পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«Η o b SAASASAAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS অনেক সময় গিয়াছে, তাহার উপর কলেজও খোলা । দেবকুমারের সহিত তাহার একদিনের বেশী দেখা হয় নাই, তবে চিঠি ইহারই মধ্যে দুই তিনখান আসিয়া পৌছিয়াছে। বাড়ী খুজিতে, জিনিষপত্র কিনিতে, বারে ভৰ্ত্তি হইতে সে এখন মহাব্যস্ত । আসিয়া রোজ দেখা করিতে পারে না বলিয়া অনেক করিয়া ক্ষমা চাহিয়াছে, এবং শনিবারে নিজেই যাচিয়া চায়ের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিয়া রাখিয়াছে। এই দিনগুলি মায়ার মোটেই ভাল কাটে নাই । জাহাজে দেবকুমারের নিকটে যখন ছিল, তাহার চেয়ে এখন তাহার মন আর ও অধীর আরও উতলা হইয়া উঠিয়াছে। কি যেন এক অদৃশ্য ডোরে তাহার জীবন ঐ মাহুষটির সহিত গ্রথিত হইয়া গিয়াছে, মায়া যত দূরে যাইতেছে ততই উহাতে টান পড়িতেছে এবং বেদনায় তাহার হৃদয় হইতে রক্তক্ষরণ হইতেছে। নিজের অবস্থায় এক একবার তাহার হাসি পাইত। একি হইল ? প্রেমকে উপহাস করা তাহার স্বভাব ছিল, ইহা কি প্রেমের দেবতার প্রতিশোধ ? ভালবাসায় পড়িতে সে অনেক মানুষকেই দেখিয়াছে, কিন্তু এতখানি কষ্ট পাইতে কাহাকেও দেখে নাই । অন্যেরা ত দিব্য খায়দায়, ঘুমায়, নানা রকম প্ল্যান করে, সেইমত কাজও করে। দেখিয়া মনে হয় না, ভালবাসাটা তাহাদের জীবনে বিশেয কোনো বিশৃঙ্খলা অনিয়াছে । যেমন দিন চলিতেছিল, তেমনি চলে, উপরন্তু ফুর্টি করিবার, আমোদ করিবার নূতন কতগুলি সুযোগ, সুবিধা ঘটিয়া যায়। কিন্তু তাহার বেল কি ঘটিল সকলই অন্য রকম ? আমোদ ফুর্কি ত দূরে থাক, তাহার বাচিয়া থাকাই যেন দায় হইয়া উঠিয়াছে । জীবনটা এমনই উলোটুপালটু হইয়া গিয়াছে যে, সে যে ইহার পর কেমন ভাবে, কি করিয়া এটাকে কাটাইবে, তাহা ভাবিয়াই স্থির করিতে পারে না । চিরদিনের অভ্যস্ত পথে আর সে চলিতে পারিবে না, ইহা ধ্রুব সত্য, তাহার জীবনে দারুণ একটা সন্ধিক্ষণ যে দ্রুতবেগে ঘনাইয়া আসিতেছে, তাহাকে স্বীকার না করিয়া উপায় নেই। জাহাজে থাকিতে এক একবার তাহার মনে হইত প্রবাসী— ভাদ্র, ১৩৩৭ SSASAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAMAMSAAAAAAAS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAASAASAAAS নিজের অভ্যস্ত জীবনধারার মধ্যে *थादात्र গিয়া পড়িতে পারিলে হয়ত এই নূতন মোহের ঘোর তাহার কাটিয়া যাইবে । কিন্তু এখন দেখে বৃথা সে আশা । কৰ্ত্তব্য বলিয়া এতকাল যাহা সে বুঝিত, তাহা হইতে যদি ভ্ৰষ্ট হইতে না হয়, তাহা হইলে দেবকুমারের চিস্তাও মন হইতে তাহাকে বিসর্জন দিতে হইবে । কিন্তু তাহা হইলে জীবনে আর তাহার থাকিবে কি ? সে কি আর মাথা সোজা করিয়া চলিতে পরিবে ? দুৰ্ব্বিসহ বেদনার ভারে একেৰারে ভাঙিয়া পড়িবে না ? ক্রমাগত নিজের মনের সহিত সংগ্রাম করিয়া মায় প্রাস্ত হইয়া পড়িয়াছিল। আর সে পারে না, ভাগ্যচক্রের আবর্তনে যাহা ঘটিবার ঘটুক মনে করিয়া সে যেন হাল ছাড়িয়া দিয়াছিল। রোদ পড়িয়া আসিতেছিল । নিরঞ্জন চায়ের সময় আসিয়া জুটিতে পারিবেন কি না স্থিরতা নাই। অজয় আসিবে বলিয়া গিয়াছে, তবে সেট। তাহার দুষ্টামি, ন, সত্য কথা, মায় তাহা ঠিক জানে না । মনে মনে সে স্বীকার না করিয়া পারিতেছিল না যে, একজন আসিলেই তাহার আনন্দ পরিপূর্ণ হইবে, বাড়ীর লোকগুলি আস্থক বা নাই আহক, তাহাতে বিশেষ আসিয়া যায় না। সম্প্রতি সে চায়ের জোগাড় করিতেই ব্যস্ত ছিল । দেবকুমার যেন মনে না করে যে, এ গৃহের গৃহিণী নাই বলিয়া অতিথির কোনো আদর্যত্বই হয় না। চা-ট কোথায় দেওয়া হইবে, তাহা সে ভাবিয়া ঠিক করিতে পারিতেছিল না । তাহাদের বাগানটায় চারটা সাড়ে চারটা পৰ্য্যন্ত অত্যন্তই রোদ থাকে, কিন্তু ঐ জায়গাটার সম্বন্ধে মায়ার মনে খুব একটা পক্ষপাত আছে। বাড়ীতে অবশ্ব বহুমূল্য আসবাবে সাজান ড্রয়িংরুম বা ডাইনিংরূমের অভাব নাই, কিন্তু বিকাল বেলাটা ঘরের কোণে বসিতে মায়ার ইচ্ছা করে না। তাহ ছাড়া চারিদিকে চাকরবীকরের ভিড় । ভারতীয় চাকরবাকরের চোখে ধূলা দেওয়া বড়ই শক্ত ব্যাপার। দেবকুমার এবং মায়ার মনের সম্বন্ধটা তাহদের বুঝিতে বিশেষ দেরি হইবে না, এবং তাহ লইয়া ঝি-চাকরমহলে যে রসাল আলোচনার স্বত্রপাত হইবে, তাহ ভাবিতেই মায়া শিহরিয়া উঠিল। কিন্তু দেবকুমার সদ্য