পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ? حمبہ* یه حمی*rبsمیم۔ عمميمي=يو বিবিধ প্রসঙ্গ-পিকেটিং-ও বিরক্তিকরণ ^ప్రిని দেশী কাপড়ের কল বিদেশী কাপড় বর্জনের জন্য আন্দোলন হওয়ায় দেশী কাপড়ের কাটতি খুব বাড়িয়া যাওয়া উচিত ছিল । কিন্তু তাহ ন হইয় বোম্বাইয়ের অনেক কাপড়ের কলে মাল অনেক জমিয়া গিয়াছে এবং কয়েকটি মিল বন্ধ হইয়াছে ; আরও মিল বন্ধ হইতে পারে। ইহার কারণ কি ? সরকারী লোকের অবশ্ব সমস্ত দোষট। সত্যাগ্ৰহ প্রচেষ্টার ঘাড়ে চাপাইবেন । দেশব্যাপী এরূপ কোন আন্দোলন হইলে অবশ্য সব বিষয়ে দেশব্যাপী একটা অনিশ্চয়ের ভাবও আসে। তাহাতে সব ব্যবসায়ের বাজারে মন্দ পড়ে ও লোকের হাতে টাকা কম আসে । সুতরাং কাপড় কিনিতেও লোকের অস্থবিধ হয় । অতএব সত্যাগ্ৰহ আন্দোলনের সহিত কোন জিনিষেরই বাঞ্জার খারাপ হওয়ার বিন্দুমাত্রও সম্পর্ক নাই বলিলে ঠিক বলা হইবে না। কিন্তু বাজার মন্দা হওয়ার ইহ প্রধান কারণ নহে। এখন ব্যবস বাণিজ্য পৃথিবীর সৰ্ব্বত্রই মন্দ। । এইজন্য ভারতের কঁাচ মালের চাহিদা বিদেশে কমিয়াছে ও তজ্জন্ত চাষীদের হাতে নগদ টাকা কম আসিতেছে। আর একটা কারণ, বিলাতী মুদ্রা ও ভারতীয় মুদ্রার বিনিময়ের হার । আগে বিনিময়ের হার ছিল মোটামুটি ১ টকা = ১৬ পেনী, এখন হইয়াছে ১ টীকা = ১৮ পেনী । আপাততঃ মনে হইতে পারে ইহাতে আমাদের সুবিধা হইয়াছে। কিন্তু তাহা হয় নাই । ইহার দ্বারা ভারতবর্ষের আয় কমান হইয়াছে এবং ভারতবর্ষের বাণিজ্যের ক্ষতি করা হইয়াছে। বিলাতী বাণিজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধির জন্য এই নূতন বিনিময়ের হার নিৰ্দ্ধারিত হয় । আগে ভারতবর্ষ ইংলণ্ডকে কোন জিনিষ বিক্ৰী করিয়া এক পাউণ্ড পাইলে, সেই পাউণ্ডের মূল্য ছিল ১৫ টাকা; এখন এক পাউণ্ড পাইলে তাহার মূল্য হয় ১৩ L/৪ পাই । এই সব কারণে লোকের হাতে টাকা কম আসিতেছে. এবং প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনিবার ক্ষমতাও তাহাদের কমিয়াছে। « دسس ۹ م* 'য়্যাডভান্স’ ও ‘লিবার্টি সম্পাদকদের দণ্ড "য়্যাডভান্স’ ও ‘লিবার্টির সম্পাদকদ্বয় ছাত্রদের প্রতি শ্ৰীযুক্ত বাসন্তী দেবীর পিকেটিং সম্পর্কে একটি উৎসাহবাণী ও অনুরোধ প্রকাশ করায় দণ্ডিত হইয়াছেন । আইনের মৰ্ম্ম ও মহিম। আমরা সব সময়ে বুঝিতে পারিবার দাবী করি না । বঙ্গের বাহিরের কয়েকটি দৈনিক কাগজ আমরা দেখি । তাহাতে কখন কখন কোন কোন ংগ্রেসনেতার বক্তৃত৷ আগাগোড় স্থাপা দেখিতে পাই । অনেক বস্তৃতায় সত্যাগ্ৰহ প্রচেষ্টার অন্তর্গত সব কাজ খুব জোরে চালাইবার অনুরোধ থাকে। এগুলি ছাপিয়া বঙ্গের বাহিরের কোন সম্পাদক এপর্য্যন্ত বিপন্ন হইয়াছেন বলিয় অবগত নহি । প্রেসের বিরুদ্ধে সাধারণ আইনের ও বিশেষ অর্ডিন্যান্সের সব প্রদেশে একপ্রকার ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ হইতেছে না। সব প্রদেশে উহার ব্যাথ্যা"ও প্রয়োগ খুব বেশী কড়া করিয়া সাম্য স্থাপূন করিতে বলিতেছি না । আমরা চাই, অন্যান্য প্রদেশে খবরের কাগজওয়ালার কার্য্যতঃ যতট স্বাধীনত ভোগ করিতেছেন, বঙ্গের সাংবাদিকরাও ততট। স্বাধীনতা ভোগ করুন । পিকেটিং ও বিরক্তিকরণ আহমদাবাদের ম্যাজিষ্ট্রেট একটা মোকদ্দমায় তাহার রায়ে বলেন, যে, শান্তিপূর্ণ পিকেটিং, অর্থাং কোন বল প্রয়োগ না করিয়াও কাহাকেও উত্ত্যক্ত না করিয়া পিকেটিং করিলে তাহ অপরাধ নহে। বঙ্গে আইনের এই ব্যাখ্যা গুহীত হয় নাই । অর্ডিন্যান্সটি পড়িলে কিন্তু মনে হয়, পিকেটিং হেতু লোকে ত্যক্ত বিরক্ত হয় বলিয়াই এবং হইলেই উহা অপরাধ । যাহা হউক, আইনের কুটতর্ক করিবার যোগ্যতা ও অধিকার আমাদের নাই। আমরা খবরের কাগজে দেখিয়াছি, কলিকাতার বড়বাজারে মহিলা পিকেটারদিগকে পুলিস গ্রেপ্তার করায় কয়েকবারই বিদেশী কাপড়ের দেশী দোকানওয়ালার হরতাল করিয়৷ দোকান বন্ধ করিয়াছেন। তাহাতে বুঝা যায়, এই পিকেটারদের