পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বীপময় ভারত শ্ৰীগুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (৮) বলিদ্বীপ—বেসাঙ্কিকৃ-এর মন্দির-দর্শন বেসাঙ্কিকৃ-এর মন্দিরগুলি মুখারোহ পাশা-পাশি একাধিক ঢালু পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। গ্রামের কাছে এসে মাঝে নাতিনিম্ন উপত্যক, তার ওপারে পাহাড়ের উপর মন্দিরগুলির panorama বা সাকল্য দুখ বেশ চমৎকার লাগল। আমরা গ্রামের প্রাস্তে এসে প’ড়লুম। গ্রামের বাইরে একটা উচু জায়গায় একটী সরকারী আপিস-বাড়ী দেখে সেদিকে অগ্রসর হ’লুম। ইটের পোতায় দরমার বেড়া, আর খড়ের চালের বাড়ী । সেখানে পউছে দেখি, সেট বলিদ্বীপের সরকারী আরণ্য-বিভাগের একটা আপিস, এখানে একজন যবদ্বীপীয় ফরেস্ট অফিসার সস্ত্রীক থাকেন। ইনি আমাদের দেখে স্বাগত ক’রলেন । র্তার আপিসে খানিকক্ষণ ব’লে আমরা শ্রাস্তি দূর করলুম। আর অতি বিনয়ী ফরেসট্র অফিসারটা কি ক’রে তিন জন ডচ ভদ্র ব্যক্তির আর আমাদের সমাদর করবেন যেন ঠিক ক’রে উঠতে পারলেন না। আমাদের জন্য র্তার স্ত্রী চা ক’রে দিলেন, টিনের দুধ মিশান পাতলা চা—আমরা ধন্যবাদের সঙ্গে সাদরে পান করলুম। এখানে পাসাঙ্গাহান ছিল না, তাই বেলা একটা হ’য়ে গেলেও আর জঠরাগ্নির দহন বিশেষ রকম অনুভূত হ’লেও বাধ্য হ’য়ে লঙ্ঘন দিতে হ’ল । আপিস বাড়ীটার বারান্দায় ব’সে বসে উত্তরে পাহাড়ের গায়ে বেসাঙ্কিক্ গ্রামট আর গ্রামের উপরে পাহাড়ের মাথায় মন্দিরগুলি খানিকক্ষণ ধ’রে আমরা দেখলুম। সমস্তটায় মিলে অতি মনোহর দৃগুপটের স্তষ্টি ক’রেছিল। একটা সরু পাহাড়ে পথ উপত্যকায় নেমে গিয়েছে, তার পরে গ্রামে গিয়ে পৌছেচে । গ্রামে থাক থাক ঘর বাড়ী, গাছপালার আড়ালে আড়ালে দেখা যাচ্ছে। একটী তামাকের ত ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে আর আশপাশ দিয়ে রাজ্ঞীর মত মনোহর গতিশালিনী উজ্জল রঙের ‘কাইন বা কটিবস্ত্র পরে কতকগুলি তন্ত্রী তরুণীকে চলাফেরা করতে দেখলুম। দুপুরের রোদ ঝ ঝণ করছে, তার দরুন একটা আবছ। আবছা ভাব যেন দূরের গাছপাল বা ট্রীধর পাহাড়পৰ্ব্বত আর বায়ুমণ্ডলকে ভ’রে রেখেছে । আমরা পাহাড়ে রাস্ত ধ’রে গ্রামে এসে পৌছুতে পৌছুতে একজন দুজন ক’রে অনেকগুলি স্থানীয় লোক আমাদের সঙ্গ নিলে । বলিদ্বীপীয়ের বেশু স্বাধীনচেত, বেসান্ধিক-এ অারণা-বিভাগের আপিস (শ্ৰীযুক্ত বাকে-কর্তৃক গৃহীত ) ইউরোপীয় দেখে এরা ভয় পায় না । অত্যন্ত কৌতুহলের সঙ্গে এরা আমাদের পাছু পাছু চ’লল । দু এক জন সাহসী হ’য়ে মালাইয়ে দ্রেউএসকে জিজ্ঞাসা করলে যে আমরা কে, কোথা থেকে আসছি। ড্রেউএস তাদের বললেন যে তারা ডচ, সরকারী লোক, আর আমাদের দুজনকে দেখিয়ে দিয়ে ব’ল্লেন যে এরা হ’চ্ছেন ভারতবর্য থেকে আগত, একজন ব্রাহ্মণ, আর একজন ক্ষত্রিয়। ভারতবর্ষ কি আর কোথায়, আর সেখানে