পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀՀ বন্ধুরা সবাই শুনেছেন, তোমার বন্ধুরা শুনেছেন । দিদিমণি যত লোককে চেনে, সঙ্কলকে বলেছে। ভয়ানক মেয়ে মা ও ! শুকে যেন তুমি কোনমতেই এবারকার হিন্দীর কথা বোলো না, তাহ’লে কলকাতায় ফিরে ও আর আমীয় অস্তি রাখবে না। আমি আর হিন্দী কোনদিন বস্তামও না ওর ভয়ে,–কিন্তু তখন দেখলাম কি, কেউ কোথাও নেই, তাই ভাবলাম এই ফাকে যদি একটু হিন্দী শিখে ফেলতে পারি তাহলে তোমরা ফিরলে পরে দিদিটাকে আচ্ছা জপ করা যাবে । —আচ্ছা, তুমি বল ত মা, ওষ্ট হিন্দী টকর ভিতর কি কোনও ভুল হ’য়েছে, বোধ হয় হয়নি, না ? কিন্তু আমার গাওয়ার কথা বলতে বলতে থেমে গেলাম—বেশ মজা, না ? - আমার খাওয়া শেষ হ’ল । গয়ল দুধ নিয়ে এল, আমি কড়াটা দিলাম, গয়লা জুপ দিয়ে গেল । কিন্তু দুধ গরম করব কি করে ? উস্থান ত ঝি বেশ পরিষ্কার করে রেখেছে। আমি বিষ্টদের বাড়ী গেলাম, লীলাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম যে, ওদের বাড়ীর উকুনে আগুন আছে কি না । লীলা বস্লে যে আছে, কিন্তু এখনও রান্না শেষ হয়নি— যখন শেষ হ’বে তখন ধে নিয়ে যাব গরম করবার জন্তে । আমি রান্নাঘরে দুধট। ঢাক! দিয়ে রেখে ঝির বাসন-মাজা শেষ হয়েছে দেখে বললাম, "পচার মা, বাসনগুলো ওপরে দিয়ে যাও, আর রান্নাঘরের কোণে কালকের রাত্তিরের লুচি আছে নিয়ে যা ও । ঝি বাসন রেখে গেল, লুচি নিয়ে গেল। মিহিরদী’র ঘুম তখনও ভাঙেনি । আমি লাইব্রেরী-ঘরে অঙ্ক কঘতে বসলাম । বেল। তখন বোধ হয় একটা, নীচে বৈঠকখানা-ঘর থেকে চেয়ার সরানোর যে-রকম সাড়াশক উঠতে লাগল, তাতে আমার মনে হ’ল যে, মিহির-দ। নিশ্চয়ই উঠেছেন। জানাল দিয়ে মুখ বাড়িয়ে লীলা বললে, ‘মিহিরদী, থোকা বলছিল দুধ গরম করবার কথা । আমাদের উকুন এতক্ষণে খালি হ’ল, দুধট। এনে দিন । আশ্চৰ্য্য হ’য়ে মিহির-দী বললেন, "দুধ ? এ্যা, দুধ ? দুধ কি দিয়ে গিয়েছে নাকি ?” লীলা বলল, ‘ষ্ট্যা দিয়ে গিয়েছে ত, আপনি এনে नेिन ।।' প্রবাসী—ভাত্র, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড


--------- SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASAAA S

মিহির-দা খুব সম্ভব রান্নাঘরে গিয়ে দুধটা এনে দিলেন। খানিক বাদে লীলা এসে আবার জানাল। দিয়ে মুখ বাড়িয়ে বললে, ‘মিহির-দ। দুধ কেটে গেল, ত। মা জিজ্ঞেস করলেন, একটুখানি মিষ্টি দিয়ে এই হুধটুকু কি জাল দিয়ে ঘন করে দেবেন ? উত্তর না দিয়ে মিহির-দা ডাঙ্কুলেন, “খোকা, থোকা’–লাইব্রেরী থেকেষ্ট চেচিয়ে বললাম, ‘কি ?’

  • ఆనె f

বৈঠকখানায় গিয়ে হাজির হতেই মিহির-দী বললেন, ‘ভাড়ার ঘরের কোথায় চিনি থাকে জান ত ? আমি বললাম, ‘আমি ঠিক জানি না ত’—তারপরে লীলাকে বললাম, ‘লীলা ভাই, সইমাকে ওটা চিনি দিয়ে জাল দিয়ে দিতে বলে গে’— লীলা লাফাতে লাফাতে চলে গেল, আমিও ফিবে এসে লাইব্রেরী ঘরে বস্লাম । তুমি জান মা, মিহিরদাকে আমার একটুও ভালে৷ লাগে না। এই যে কিছু দিন আগে, দেশের থেকে বাবা গড়খালি যাচ্ছিলেন প্রজাদের সঙ্গে কি একটা মারামারি না কি হ’য়েছে শুনে তখন ত আমি তার সঙ্গে গেলাম, না ? সেখানে যেতে সবাই বাবাকে বলল যে, মিহিরদ না কি শুধু শুধু সব লোকেদের ঘরদের জালিয়ে দিয়েছে, সরোয়ানদের দিয়ে তাদের ঘরদোর লুঠ করিয়েছে, তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেও না কি মিছিমিছি সব বলেছে যে, তারা টাকা দেয়নি । বাবা সব শুনলেন, নায়েব-মশাইকে ডেকে সব জিজ্ঞেস করলেন, গড়খালির মোড়ল-মশাইকে ডেকে পাঠালেন, শেষে মিহিরদ’কে খুব বকে দিলেন । কিন্তু এসব ত তুমি শুনেছই, মা । এবার তুমি যে কথা জান না, সে কথা বলব। যেদিন বাবা মিহিরদীকে বক্লেন, সেইদিন বিকেল বেলা, বাবা গিয়েছিলেন চরণপুর, আমি ছাদের ওপর বেড়াচ্ছিলাম, হঠাৎ ঘাটের কাছে একট। ছেলের চীৎকার শুনতে পেলাম, ‘ওগো বাবু গো, আর করব না গো, মরে গেলুম গো— আর একটা লোক বলছে, এবার ছেড়ে দিন বাবু, আর করবে না বাবু— কি হয়েছে দেখবার জন্তে আমি দৌড়তে দৌড়তে নীচে