পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] AAAAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSASAMSMA MMMAAA SS S SAAAAAA AAAAMA SMMMS SSMSS নাম্‌লাম, তারপর তিন লাফে ঘাটের কাছে গিয়ে হাজির হ’লাম । গিয়ে দেখলাম যে, মিহির-দা দাড়িয়ে রয়েছেন, তার পায়ের কাছে প’ড়ে একটা বুড়ে মুসলমান খুব কাদছে, আর কাশিম খা খুব জোরে জোরে একটা ছেলের পিঠে জলবিছুটি লাগাচ্ছে। আমায় দেখে কাশিম একটু থামূল। আমি অবাক হ’য়ে মিহিরদাকে জিজ্ঞেস করলাম, কি হ’য়েছে মিহিরদ ? মিহির-দা কিছু বলবার আগেই সেই বুড়ে মুসলমানটা একেবারে হাউমাউ করে উঠল, আর আমার প। দুটো জড়িয়ে ধরে একসঙ্গে অনেক কথা বলে ফেল্ল । ক্রমে ক্রমে আমি বুঝলাম যে, তার নাম আহম্মদ শেখ, তার ছেলে ঘাটের পাশের গোলাপ গাছ থেকে আজ দুপুরে দুটো গোলাপ ফুল ছিড়ে নিয়ে গিয়েছিল, সেই কথা জানতে পেরে ম্যানেজার বাবু রহমানকে ধরে এনে জল বিছুটি লাগাচ্ছেন। খুব রেগে গিয়ে আমি মিহিরদার দিকে তাকিয়ে বললাম, বেশ করেছে গোলাপ ফুল নিয়েছে, আরও নেবে, রোজ নেবে, আপনি তাতে জলবিছুটি লাগাবার কে ? তারপরে কাশিম পার হাত থেকে জলবিছুটিটা কেড়ে নিয়ে বল্লাম, ফের যদি আপনি কারও গায়ে জলবিছুটি লাগান, তাহ’লে আমি বাবাকে বলে এইটে দিয়ে পিটুতে পিটুতে আপনাকে থানায় দিয়ে আস্ব ।’ চেয়ে দেখি কাশিম আর সেই ছেলেট, দুজনেই কখন সরে পড়েছে। মিহিরদাও কিছু না বলে চলে গেলেন,— আমার ওপর খুব রেগেছিলেন, বোধ হয় । বুড়ো কেবল তখনও ছিল আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্তে । সে যা আনন্দের চোটে করতে লাগল, ম, আমায় সমস্ত পৃথিবীট দিতে বলতে লাগল তার খোদাতালাকে, আর এমন করে বলতে লাগল যে, আমি ভাবলাম লোকটা বুঝি-ব ক্ষেপেই গেল। আমি শুধু বললাম, আচ্ছ, হ’য়েছে—তুমি রহমানকে বলে। সে যেন রোজ ফুল নিয়ে যায়, ভয় খায় না যেন -- তবু কি সে যেতে চায়। কত করে তবে তার হাত থেকে ছাড়া পেয়েছিলাম । তুমি আমায় প্রায়ই বল না, ম,—“খোক, দুঃখীর দুঃখ দূর করিস, বাবা, নিজের অন্তরে বাহিরে AASAASAASAAMAMMA AMASAM SMMMMS MSMSAMAAA AAAAS AAAAAMAAA AAAA AAAAMMAMA AMAMAMeMAMSeS AMAMAMM MAAA SA SA MAMAMMMAAMMMMMA MMAMSMS ৭২৩ AAAAAS AAASASAAAMA AMAMAAAA স্বার্থের দিকে লক্ষ্য না রেখে, যখন ব্যথিতের চোখের এক ফোট জল মুছিয়ে দিবি, তখন ভগবানের দরবারে তোর নামে এমন একটা জিনিষ জমা হ’য়ে থাকৃবে যার তুলনা এ পৃথিবীতে কোথাও মিলবে না ? তোমার মুখে কোন কথা একবার শুনলেই ত সেট আমার মুখস্থ হ’য়ে যায়। তোমার কোন কথা আমি ভূলি না ত, আর একথা ত তোমার কাছ থেকে কতবার শুনেছি। কিন্তু কিছুই বুঝিনি-ভগবানের দরবার’ কি ? ‘স্বাথ’ কাকে বলে ? কি জমা হবে ? কিছু বুঝি না। কিন্তু তোমার মুখে শুনতে এত ভাল লাগে ! আচ্ছা মা, বল ত, সেদিন কি ভগবান সুখী হয়েছিলেন ? আর ভগবান সুখী হয়েছিলেন কি না, তা আমি জানতেও চাইনে, —তুমি সেদিনকার কথা শুনে খুলী হুচ্ছ কি না বল ত মা-মণি —” e o সবিত কহিল “আমি খুন্সী হয়েছি খোক-ভগবানও হয়েছেন,—সোনা আমার, মীর সব কথা তোর মনে থাকে ?” আমি চুপ, করিয়া রহিলাম । সবিত। বলিল, “থাম্লে কেন, দাদা ? পড়ে—” আমি আবার পড়িতে লাগিলাম,—“কিস্তু আমি আবার আমার চিঠির মাঝখানে থেমে গিয়েছি,— ভারি অদ্ভুত, না ? তোমাকে এতদিন এ কথা বলিনি কেন জান ? আমার রোজ ইচ্ছে কবুত, তোমাকে বলি, কিন্তু ভারি লঙ্গ কবুত, সেইজন্যই বলিনি, আজকে ত বললাম, আগে বলিনি বলে তুমি যেন দুঃখ কোরে না লক্ষ্মীটি ম)-একথা ছাড়া আর সব দিন ত সবকথা তোমাকে বলেছি। তুমি যেন রাগ কোরে না, মা-মণি । “আমি লাইব্রেরী-খরে গিয়ে অস্ক কযতে বস্লাম। বেল তখন ছুটে । বিষ্টদের বাড়ী বিষ্টকে ডাকতে গেলাম, বাইরের ঘরে দেখলাম মিহির-দ ঘুমোচ্ছেন। বেল তখন বোধ হয় সাড়ে তিনটে । আমি বিস্তুদের বাড়া থেকে ফিরে এলাম, মিহির-দ তখনও ঘুমোচ্ছেন। রামায়ণের কুম্ভকৰ্ণ ত ছ'মাস ঘুমোত, সে ত আর এখন বেঁচে নেই, কিন্তু যদি