা করা, যুবরাজ দ্বারাকে ও র্তাহার পুত্রকে নৃশংসভাবে হত্যা করান, পিতা সম্রাট শাজাহানকে বন্দী করা প্রভূতি কাৰ্য্য দ্বারা তিনি স্বার্থসিদ্ধি করিয়াছিলেন। বশোবন্ত সিংহকে কৌশলে বিনাশ করিবার মানসে আফগানিস্থানে পাঠানে এবং তাহার মৃত্যুর পরে ঠাহীর পরিবারবর্গকে লাঞ্ছনা কর। শিবাজীর পুত্ৰ শস্তুজীকে নিঠরভাবে হত্যা করা ইত্যাদি কাৰ্য্য উক্ত সম্রাটের প্রতিহিংসা-বৃত্তির পরিচায়ক । তিনি যে রাজনীতিতে পট ছিলেন তাহাও আমরা স্বীকার করি না। কারণ,

  • "বৃক্ষ ফলেন পরিচয়তে” । তিনি যে রাজনীতি অনুসরণ করিয়াছিলেন তাহাতে তাহার জীবদ্দশাতেই অত বড় মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি শিথিল হইয়া পড়িয়াছিল। ইহা “কঠোর অদৃষ্ট্রের হাতে পুরুষকারের পরাজয় নহে ।” ইহা তাহার কুতকার্যোর অবখ্যম্ভাবী ফল। একটা সংখ্যার গরিষ্ঠ, সুসভ্য এবং অভিমানী ( sensitive ) জাতির উপর শুধু দমননীতি চালাইয় তাহাকে বশে রাখিবার বা ধ্বংস করিবার চেষ্ট৷ করিলে তাহ যে কখনও ফলবতী হইতে পারে না, আওরংজীবের রাজত্ব তাহাই স্পষ্টরূপে প্রমাণ করিতেছে । উপহার ধর্মের গোড়ামির জন্ত মুঘলসাম্রাজ্যের পুরাতন বন্ধু বহু হিন্দু রাজাকে তিনি শক্রতে পরিণত

করিয়াছিলেন । হিন্দুসমাজ তাহার অনুষ্ঠিত আর্থিক ও রাজনৈতিক অত্যাচারে ও তাঁহাদের ধৰ্ম্মে হস্তক্ষেপের ফলে ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিয়াছিল। হিন্দুজাতির উপর জিজিয়া কর স্থাপন এবং বারাণসী, মথুরা প্রভৃতি তীর্থস্থানের প্রসিদ্ধ দেবমন্দিরগুলির ধ্বংসসাধন উtহার দ্বারাই অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। হিন্দুস্থান হইতে হিন্দুধৰ্ম্ম লোপ করা উহার জীবনের একটা মুখ্য উদ্যে থাকিতে পারে এবং উহা উপহার ধৰ্ম্মামুমোদিতও হইতে পারে, কিন্তু ইহা কপনই মহাপুরুষের বা মহাসাধুর করণীয় নহে। মাননীয় লেখকের মতে উক্ত সম্রাটের জীবন "ট্রাজেডীর একটি সম্পূর্ণ দৃষ্টান্ত । আমরা বলি, ঐ ট্রাজেডীর কারণ র্তাহার বুদ্ধির দোষ এবং অদুরদর্শিতা। তিনি যদি প্রকৃত রাজনীতি-বিশারদ হইতেন তাহ হইলে হয়ত আজি ভারতবর্ষের ইতিহাস অন্য প্রকার হইত। শ্ৰীনীরদর্কুমার বক্সী মুসলমান ও নমঃশূদ্রের সহযোগিতা শাবণ মাসের প্রবাসীতে জনৈক হিন্দু মহিলা লিখিত "ঢাকা ও নিকটবৃত্তা গ্রামসমূহে দাঙ্গা” শীৰ্ষক লিপির দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় "কোন কোন স্থলে মুসলমান গুণ্ডাগণ উচ্চশ্রেণীর হিন্দুদের বিরুদ্ধে নমঃপূদ্র প্রভৃতি শ্রেণীর হিন্দুদের প্রয়োচিত করিয়াছিল, কিন্তু সৌভাগ্যবশতঃ সফল হয় নাই”—সংবাদটি একেবারে নিভুল নহে। ঈষ্টাৰ্ণ বেঙ্গল রেলওয়ের দোলাইগঞ্জ ষ্টেশন হইতে দুই মাইল পূৰ্ব্বে মাতুয়াইল নামক গ্রামে যে বীভৎস লুট ও গৃহপাহ হইয়াছে তাহ মুসলমান ও নমঃপূদ্রের সমবায়ে। এই গ্রামে নমঃশূদ্ৰগণ সংখ্যায় প্রায় মুসলমানদের সমকক্ষ । এই সময়ে নমঃশুদ্ৰগণ এতদূর ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিয়াছিল যে, উহার 'ব্ৰাহ্মণ ও কণয়স্থ আর একটিও রাখিবে না বলিয়া বদ্ধপরিকর হুইয়াছিল এবং ব্রাহ্মণ ও কায়স্থ দেখিলেই আক্রমণ করিত । শ্ৰীসন্তোষকুমার রায় جمعیچیعی “ঢাকায় ও নিকটস্থ গ্রামে উপদ্রব” শ্রাবণ মাসের প্রবাসীতে ঢাকায় ও নিকটস্থ গ্রামে উপদ্রব" সম্বন্ধে জনৈক হিন্দু মহিলার চিঠি পড়িলাম। যে-সমস্ত ভয়াবহ ও অমানুষিক কাও সেই অঞ্চলে হইয়াছে, তাহাতে কি হিন্দু কি মুসলমান সকলেরই লজ্জায় ও ঘৃণায় মাথা হেঁট করা উচিত। এই দুই জাতি যুগে যুগে এই দেশে পাশাপাশি বাস করিয়া আসিতেছে এবং করিবে । কিন্তু তাহীদের মধ্যে এই রকম অমানুষিক সাম্প্রদায়িক বিবাদ এ দেশের ইতিহাসে বিরল। চিঠিতে বর্ণিত ঘটনাবলীর কোন প্রতিবাদ করা অামার উদ্দেশ্ব নহে, তবে ইহাতে মুসলমানদিগকে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন কর। হইয়াছে। আমি সেগুলি উল্লেখ করিয়া যতদুর পারি উত্তর দিবার চেষ্টা করিব । ১ । “যখন ভাবি অনেক মুসলমান আজ তাদের ঘরের মেয়েদেরও লুণ্ঠনকাধ্যে সঙ্গে আনিতে কুষ্ঠিত হয় নাই, তখন তাহাদের নৈতিক