পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ(tՆ MAMMMMASA SAMMMMAMAMAMAMAAAASASASS تصمیمیہسیسی حمایہبہ سعی ہمہم۔م۔م۔م۔ প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৭ { ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড বিশ্বভারতী শ্ৰীনিকেতনে পল্লীসেবক শিক্ষণের ব্যবস্থা আগামী পূজাবকাশের মধ্যে ৯ই অক্টোবর হইতে ৪ঠা নভেম্বর পর্য্যস্ত ( ২২শে আশ্বিন হইতে ১৮ই কাৰ্ত্তিক পৰ্য্যন্ত ) বিশ্বভারতীর পল্লী-সেবা বিভাগের তত্ত্বাবধানে পল্লীসেবকদিগের শিক্ষার জন্য শ্রীনিকেতনে একটি শিক্ষশিবির’ পরিচালন করা হইবে । শিক্ষার্থীদিগকে বিশেষ অভিজ্ঞদিগের দ্বার। নিম্নলিখিত বিষয়গুলি শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করা হইবে। (১) পল্লীসমস্ত ও পল্পী-সংগঠন, (২) কুটর-শিল্প, ( বয়ন ও রংয়ের কাজ ), (৩) ব্রতী ংগঠন, (৪) পল্লী- স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক চিকিংস, (৫) প্রাথমিক ক্লসি । গত ছয় বৎসর হইতে নিয়মিতরূপে ‘শিক্ষা শিবিরের কায্য পরিচালন করা হইতেছে. শিক্ষা শিবিরে এম{বং মোট ১২২ জন কৰ্ম্মী শিক্ষা লাভ করিয়া ভারতের বিভিন্ন স্থানে পল্লী-সংগঠন কাস্যে নিযুক্ত আছেন । শিক্ষাকালে শিক্ষাগাদিগকে নিম্নলিখিত ব্যয়ভার বহন করিতে হয়। প্রবেশিক ফি - ১ ; অ{হায্য বাবদ কুটির-শিল্প বাবদ = ৩২ ; মোট ল ১৯২ যাহার এই ‘শিক্ষা শিবিরে শিক্ষালাভ করিতে ইচ্ছুক র্তাহাদিগকে ১লা অক্টোবরের পূর্বে প্রবেশিক দি সহ নিম্নলিখিত ঠিকানায় আবেদন করিতে হইবে.3—সম্পাদক, পল্লীসেবা-বিভাগ, শ্ৰীনিকেতন, বীরভূম । દ્ર છ পোঃ— গুরুল, জেলা বঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার বিল গত কয়েক বৎসরের মধ্যে বঙ্গের গ্রাম সমুহে প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের জন্য দুটি বিল প্রস্তুত হইয়াছিল, কিন্তু কোনটিই আইনে পরিণত হয় নাই। এবার শিক্ষা-মন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীনের আমলে তৃতীয় বিল প্রস্তুত হইয়াছে । আগের দুটি বিলের আলোচনা উপলক্ষ্যে আমরা বার বার বঙ্গে আবশ্যিক শিক্ষার ব্যবস্থা সম্বন্ধে অনেক কথা বলিয়াছি। বর্তমান বিলটির ുTarunnoBot (আলাপ) ১৭:৪৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)ഹ~~ আলোচনা উপলক্ষ্যে তাহার প্রধান কয়েকটি কথার পুনরুল্লেখ করিতেছি । ভারতবর্মের প্রদেশগুলির মধ্যে বঙ্গের লোকসংখ্য! সকলের চেয়ে বেশী, এবং বাংল। দেশ হইতে ব্রিটিশ গবন্মেণ সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক টাকা পাইয়া থাকেন। কোন ট্যাক্সের টাকা ভারত-গবন্মেন্ট লইবেন, এবং কোনটির টাকা প্রাদেশিক গবন্মেণ্ট লইবেন, সে বিষয়ে কোন প্রাকৃতিক নিয়ম নাই । এবিষয়ের সব নিয়ম কৃত্রিম ।. ভারতবর্ষে যে নিয়ম চালান হইয়াছে, তাহাতে সৰ্ব্বাপেক্ষ জনবহুল এবং সৰ্ব্বাধিক রাজস্বদাতা বঙ্গদেশ বড় বড় প্রদেশগুলির মধ্যে সব চেয়ে কম টাকা নিজের সরকারী গরচের জন্য পায় । যদি বাংলা দেশ অন্যান্য বড় প্রদেশের তুলনায় নিজের লোকসংখ্যা ও আদায়ী রাজস্বের অনুপাতে সরকারী খরচের টাকা পাইত, তাহা হইলে শিক্ষার জন্য নূতন ট্যাক্স বসাইবার কথা উঠিতে পারিত না । পাট বঙ্গের একচেটিয়া ফসল । যদি অন্ততঃ পাট শুল্ক হইতে প্রাপ্ত বাসিক চারি কোটি টাকা বঙ্গদেশ পাইত, তাহ হইলে তাহা হইতেই আবশ্বিক প্রাথমিক শিক্ষার সমুদয় ব্যয় নির্বাহিত হইতে পারিত । কিন্তু তাহাও ভারত-গবন্মের্ণ লইয়া থাকেন, বাংলা দেশকে দেন না। বাংলার টাকার অধিকাংশ ভারত-গবন্মের্ণট লওয়ায় বাংলা-সরকার দরিদ্র । সুতরাং এই কত্রিম দারিদ্র্য বশতঃ শিক্ষার ব্যয় নিৰ্ব্বাহীর্থ নুতন ট্যাক্স বসাইবার প্রস্তাব গ্রাম্য প্রাথমিক শিক্ষার প্রত্যেক বিলে করা হইয়াছে। এই প্রস্তাবে আমরা নহি । ইহা আমরা অন্যায় মনে করি । সম্মত বাংলা-সরকার যে কম টাকা পান তাহার উত্তরে বল হইয়া থাকে, বঙ্গে জর্মীর খাজনার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত থাকায় গবন্মের্ণ অদ্য অনেক প্রদেশ হইতে জমীর খাজনা যত পান, বাংলা দেশ হইতে তত পান ন , সুতরাং জমীর খাজনা প্রাদেশিক গবাষ্মণ্টের প্রাপ্য একটি ট্যাক্স বলিয়া, বাংলা-সরকার উহ। হইতে কম টাকা পান ও তর্জন্ত বঙ্গের মোট সরকারী আয় কম হয়। কিন্তু এই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাংলা দেশের লোকেরা করে নাই, ভারত-গবন্মেণ্ট এক সময়ে বঙ্গে জমীর