পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা অন্তরে বাহিরে ԳՀՏ ঠাকুর চাকর, সঙ্গে নিয়ে চলে গেলাম। কিন্তু মোটে চারদিন, তার ভিতরেই আমি উঠলাম অস্থির হয়ে, থোকাও তার চিঠিতে লিখল, ‘ম, তুমি কি শীগগির । আসবে না ?—আমি ফিরে এলাম, খোকাও আমাকে ছেড়ে থাকতে পারল না, আমিও না ।” সবিতা স্নান হাসিল, সে যেন হাসি নয়, ঠোঁটের কোণে দাড়াইয়া, “আচ্ছ। তাত’লে চললাম" বলিবার জন্য যেন প্রস্তুত হইয়াই থাকে । সবিতা বলিল, “গোক আমায় চিঠি লিখেছিল, তোমায় পড়ে শোনাব, দাদা ?” ললিলাম, “পড়—” ব্লাউজের ভিতর হইতে সবিতা একথান। চিঠি বাহির করিয়া বলিল, “আমার কুমার, কত তার বুদ্ধি, লেখাপড়ায় কত তার আগ্রহ, একটু দুষ্ট, একটু দূরস্ত, কিন্তু সকলের জন্যে কত তার ভালবাসা, মার জন্যে কত তার §i-i-" চিঠিটা খুলিয়া ঠিক করিয়া লইয়া, সবিতা বলিল, “দাদা, তুমি পড় আমি শুনি - “ পড়িতে লাগিলাম,--শিশু হাতের গোট গোট অক্ষর, কিন্তু কোথাও একটা ভুল নাই। পত্রপানির ভিতর দিয় একটি তীক্ষুধ শিশুর হাস্যসমুজ্জল মূর্তিটি বার বার মনে পড়িয়া গেল, চারিদিক হইতে উকি ঝু কি মারিয়া সে যেন চোখের সম্মুখে খেলিয়া বেড়াইতে লাগিল । আমি চিঠিখান পড়িয়া চলিলাম-— “শ্রীচরণেষু, মা, তোমাদের পৌছা খবর এইমাত্র পেলাম । তুমি আমায় বলে গিয়েছিলে ত যে আমি যেন তোমার চিঠি পাওয়ামাত্রই উত্তর দিই,-সেইজন্তেই এক্ষুনি তোমার চিঠির উত্তর দিচ্ছি। নইলে খেয়ে দেয়ে তারপরে দিতাম । তুমি আরও বলেছিলে ত আমি যেন সমস্তদিনের সব কথা লিখি, একটুও যেন বাদ না দিষ্ট । তাই লিখব। তুমি দেখো । তোমরা ত চলে গেলে সাড়ে আটটার সময়; তারপর মিহির-দ। একটি পরামাণিক ডেকে নিয়ে এসে চল কার্টুতে বসলেন, সাড়ে ন’ টার সময় চুল ছাট শেষ হ’ল, এবার স্নানের পালা । আমি বিষ্ট দেয় বাড়ী 3 〉ー>3 AMMAMAMMMAMMMMMMAAASAASAASAASAAAS MMAMA AMMAMSAAAA SAAAAA AAAAMMMAAA AAAA AAAAMMMAMAMMMMMM গেলাম ক্যারম্ খেলতে। প্রায় সাড়ে দশটায় সময় ফিরে এসে দেখি মিহির-দা বৈঠকখানা ঘরে নাক ডাকিয়ে ঘুমুচ্ছেন, আর ঝি এসে রান্নাঘর ধোয়া আর উকুনের ছাই তোলা আরম্ভ করে দিয়েছে। বুঝলাম, মিহির-দা’র খাওয়া হয়ে গিয়েছে । ঝির ঘর ধোয়। শেষ হ’লে আমি হাড়িটা দেখতে গেলাম তার ভিতরে কি আছে । একটা থালাতে ভাত, ডাল, ডিম-ভাতে, আর আলুভাতে নিয়ে আমি থেতে বসলাম । লছমি সিং তোমাদের গাড়ীতে তুলে দিয়ে ফিরে এল । আমি বললাম, লছমী সিং, তোমহারা আজ ছুটি, ঘা ও —তব সাজক বপং ফিরকে আও, হাম ভাসান দেখতে যায়েগা ।” লছমী বলল, ‘বঙ্কং আচ্ছ, খোকাবাবু’- বলে চলে (히 আচ্ছাম, ঠিক করে বোলো ত আমি যে হিন্দীতে লছমীর সঙ্গে কথা কইলাম, সে হিন্দীটুকু ঠিক হ’য়েছে কি না । ম! তুমি যেন এ হিন্দীর কথা কাউকে বোলো না, বিশেষ করে দিদিমণির কানে যেন না যায়। সেবার ত ৪-ই শুধু শুধু আমার হিন্দী নিয়ে ঠাট্রা করেছিল, বলেছিল না, ‘গোক, তুই একটা হিন্দীতে বই লেখ ভাই, আমি কাকাকে বলে সেটা ছাপিয়ে দেব ? — সেইদিন থেকেই ত আমি লছমী সিং ওদের সঙ্গে পয্যন্ত বাংলায় কথা কই । কিন্তু সেদিন আমি কি বলেছিলাম জান, মা ? লছমী সিং এসে আমায় বলল যে, বাবা ওকে তামবাজার পাঠাচ্ছেন, কিন্তু ও জানে না যে, কোথায় গিয়ে ট্রামে চড়বে। দিদিমণি আর আমি ভগন অঙ্ক কষ ছিলাম । আমি লছমীকে বললাম, 'w্যাখে লছমী সিং, বড় রাস্তাক মোড়পর গিয়ে - বলেই দেখি যে দিদিমণি আমার দিকে পূব ভালমানুষের মত তাকিয়ে যেন হাসবার জন্য একেবারে রেডি হয়ে রয়েছে । আমি ঘাবড়ে গেলাম, তারপরে যা থাকে কপালে ভেবে, খুব জোরের সঙ্গেই বলে উঠলাম, "তামবাজারকা গাড়ী পর উঠে পড়। আমনি দিদিমণি যেন হাসির চোটে ফেটে পড়ল, আর তারপরে যা হয়েছে তা ত তুমি জামই মা ! দিদিমণির ক্লাশের মেয়েরা আমার হিন্দীর কথা শুনেছে, বাবার