পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] , বিবিধ প্রসঙ্গ—ছাত্রদের কর্তব্য ዓዓ » ইউরোপীয়ের বন্ধুত্ব দেখান নাই। এইরূপ ব্যবহার যেসাম্রাজ্যে হয়, সাম্য লাভ করিয়া তাহার অন্তর্গত থাকিবীর আশা কতটুকু ? জেলে বালকদের প্রাথমিক শিক্ষা বঙ্গে কয়েকটি জেলে বালক কয়েদীদিগকে প্রাথমিক : শিক্ষা দিবার বন্দোবস্ত করা হইয়াছে । বাংলার সর্বত্রই এইরূপ বন্দোবস্ত হওয়া উচিত, এবং প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নিরক্ষর কয়েদীকে লেখাপড়া শিথান কৰ্ত্তব্য । বিদ্যাসাপেক্ষ উপার্জনে অধিকার ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য শ্ৰীযুক্ত মুকুন্দরাম জয়কির একটি আইন করিয়াছেন, যাহার বলে একান্নবৰ্ত্তী পরিবারের অন্তভুক্ত থাকিয়াও কোন হিন্দু নিজের বিদ্যার দ্বারা উপাজিত ধনে সম্পূর্ণ অধিকারী থাকিতে । পরিবেন, সেরূপ ፵ এজমালী সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হইবে না। অবশ্ব এরূপ উপার্জক নিজের উপার্জন একাই ভোগ না কুরিতেও পরিবেন । ইহা ন্যায্য আইন, এবং একান্নবৰ্ত্তী পরিবারে কতকগুলি লোকের আলস্য অতঃপর প্রশ্রয় পাইবে না । sorgsmåm কংগ্রেস ও ব্যবস্থাপক সভা iংগ্রেস নিরুপদ্রব আইনলঙ্ঘন প্রচেষ্টা প্রবর্তিত করিয়াছেন। সুতরাং আইনপ্রণয়ন র্যাহীদের কাজ ব্যবস্থাপক-সভা নামক সেই সব সভার সভ্য হইতে ন৷ চাওয়া তাহীদের পক্ষে স্বাভাবিক। এতটুকু পৰ্য্যস্ত র্তাহীদের সহিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকদের মতভেদ না থাকিবারই কথা । কিন্তু কংগ্রেসের কার্য্যসাধক কমিটি স্থির করিয়াছেন, যে, অন্যেরাও ব্যবস্থাপক-সভাসমূহের সভ্য হইতে চাহিলে তাহারা তাহারও বিরোধিতা করিবেন ও করাইবেন, ভোটারদিগকে ভোট দিতে নিষেধ করিবেন ও নিবৃত্ত করিবার চেষ্টা করিবেন। এ বিষয়ে মতভেদ হইবে। কংগ্রেসওয়ালার বলিতে পারেন, “আমরা যখন সরকারী আইন মানি না, তখন সেরূপ আইন প্রণীত হইতেও দিব না।” কিন্তু সব আইন খারাপ নয়, এবং তাহারা যদি ব্যবস্থাপক-সভা গঠিত হইতে না দেন (র্তাহীদের সেরূপ চেষ্টা ব্যর্থ হইবারই সম্ভাবনা ), তাহা হইলে বড়লাট আরও অর্ডিন্যান্স জারী করিবেন । তাহাতেও অবশ্য প্রকারাস্তরে কংগ্রেসের জয় হইবে বটে। আর একটা কথা বঙ্গের লোকদেয় । মনে উদিত হইবে, যে, শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগীর মত সভ্য ব্যবস্থাপক-সভায় থাকিলে অত্যাচারের প্রতিকার না হউক, অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশিত হইতে পরিবে । কংগ্রেসকে ইহাও ভাবিয়া দেখিতে হইযে, যে, র্তাহাদের লোকবল, অর্থবল এবং কৰ্ম্মশক্তি অসীম নহে। র্তাহারা প্রধান কাজ ব্যতীত খবরের কাগজের অফিসে পিকেটিং, ইস্কুল কলেজে পিকেটিং এবং ভোটারদিগকে নিৰ্ব্বাচন কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত্বকরণ প্রভৃতি কাৰ্য্যেও শক্তি ব্যয় করিলে, প্রধান কাজ করিবার জন্য যথেষ্ট লোক, অর্থ ও শক্তি নিযুক্ত ও প্রযুক্ত হইতে পরিবে কি ? তাহার গবন্মেন্টের সহিত শক্তিপরীক্ষায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন । অধিকন্তু অবিরোধী কোন কোন শ্রেণীর দেশের লোকদের সহিতও শক্তি পরীক্ষায় যুগপৎ প্রবৃত্ত হওয়া কি সমীচীন ? আমরা কংগ্রেস ওয়ালাদের মত আইন অমান্য করিতেছি না । সুতরাং তাহদের ঐ কাজ কি উপায়ে সফল হইতে পারে, সে বিষয়ে আমরা কোন পরামর্শ দিতে অনিচ্ছুক, অসমর্থ ও অনধিকারী । কিন্তু একথা বলিবার অধিকার আমাদের আছে, যে, স্বদেশী স্থতা ও কাপড় উৎপাদন কংগ্রেসের একটি গঠনমূলক কাৰ্য্য ; নান অপ্রধান কাজে তাহীদের যে শক্তির অপচয় হইতেছে, তাহা এই গঠনমূলক কাৰ্য্যে প্রযুক্ত হইলে দেশের কল্যাণ হইবে এবং স্বরাজলাভরপ তাহদের মূল উদেশ্ব পরোক্ষ উপায়ে সিদ্ধ হইবে। ছাত্রদের কর্তব্য শিক্ষালয়সকলে পিকেটিং প্রভৃতি সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য মোটামুটি শ্রাবণের প্রবাসীতে বলিয়াছি। এখন একটা সময়োচিত কথা অল্প প্রকারে বলি। অধ্যয়নাদি