পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"や8 ു.--ബാ .-------ഹു----ാ বিষয় নহে । আমরা যদি আমাদের প্রয়োজনীয় প্রধান প্রধান সব জিনিষ নিজের উৎপাদন করিয়া ব্যবহার করিতে পারি, তাহ সম্ভোমকর মনে করি । তাহার ফলে প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড স্থলে তদনুসারে কাজ হইতেছে না । শিক্ষিত, সম্লান্ত, আরামে থাকিতে অভ্যস্ত ধনী লোকেরাও কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইলে বিচারক কোন কোন স্থলে তাহাদিগকে প্রথম শ্রেণীভূক্ত করিতেছেন না। অথচ ভবঘুর্যে শ্ৰীভবনের সম্মুখে বৃক্ষরোপণ শীদ্বারকানাথ বন্দোপাধ্যায় কর্তৃক গৃহীত ফটোগ্রাফ বিদেশী জিনিসের কাটতি কমিলে যদি বিদেশে বেকার লোকের সংখ্য বাড়ে, তাহার জন্য আমরা দায়ী নহি । রাজনৈতিক উদ্দেশু সাধনের জন্য বিদেশী জিনিমের ব্যবহার পরিত্যাগ অবৈধ নহে । কিন্তু দেশী জিনিস মথেষ্ট পরিমাণে উৎপন্ন ও উচিত মূল্যে প্রাপ্তব্য ন হইলে বিদেশীবক্তন নীতি বেশী দিন স্থায়ী হইতে পারে না । রাজনৈতিক বন্দীদের দশ রাজনৈতিক অপবাধে অভিযুক্ত বা কারারুদ্ধ ব্যক্তিদের আহার ও বাসগৃহাদি মন্তষোচিত যাহাতে হয়, যাহাতে দেশী বন্দী এবং ইউরোপীয় ও ফিরিঙ্গী বন্দীদের মধ্যে এই সব বিষয়ে অন্যায় পার্থক্য না থাকে, সেই উদ্দেশ্বে প্রায়োপবেশন করিয়া শ্ৰীমান যতীন্দ্রনাথ দাস স্বেচ্ছামৃত হইয়াছেন। গবন্মেটি অনেকটা তাহার ফলে বন্দীদিগকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়া ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর জন্য খাদ্যাদির ব্যবস্থা কাগজে কলমে ভিন্ন ভিন্ন রকম করিয়াছেন । এস্থলে এই শ্রেণীবিভাগের আলোচনা করিব না । কিন্তু যেরূপ শ্রেণীবিভাগ হইয়াছে সকল রকমের বদমায়েস ভিক্ষক ফিরিঙ্গী বা ইউরোপীয় জেলে গেলে প্রথম শ্রেণীর খাদ্যাদি পাইয়। থাকে । এবম্বিপ কারণে আজকাল অনেক প্রদেশে জেলে রাজনৈতিক কয়েদীর প্রায়াপবেশন করিতেছেন । র্তাহারা জানেন, জেল প্রমোদভবন নহে । কিন্তু সরকারী নিয়ম অন্তসারে, স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যাহা যতটুকু তঁtহাদের প্রাপ্য, তাহ; তাহার কেম পাইবেন না, ইহাই জিজ্ঞাস্ত । সাধারণ কয়েদা খালাস সত্য গ্রহ প্রচেষ্টার ফলে পুলিসের লোকদের লাঠির ব্যবহার খুব বাড়িলেও, শুধু তাহার দ্বারা ঐ প্রচেষ্টার প্রতিরোধ হইতেছে ন! ;--কতকগুলি লোককে জেলে পাঠাইতে রাজনৈতিক অপরাধে কারারুদ্ধ এই সকল লোকের সংখ্য। এত বেশী, যে, সাধারণ জেলসকলে তাতাদের স্থান হইতেছেন। কোথাও কোথা ও দু’একট। নতন জেলের ব্যবস্থা করিয়াও কয়্যসিদ্ধি হইতেছে না ; কারণ স্তন জেল নিৰ্ম্মাণ করিতে টাকার দরকার, এবং সত্যা গ্রহ আন্দোলনে একদিকে সরকারের আয় কমিতেছে, অন্যদিকে খরচ বাড়িতেছে । রাজনৈতিক কয়েদীদিগকে জেলে স্থান দিবার জন্য ভারতবষের সব প্রদেশে সাধারণ অনেক কয়েদীকে তাহাদের মিয়াদ শেষ হইবার আগেই খালাস দেওয়৷ হইতেছে। তাহতে এক কৌতুকাবহ অবস্থা ঘটিতেছে। হইতেছে । চুরি ঢাকাতী জাল জয়াচুরি প্রতারণা প্রভৃতি অপরাধ নৈতিক দোষ হইতে উৎপন্ন। সকল সভ্য সমাজে চিরকাল এই সব কাজ দণ্ডনীয় হইয়। অসিতেছে, কিন্তু রাজনৈতিক অনেক “অপরাধ” এ জাতীয় নহে। সেগুলা কোন দেশে বে-আইনী, কোন দেশে নহে ; আবার একই দেশে এক সময়ে যাহা বে-আইনী ছিল না, তাই